আজিজুর রহমান, চৌগাছা (যশোর)
অসময়ে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও কৃষি কর্মকর্তাদের পাশে না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন চৌগাছার কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, উপজেলার আনুমানিক সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির পাকা আমন, আলু, মসুর ডাল, সরিষা, পেঁয়াজ ও মরিচের খেত নষ্ট হয়েছে। একই সঙ্গে ধানের বীজতলাও তলিয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বোরোর আবাদ নিয়ে। কিন্তু এই দুর্যোগের মধ্যেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখা এবং সঠিক পরামর্শ দিতে কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠে পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে না গিয়ে ক্ষতির মনগড়া পরিসংখ্যান তৈরি করেছেন বলেও অভিযোগ তাঁদের।
উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) রাশেদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাদের হিসাবে এ পর্যন্ত ৩০ হেক্টর বোরোর বীজতলা, ৪০৭ হেক্টর মসুর, ৬৭ হেক্টর গম,
৭৪৫ হেক্টর সরিষা, ৮২০ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি, ১৭০ হেক্টর গোলআলু, ৮৭ হেক্টর পেঁয়াজ, ৬৫ হেক্টর মরিচ খেত টানা বর্ষণে ডুবে গেছে। এর মধ্যে ২০ হেক্টর বোরো বীজতলা, ১৪১ হেক্টর মসুর, ৩৪ হেক্টর গম, ৩০১ হেক্টর সরিষা, ৪৭৮ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি, ৯০ হেক্টর গোলআলু, ৩৭ হেক্টর পেঁয়াজ, ২৩ হেক্টর মরিচ খেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘পানি নিষ্কাশন যত দ্রুত হবে বাকি ফসলের ক্ষতি ততটা কম হবে। পানি নিষ্কাশন হতে দেরি হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।’
তবে কৃষি দপ্তরের দেওয়া তথ্যে ক্ষতির সঠিক চিত্র উঠে আসেনি বলে দাবি করেছেন কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, এখনো অনেকের আমন পাকা আমন ধান কেটে রাখা খেতের ওপর দিয়ে পানির স্রোত বইছে। জালি দিয়ে রাখা ধান পানিতে ডুবে আছে। কৃষি কর্মকর্তারা তাঁদের ক্ষতির হিসাবে আমন রাখেনই নি। তা ছাড়া কৃষি কর্মকর্তারা এ কয়দিনে মাঠে না গিয়ে অফিসে বসেই হিসাব করেছেন বলেই প্রকৃত চিত্র উঠে আসেনি।
উপজেলার সিংহঝুলি গ্রামের শাহিনুর রহমান দফাদার বলেন, ‘আমার ১০ বিঘা ১৫ কাঠা জমিতে রোপা আমন ধান ছিল। এর মধ্যে ৭ বিঘার ধান বাড়িতে নিতে পারলেও ৩ বিঘা ১৫ কাঠার ধান এখনো পানিতে তলিয়ে আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কৃষি অফিসের অধীনে বীজধান তৈরিকারী কৃষক গ্রুপের একজন সদস্য। অথচ এই কয়দিনে কৃষি অফিস থেকে একজন কর্মকর্তাও মাঠে আসেননি। বা মুঠোফোনেও কোনো খোঁজ নেননি। শুধু সাংবাদিকেরা আমার মাঠে এসেছেন। নিউজ করেছেন।’
একই গ্রামের আলমগীরের ১০ বিঘা ধানের মধ্যে ৭ বিঘাই ঘরে ওঠাতে পারেননি। তাঁরও অভিযোগ কৃষি অফিসের কেউ এখন পর্যন্ত মাঠেই আসেননি। অথচ তাঁরা সাংবাদিকদের কাছে বলছেন রোপা আমনের কোনো ক্ষতি হয়নি।’
পৌরসভার বেলেমাঠ গ্রামের আসগর আলী বলেন, ‘আমার দেড় বিঘা পেঁয়াজ এবং এক বিঘা গোলআলু সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কৃষি অফিসের কেউ এখন পর্যন্ত মাঠেও আসেননি বা খোঁজও নেননি।’
একই গ্রামের হানেফ আলী বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমির মসুর নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু কেউ কোনো খোঁজ নেননি।’
চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন মাঠে গিয়ে ক্ষতির হিসাব দিয়েছেন। রোপা আমনের ক্ষতির কোনো হিসেব না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন অল্প কিছু রোপা আমন ধান মাঠে আছে। যার আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
অসময়ে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও কৃষি কর্মকর্তাদের পাশে না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন চৌগাছার কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, উপজেলার আনুমানিক সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির পাকা আমন, আলু, মসুর ডাল, সরিষা, পেঁয়াজ ও মরিচের খেত নষ্ট হয়েছে। একই সঙ্গে ধানের বীজতলাও তলিয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বোরোর আবাদ নিয়ে। কিন্তু এই দুর্যোগের মধ্যেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখা এবং সঠিক পরামর্শ দিতে কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠে পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে না গিয়ে ক্ষতির মনগড়া পরিসংখ্যান তৈরি করেছেন বলেও অভিযোগ তাঁদের।
উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) রাশেদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাদের হিসাবে এ পর্যন্ত ৩০ হেক্টর বোরোর বীজতলা, ৪০৭ হেক্টর মসুর, ৬৭ হেক্টর গম,
৭৪৫ হেক্টর সরিষা, ৮২০ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি, ১৭০ হেক্টর গোলআলু, ৮৭ হেক্টর পেঁয়াজ, ৬৫ হেক্টর মরিচ খেত টানা বর্ষণে ডুবে গেছে। এর মধ্যে ২০ হেক্টর বোরো বীজতলা, ১৪১ হেক্টর মসুর, ৩৪ হেক্টর গম, ৩০১ হেক্টর সরিষা, ৪৭৮ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি, ৯০ হেক্টর গোলআলু, ৩৭ হেক্টর পেঁয়াজ, ২৩ হেক্টর মরিচ খেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘পানি নিষ্কাশন যত দ্রুত হবে বাকি ফসলের ক্ষতি ততটা কম হবে। পানি নিষ্কাশন হতে দেরি হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।’
তবে কৃষি দপ্তরের দেওয়া তথ্যে ক্ষতির সঠিক চিত্র উঠে আসেনি বলে দাবি করেছেন কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, এখনো অনেকের আমন পাকা আমন ধান কেটে রাখা খেতের ওপর দিয়ে পানির স্রোত বইছে। জালি দিয়ে রাখা ধান পানিতে ডুবে আছে। কৃষি কর্মকর্তারা তাঁদের ক্ষতির হিসাবে আমন রাখেনই নি। তা ছাড়া কৃষি কর্মকর্তারা এ কয়দিনে মাঠে না গিয়ে অফিসে বসেই হিসাব করেছেন বলেই প্রকৃত চিত্র উঠে আসেনি।
উপজেলার সিংহঝুলি গ্রামের শাহিনুর রহমান দফাদার বলেন, ‘আমার ১০ বিঘা ১৫ কাঠা জমিতে রোপা আমন ধান ছিল। এর মধ্যে ৭ বিঘার ধান বাড়িতে নিতে পারলেও ৩ বিঘা ১৫ কাঠার ধান এখনো পানিতে তলিয়ে আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কৃষি অফিসের অধীনে বীজধান তৈরিকারী কৃষক গ্রুপের একজন সদস্য। অথচ এই কয়দিনে কৃষি অফিস থেকে একজন কর্মকর্তাও মাঠে আসেননি। বা মুঠোফোনেও কোনো খোঁজ নেননি। শুধু সাংবাদিকেরা আমার মাঠে এসেছেন। নিউজ করেছেন।’
একই গ্রামের আলমগীরের ১০ বিঘা ধানের মধ্যে ৭ বিঘাই ঘরে ওঠাতে পারেননি। তাঁরও অভিযোগ কৃষি অফিসের কেউ এখন পর্যন্ত মাঠেই আসেননি। অথচ তাঁরা সাংবাদিকদের কাছে বলছেন রোপা আমনের কোনো ক্ষতি হয়নি।’
পৌরসভার বেলেমাঠ গ্রামের আসগর আলী বলেন, ‘আমার দেড় বিঘা পেঁয়াজ এবং এক বিঘা গোলআলু সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কৃষি অফিসের কেউ এখন পর্যন্ত মাঠেও আসেননি বা খোঁজও নেননি।’
একই গ্রামের হানেফ আলী বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমির মসুর নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু কেউ কোনো খোঁজ নেননি।’
চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন মাঠে গিয়ে ক্ষতির হিসাব দিয়েছেন। রোপা আমনের ক্ষতির কোনো হিসেব না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন অল্প কিছু রোপা আমন ধান মাঠে আছে। যার আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১৭ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪