Ajker Patrika

চুন, চিনিতে তৈরি হচ্ছিল খেজুর গুড়

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৬
চুন, চিনিতে তৈরি হচ্ছিল খেজুর গুড়

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ভেজাল গুড় তৈরির দায়ে পাঁচ ব্যবসায়ীকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা এবং গুড় তৈরির দুটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা ও কারখানা বন্ধ করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল এ অভিযান চালান।

গতকাল উপজেলার ঝিটকা, মজমপাড়া, গোড়াইল ও গোপিনাথপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ককেল ও সেন্টুর গুড় তৈরির কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী থেকে এসে হরিরামপুরে গুড় তৈরি ও বিক্রি করেন সেন্টু মিয়া। দেড় মাস আগে ভেজাল গুড় তৈরির দায়ে তাঁকে জরিমানা করেন আসাদুজ্জামান রুমেল। এরপরও তিনি ভেজাল গুড় তৈরি অব্যাহত রাখেন।

গতকাল অভিযুক্ত সেন্টু এ সময় তিন মণ গুড় তৈরির জন্য ৭০ কেজি চিনি দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। এ ছাড়া মজমপাড়া এলাকার ককেলের কোনো খেজুরগাছ বা রস না থাকলেও চিনি, চুন ও নষ্ট ঝোলা গুড় দিয়ে গুড় তৈরি করেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযান পরিচালনাকারী আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, ‘মজমপাড়া গ্রামের মো. ককেলের নিজের কোনো খেজুরগাছ নেই। খেজুরের রস ছাড়াই তিনি খেজুর গুড় তৈরি করেন। চিনি, চুন ও নষ্ট ঝোলা গুড় দিয়ে গুড় তৈরি করেন তিনি।’

আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, ‘আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন ককেল। তাঁর রান্নাঘর থেকে ভেজাল গুড় তৈরির সরঞ্জাম, চুন, বাসি ঝোলা গুড় ও প্রায় ১ মণ ভেজাল গুড় জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামাল, গুড় ও চুলা ধ্বংসসহ তাঁকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করি।’

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, এ ছাড়া ভেজাল গুড় তৈরির দায়ে ককেল ও সেন্টুসহ গাফফার, খলিল, আলাউদ্দিনকে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানাসহ পাঁচ মণের অধিক ভেজাল গুড় ধ্বংস করা হয়েছে। মজমপাড়ার ককেল ও রাজশাহী থেকে আসা সেন্টু মিয়ার গুড় কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত