পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার মিনহাজ নদীর বদ্ধ জলমহালে স্লুইসগেট দিয়ে নোনাপানি ওঠানোকে কেন্দ্র করে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত শনিবার দুপুরে ইজারাদারেরা লবণপানি উঠাতে গেলে এলাকাবাসী গিয়ে তাতে বাধা দেন এবং ইজারাদারদের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করেন।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী রাজু হাওলাদার সরেজমিনে পরিদর্শন করে লবনপানি ওঠানো বন্ধ করেন। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মধ্য মিনহাজ নদীর ২৫১ একরের বদ্ধ জলমহাল রয়েছে, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৭ কিলোমিটার। এ নদী দিয়ে দুই উপজেলার ৪৬ মৌজার শতাধিক গ্রামের পানি নিষ্কাশিত হয়। বদ্ধ জলমহালটি সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছে বন্ধন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।
কানাখালী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি বলেন, ইজারাদারের পক্ষ থেকে অপরিকল্পিত জোয়ার উঠানোর কারণে নদীর মুখে পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টির মৌসুমে পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হয়। ফসলহানি হচ্ছে হাজার হাজার বিঘা জমির। হাজার হাজার কৃষক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নদীর মিষ্টি পানি ব্যবহার করে শীত ও গরমের মৌসুমে তরমুজসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করছেন।
মিনহাজ চকের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান মণি বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে মিনহাজ নদীর মুখ ভরাট হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গোয়ালবাড়িয়া চকের বিজন মণ্ডল বলেন, নদীটি যারা ইজারা নিয়েছে তারা যথেচ্ছ জোয়ার উঠানোর কারণে পলি জমে নদীর মুখে প্রায় ২০০ বিঘা নদী ভরাট হয়ে গেছে।
মিনহাজ চক গ্রামের শিক্ষক গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, লস্কর, চাঁদখালী, গড়ইখালী ও কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের বৃষ্টির পনি নিষ্কাশন হয় এ নদী দিয়ে। গড়ইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু বলেন, আমি লবণ পানি উঠানোর পক্ষে নই। আমি মিষ্টি পানি জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছি। সেখানে আমার ইউনিয়নের কৃষক ও কৃষিকে বাঁচাতে মিনহাজ নদীতে লবণ পানি উঠানোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি।
চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) শাহজাদা আবু ইলিয়াস বলেন, কপোতাক্ষ নদ ভরাট হওয়ার কারণে আমার ইউনিয়নের পানি সরানোর একমাত্র পথ মিনহাজ নদী। এ নদীর মিষ্টি পানি দিয়ে কৃষকেরা ফসল ফলান। সেখানে যদি নদীর লবণ পানি উঠানো হয় তাহলে ফসল নষ্ট হবে। কিছু অসাধু ঘের ব্যবসায়ী ছাড়া কেউ লবণ পানি উঠাতে চান না।
লস্কর ইউপির চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘বদ্ধ জলমহালটির মুখ পলি পড়ে ভরাট হওয়ার কারণে এলাকার পানি নিষ্কাশন হয় না। তাতে বর্ষা মৌসুমে আমার ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মসৃজন প্রকল্পের লোক দিয়ে ভরাট হওয়া অংশ খননের প্রস্তুতি চলছে। এমন সময় ইজারাদারেরা স্লুইসগেট দিয়ে জোয়ারের লবণপানি ওঠানো শুরু করেন। জানাজানি হলে এলাকাবাসী বাধা দেয়।
ইজারা নেওয়া বন্ধন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সম্পাদক বিধান রায় জানান, নদী থেকে শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি তোলার কারণে পানি কমে গেছে। সে কারণে আমরা জোয়ারের পানি ওঠানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দাবি করেছিলাম।’
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী রাজু হাওলাদার বলেন, ‘বদ্ধ জলমহালটি ইজারা দেওয়া হয়েছে বদ্ধভাবে মাছ চাষের জন্য। এখানে জোয়ারের পানিপ্রবাহ সৃষ্টি করা যাবে না। যদি কেউ স্লুইচগেট খুলে জলমহালে লবণপানি ওঠান এবং যদি এর সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার মিনহাজ নদীর বদ্ধ জলমহালে স্লুইসগেট দিয়ে নোনাপানি ওঠানোকে কেন্দ্র করে ইজারাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত শনিবার দুপুরে ইজারাদারেরা লবণপানি উঠাতে গেলে এলাকাবাসী গিয়ে তাতে বাধা দেন এবং ইজারাদারদের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করেন।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী রাজু হাওলাদার সরেজমিনে পরিদর্শন করে লবনপানি ওঠানো বন্ধ করেন। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মধ্য মিনহাজ নদীর ২৫১ একরের বদ্ধ জলমহাল রয়েছে, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৭ কিলোমিটার। এ নদী দিয়ে দুই উপজেলার ৪৬ মৌজার শতাধিক গ্রামের পানি নিষ্কাশিত হয়। বদ্ধ জলমহালটি সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছে বন্ধন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।
কানাখালী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি বলেন, ইজারাদারের পক্ষ থেকে অপরিকল্পিত জোয়ার উঠানোর কারণে নদীর মুখে পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টির মৌসুমে পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হয়। ফসলহানি হচ্ছে হাজার হাজার বিঘা জমির। হাজার হাজার কৃষক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নদীর মিষ্টি পানি ব্যবহার করে শীত ও গরমের মৌসুমে তরমুজসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করছেন।
মিনহাজ চকের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান মণি বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে মিনহাজ নদীর মুখ ভরাট হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গোয়ালবাড়িয়া চকের বিজন মণ্ডল বলেন, নদীটি যারা ইজারা নিয়েছে তারা যথেচ্ছ জোয়ার উঠানোর কারণে পলি জমে নদীর মুখে প্রায় ২০০ বিঘা নদী ভরাট হয়ে গেছে।
মিনহাজ চক গ্রামের শিক্ষক গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, লস্কর, চাঁদখালী, গড়ইখালী ও কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের বৃষ্টির পনি নিষ্কাশন হয় এ নদী দিয়ে। গড়ইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু বলেন, আমি লবণ পানি উঠানোর পক্ষে নই। আমি মিষ্টি পানি জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছি। সেখানে আমার ইউনিয়নের কৃষক ও কৃষিকে বাঁচাতে মিনহাজ নদীতে লবণ পানি উঠানোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি।
চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) শাহজাদা আবু ইলিয়াস বলেন, কপোতাক্ষ নদ ভরাট হওয়ার কারণে আমার ইউনিয়নের পানি সরানোর একমাত্র পথ মিনহাজ নদী। এ নদীর মিষ্টি পানি দিয়ে কৃষকেরা ফসল ফলান। সেখানে যদি নদীর লবণ পানি উঠানো হয় তাহলে ফসল নষ্ট হবে। কিছু অসাধু ঘের ব্যবসায়ী ছাড়া কেউ লবণ পানি উঠাতে চান না।
লস্কর ইউপির চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘বদ্ধ জলমহালটির মুখ পলি পড়ে ভরাট হওয়ার কারণে এলাকার পানি নিষ্কাশন হয় না। তাতে বর্ষা মৌসুমে আমার ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মসৃজন প্রকল্পের লোক দিয়ে ভরাট হওয়া অংশ খননের প্রস্তুতি চলছে। এমন সময় ইজারাদারেরা স্লুইসগেট দিয়ে জোয়ারের লবণপানি ওঠানো শুরু করেন। জানাজানি হলে এলাকাবাসী বাধা দেয়।
ইজারা নেওয়া বন্ধন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সম্পাদক বিধান রায় জানান, নদী থেকে শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি তোলার কারণে পানি কমে গেছে। সে কারণে আমরা জোয়ারের পানি ওঠানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দাবি করেছিলাম।’
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী রাজু হাওলাদার বলেন, ‘বদ্ধ জলমহালটি ইজারা দেওয়া হয়েছে বদ্ধভাবে মাছ চাষের জন্য। এখানে জোয়ারের পানিপ্রবাহ সৃষ্টি করা যাবে না। যদি কেউ স্লুইচগেট খুলে জলমহালে লবণপানি ওঠান এবং যদি এর সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪