সম্পাদকীয়
যোগেশচন্দ্র ঘোষ উপমহাদেশে আয়ুর্বেদি চিকিৎসার অন্যতম পথিকৃৎ এবং সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জন্ম বর্তমান শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটের জলছত্র গ্রামে।
ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। ঢাকার কেএল জুবিলী স্কুল থেকে ১৯০২ সালে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স (ম্যাট্রিক) এবং জগন্নাথ কলেজ থেকে এফএ (আইএ) পাস করেন। এরপর কুচবিহার কলেজ থেকে রসায়নে বিএ পাস করার পর একই বিষয়ে এমএ পাস করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এখানেই তিনি আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়কে শিক্ষক হিসেবে পান। এই মনীষীর সংস্পর্শে এসে তিনি জীবনকে নতুনভাবে দেখার সুযোগ পান। মানবতা, পরমতসহিষ্ণুতা, দেশপ্রেম, কর্মনিষ্ঠা এবং মানবসেবা দীক্ষা তিনি তাঁর কাছ থেকেই পান।
পড়াশোনা শেষ করে যোগেশচন্দ্র ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের ভাগলপুর কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে চার বছর শিক্ষকতার পর ১৯১২ সালে ঢাকায় এসে তিনি জগন্নাথ কলেজে যোগ দেন। টানা ৩৫ বছর তিনি এখানে শিক্ষকতা করেন। দুই বছর তিনি এখানে অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯১৪ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাধনা ঔষধালয়’। এটি ছিল তৎকালীন পূর্ববঙ্গে আয়ুর্বেদি ওষুধ তৈরির প্রথম কারখানা।
তিনি লন্ডন ও আমেরিকার কেমিক্যাল সোসাইটির সদস্য ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি আমৃত্যু সংগঠন দুটির ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি রোগ-ব্যাধির কারণ ও লক্ষণ, আয়ুর্বেদ চিকিৎসার তত্ত্ব এবং এর ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে বহু বই লিখেছেন।
আজীবন টাকার মোহ তাঁকে আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত করতে পারেনি। জীবনব্যাপী অসহায় মানুষদের দুহাত ভরে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। যে দরিদ্র ব্যক্তি টাকার অভাবে মামলায় লড়তে পারছেন না, যে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা পণের জন্য মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না, যারা ঋণগ্রস্ত এবং ভিটেমাটি হারিয়েছে—এসব মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল ছিলেন যোগেশচন্দ্র।
মানব দরদি এই মানুষটি ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাধনা ঔষধালয়ের সদর দপ্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
যোগেশচন্দ্র ঘোষ উপমহাদেশে আয়ুর্বেদি চিকিৎসার অন্যতম পথিকৃৎ এবং সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জন্ম বর্তমান শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটের জলছত্র গ্রামে।
ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। ঢাকার কেএল জুবিলী স্কুল থেকে ১৯০২ সালে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স (ম্যাট্রিক) এবং জগন্নাথ কলেজ থেকে এফএ (আইএ) পাস করেন। এরপর কুচবিহার কলেজ থেকে রসায়নে বিএ পাস করার পর একই বিষয়ে এমএ পাস করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এখানেই তিনি আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়কে শিক্ষক হিসেবে পান। এই মনীষীর সংস্পর্শে এসে তিনি জীবনকে নতুনভাবে দেখার সুযোগ পান। মানবতা, পরমতসহিষ্ণুতা, দেশপ্রেম, কর্মনিষ্ঠা এবং মানবসেবা দীক্ষা তিনি তাঁর কাছ থেকেই পান।
পড়াশোনা শেষ করে যোগেশচন্দ্র ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের ভাগলপুর কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে চার বছর শিক্ষকতার পর ১৯১২ সালে ঢাকায় এসে তিনি জগন্নাথ কলেজে যোগ দেন। টানা ৩৫ বছর তিনি এখানে শিক্ষকতা করেন। দুই বছর তিনি এখানে অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯১৪ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাধনা ঔষধালয়’। এটি ছিল তৎকালীন পূর্ববঙ্গে আয়ুর্বেদি ওষুধ তৈরির প্রথম কারখানা।
তিনি লন্ডন ও আমেরিকার কেমিক্যাল সোসাইটির সদস্য ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি আমৃত্যু সংগঠন দুটির ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি রোগ-ব্যাধির কারণ ও লক্ষণ, আয়ুর্বেদ চিকিৎসার তত্ত্ব এবং এর ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে বহু বই লিখেছেন।
আজীবন টাকার মোহ তাঁকে আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত করতে পারেনি। জীবনব্যাপী অসহায় মানুষদের দুহাত ভরে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। যে দরিদ্র ব্যক্তি টাকার অভাবে মামলায় লড়তে পারছেন না, যে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা পণের জন্য মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না, যারা ঋণগ্রস্ত এবং ভিটেমাটি হারিয়েছে—এসব মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল ছিলেন যোগেশচন্দ্র।
মানব দরদি এই মানুষটি ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাধনা ঔষধালয়ের সদর দপ্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫