দুর্গাপুর প্রতিনিধি
দুর্গাপুর উপজেলায় থামছেই না পুকুর খনন। বিভিন্ন বিলে ফসলি জমি পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। অপরিকল্পিতভাবে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে হাজারো বিঘা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। কাঁচা ধান ও উঠতি ফসল নষ্ট করে চলছে পুকুর খননের মহোৎসব।
কৃষিবিদদের মতে, ফসলি জমির উপরিভাগের ১০-১৫ ইঞ্চির মধ্যেই উর্বরতাশক্তি থাকে। যাকে বলা হয় টপ সয়েল। জমির উপরিভাগ কেটে নেওয়া হলে উর্বরতাশক্তি (টপ সয়েল) নষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিকরূপে ফিরে আসতে মাটির দু শ বছর সময় লাগে। ভূমি আইনে স্পষ্ট বলা আছে, ‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’। কিন্তু অবৈধভাবে পুকুর খননের ফলে মানা হচ্ছে না সরকারি এ নির্দেশনা। এতে কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে এবং কৃষকেরা হারাচ্ছে কৃষি জমি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বর্তমানে পাল্লা দিয়ে পুকুর ও দিঘি খনন চলছে। নান্দিগ্রাম পশ্চিমপাড়া বিলে ১৫ বিঘা জমিতে, নান্দিগ্রাম ইস্কানদারের বিলে ৪০ বিঘা, শ্যামপুর বিলে ১০ বিঘা, নান্দপাড়া বিলে ১০ বিঘা, কিশোরপুর মাদ্রাসার পেছনে ২০ বিঘা, সিংগা গ্রামে পানানগর বিলে, আংরার বিল, নওপাড়া ও পালশার বিলের ফসলি জমিতে পুকুর খনন চলছে। এ ছাড়া নারায়ণপুর, আলীপুর, সানপুকরিয়া, আনুলিয়া তেবিলা, কয়ামজমপুররসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে পুকুর খনন।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘ম্যানেজ’ করে দালালদের মাধ্যমে অবৈধভাবে এসব পুকুর খনন করছেন। এতে সাধারণ কৃষকেরা দালালদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন। কৃষকেরা পুকুর খনন করতে দিতে না চাইলে জমির মালিকদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
উপজেলার নান্দিগ্রামের কৃষক ফজেল আলী বলেন, পুকুরে গিলে খাচ্ছে ফসলি জমি। কাঁচা ধান ও ফসল নষ্ট করে পুকুর খননের প্রতিযোগিতা চলছে। পুকুরের মাটি ট্রাকের মাধ্যমে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। ট্রাকের মাটি আর ধুলার আস্তরণে বেহাল গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কগুলো। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের ফলে বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বাড়ে জনদুর্ভোগ।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী বলেন, পুকুর খনন বন্ধ হয়েছে। তবে কয়েক জায়গায় বাপ-দাদার আমলের পুরোনো পুকুর সংস্কার চলছে। কেউ যদি নতুন পুকুর খনন করার চেষ্টা করে, সেটা বন্ধ করে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভ দেবনাথ বলেন, ‘পুকুর খনন বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। গত সপ্তাহেও অভিযানে বেশ কিছু ভেকু মেশিন অকেজো ও জেল জরিমানা করা হয়েছে।’
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, জমিতে টপ সয়েল জমতে দু শ বছর সময় লাগে। পুকুর খননের ফলে জমি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে টপ সয়েল। ফসলি জমিতে পুকুর খননের ওপর সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। কাউকে নতুন করে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না।
দুর্গাপুর উপজেলায় থামছেই না পুকুর খনন। বিভিন্ন বিলে ফসলি জমি পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। অপরিকল্পিতভাবে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে হাজারো বিঘা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। কাঁচা ধান ও উঠতি ফসল নষ্ট করে চলছে পুকুর খননের মহোৎসব।
কৃষিবিদদের মতে, ফসলি জমির উপরিভাগের ১০-১৫ ইঞ্চির মধ্যেই উর্বরতাশক্তি থাকে। যাকে বলা হয় টপ সয়েল। জমির উপরিভাগ কেটে নেওয়া হলে উর্বরতাশক্তি (টপ সয়েল) নষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিকরূপে ফিরে আসতে মাটির দু শ বছর সময় লাগে। ভূমি আইনে স্পষ্ট বলা আছে, ‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’। কিন্তু অবৈধভাবে পুকুর খননের ফলে মানা হচ্ছে না সরকারি এ নির্দেশনা। এতে কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে এবং কৃষকেরা হারাচ্ছে কৃষি জমি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বর্তমানে পাল্লা দিয়ে পুকুর ও দিঘি খনন চলছে। নান্দিগ্রাম পশ্চিমপাড়া বিলে ১৫ বিঘা জমিতে, নান্দিগ্রাম ইস্কানদারের বিলে ৪০ বিঘা, শ্যামপুর বিলে ১০ বিঘা, নান্দপাড়া বিলে ১০ বিঘা, কিশোরপুর মাদ্রাসার পেছনে ২০ বিঘা, সিংগা গ্রামে পানানগর বিলে, আংরার বিল, নওপাড়া ও পালশার বিলের ফসলি জমিতে পুকুর খনন চলছে। এ ছাড়া নারায়ণপুর, আলীপুর, সানপুকরিয়া, আনুলিয়া তেবিলা, কয়ামজমপুররসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে পুকুর খনন।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘ম্যানেজ’ করে দালালদের মাধ্যমে অবৈধভাবে এসব পুকুর খনন করছেন। এতে সাধারণ কৃষকেরা দালালদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন। কৃষকেরা পুকুর খনন করতে দিতে না চাইলে জমির মালিকদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
উপজেলার নান্দিগ্রামের কৃষক ফজেল আলী বলেন, পুকুরে গিলে খাচ্ছে ফসলি জমি। কাঁচা ধান ও ফসল নষ্ট করে পুকুর খননের প্রতিযোগিতা চলছে। পুকুরের মাটি ট্রাকের মাধ্যমে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। ট্রাকের মাটি আর ধুলার আস্তরণে বেহাল গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কগুলো। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের ফলে বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বাড়ে জনদুর্ভোগ।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী বলেন, পুকুর খনন বন্ধ হয়েছে। তবে কয়েক জায়গায় বাপ-দাদার আমলের পুরোনো পুকুর সংস্কার চলছে। কেউ যদি নতুন পুকুর খনন করার চেষ্টা করে, সেটা বন্ধ করে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভ দেবনাথ বলেন, ‘পুকুর খনন বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। গত সপ্তাহেও অভিযানে বেশ কিছু ভেকু মেশিন অকেজো ও জেল জরিমানা করা হয়েছে।’
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, জমিতে টপ সয়েল জমতে দু শ বছর সময় লাগে। পুকুর খননের ফলে জমি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে টপ সয়েল। ফসলি জমিতে পুকুর খননের ওপর সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। কাউকে নতুন করে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪