আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
বৈশাখের শুরুতেই পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে যায় ধানখেত। এবার ধানের পর বাদাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাওরপারের চাষিরা। বন্যার পানিতে খেতেই বাদাম পচে যাচ্ছে। বাদাম তোলার শ্রমিক না পাওয়ায় গ্রামের নারী-পুরুষ মিলে কাজ করছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের দক্ষিণ পাশে যত দূর চোখ যায়, ডুবন্ত বাদামখেতের চিত্র। কোথাও অথই পানিতে ডুবে আছে খেত, আবার কোথাও দেখা মেলে ভাসমান বাদামগাছের। গ্রামের নারী-পুরুষ, শিশু এমনকি বৃদ্ধরা মিলে খেতের পানিতে নেমে বাদাম তুলছেন।
স্থানীয় বাদামচাষিরা জানান, এ উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর, টেংরাটিলা ও ভুজনা এলাকার উর্বর মাটি বাদামের জন্য খ্যাতি আছে উপজেলাজুড়ে। বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় এবার হাওরপারে বড় পরিসরে বাদাম চাষ হয়েছে। কিন্তু বন্যার পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। প্রতি বছর পৌষ মাসে বাদাম রোপণ করা হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতেই বাদাম ঘরে তোলা হয়। প্রায় সব বাদামখেত এখনো বন্যার পানির নিচে থাকায় বাদাম তুলে ঘরে নেওয়া যাচ্ছে না। খেতেই চারা গজাচ্ছে। অনেকের খেতে বাদামে পচন ধরেছে। তাই বিকল্প উপায় না থাকায় পানিতে নেমে কষ্ট করে বাদাম তুলছেন তাঁরা।
চাষি জাকির হোসেন বলেন, ‘বন্যায় ধান গেল, পুকুরের মাছ গেল, শেষমেশ বাদামখেত ছিল; এখন তা-ও গেল। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে আর কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না।’
আলীপুর গ্রামের বাদামচাষি মনির উদ্দিন বলেন, ‘হাওরপারে আট কানি জমিতে বাদাম চাষ করেছি। প্রতি কানি (৩০ শতক) জমিতে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন সব জমি পানির নিচে। কী করব ভেবে পাচ্ছি না।’
পানিতে নেমে নিজেদের খেতের বাদাম তুলছিলেন আলীপুর আনোয়ার-নূরজাহান দম্পতি। আলাপকালে তাঁরা জানান, বাদাম চাষাবাদে খরচ বেশি। তার চেয়েও বেশি খরচ শ্রমিকে। ৫০০ টাকার নিচে দৈনিক মজুরিতে শ্রমিক মেলে না। এখন শ্রমিক না পেয়ে নিজেরাই বাদাম তুলছেন।
‘এত কষ্টের ফসল এখন পানির নিচে। সবার বাদাম পচে গেছে। এই বাদাম তুললে লাভ দূরে থাক; বীজ, সার, পানি ও শ্রমিকের খরচও উঠবে না।’ বলেন, চাষি নুরুল ইসলাম।
টেংরাটিলা গ্রামের ইউনুছ মিয়া বলেন, ‘অন্যের পাঁচ কানি জমি বন্ধক নিয়ে বাদাম চাষ করেছি। এখন সারা খেতে পানি। পানিতে নেমে নৌকায় করে বাদাম তুলতে হচ্ছে। পানিতে না ডুবলে প্রতি কানি জমিতে প্রায় ২৪ হাজার টাকার বাদাম বিক্রি করতে পারতাম। এখন চাষাবাদের খরচ তোলাই দায়।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘উপজেলায় প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি প্রণোদনা দেওয়া হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
বৈশাখের শুরুতেই পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে যায় ধানখেত। এবার ধানের পর বাদাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাওরপারের চাষিরা। বন্যার পানিতে খেতেই বাদাম পচে যাচ্ছে। বাদাম তোলার শ্রমিক না পাওয়ায় গ্রামের নারী-পুরুষ মিলে কাজ করছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের দক্ষিণ পাশে যত দূর চোখ যায়, ডুবন্ত বাদামখেতের চিত্র। কোথাও অথই পানিতে ডুবে আছে খেত, আবার কোথাও দেখা মেলে ভাসমান বাদামগাছের। গ্রামের নারী-পুরুষ, শিশু এমনকি বৃদ্ধরা মিলে খেতের পানিতে নেমে বাদাম তুলছেন।
স্থানীয় বাদামচাষিরা জানান, এ উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর, টেংরাটিলা ও ভুজনা এলাকার উর্বর মাটি বাদামের জন্য খ্যাতি আছে উপজেলাজুড়ে। বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় এবার হাওরপারে বড় পরিসরে বাদাম চাষ হয়েছে। কিন্তু বন্যার পানিতে জমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। প্রতি বছর পৌষ মাসে বাদাম রোপণ করা হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতেই বাদাম ঘরে তোলা হয়। প্রায় সব বাদামখেত এখনো বন্যার পানির নিচে থাকায় বাদাম তুলে ঘরে নেওয়া যাচ্ছে না। খেতেই চারা গজাচ্ছে। অনেকের খেতে বাদামে পচন ধরেছে। তাই বিকল্প উপায় না থাকায় পানিতে নেমে কষ্ট করে বাদাম তুলছেন তাঁরা।
চাষি জাকির হোসেন বলেন, ‘বন্যায় ধান গেল, পুকুরের মাছ গেল, শেষমেশ বাদামখেত ছিল; এখন তা-ও গেল। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে আর কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না।’
আলীপুর গ্রামের বাদামচাষি মনির উদ্দিন বলেন, ‘হাওরপারে আট কানি জমিতে বাদাম চাষ করেছি। প্রতি কানি (৩০ শতক) জমিতে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন সব জমি পানির নিচে। কী করব ভেবে পাচ্ছি না।’
পানিতে নেমে নিজেদের খেতের বাদাম তুলছিলেন আলীপুর আনোয়ার-নূরজাহান দম্পতি। আলাপকালে তাঁরা জানান, বাদাম চাষাবাদে খরচ বেশি। তার চেয়েও বেশি খরচ শ্রমিকে। ৫০০ টাকার নিচে দৈনিক মজুরিতে শ্রমিক মেলে না। এখন শ্রমিক না পেয়ে নিজেরাই বাদাম তুলছেন।
‘এত কষ্টের ফসল এখন পানির নিচে। সবার বাদাম পচে গেছে। এই বাদাম তুললে লাভ দূরে থাক; বীজ, সার, পানি ও শ্রমিকের খরচও উঠবে না।’ বলেন, চাষি নুরুল ইসলাম।
টেংরাটিলা গ্রামের ইউনুছ মিয়া বলেন, ‘অন্যের পাঁচ কানি জমি বন্ধক নিয়ে বাদাম চাষ করেছি। এখন সারা খেতে পানি। পানিতে নেমে নৌকায় করে বাদাম তুলতে হচ্ছে। পানিতে না ডুবলে প্রতি কানি জমিতে প্রায় ২৪ হাজার টাকার বাদাম বিক্রি করতে পারতাম। এখন চাষাবাদের খরচ তোলাই দায়।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘উপজেলায় প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি প্রণোদনা দেওয়া হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৭ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫