Ajker Patrika

প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, ১২: ৪২
প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়েন। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন বিশ্বাসযোগ্য, আপন মানুষ। এরপর বিদেশে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার গল্প জুড়ে দেন। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশায় এতে বাড়ি ছেড়ে বের হন বিভিন্ন বয়সের নারীরা। সবশেষ পাসপোর্ট ছাড়াই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাড়ি জমান। ভারতে গিয়ে হুঁশ হয় তাঁদের। কিন্তু তখন আর কিছুই করার থাকে না। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া এসব নারীকে নিয়ে নানা অসামাজিক কাজ করিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার র‍্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি ফারজানা হক জানান, বুধবার দিবাগত রাতে কামরাঙ্গীরচর থেকে মানব পাচার চক্রের মূলহোতা ফয়সালসহ তাঁর সহযোগী সোহেল হোসেন, রুবি ডলির মা, সেলিনা ও কল্পনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ফারজানা বলেন, ভুক্তভোগী কয়েকজন চক্রটির প্রতারণার বিষয়ে র‍্যাব-৩ এ অভিযোগ করেন। গত ২০ মে এক নারীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে নিয়ে যায় তারা। অভিযোগের সূত্র ধরে অভিযান শুরু করে র‍্যাব-৩। এরপর গ্রেপ্তার হন পাঁচ সদস্য।

গ্রেপ্তার ফয়সালের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, এভাবে অবৈধ পথে একজন ভিকটিমকে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করতে চক্রটির ৩৫-৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশি দালালকে ১৫-২০ হাজার টাকা, যাতায়াত খরচ পাঁচ হাজার টাকা এবং অবৈধভাবে সীমান্ত পার করার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের দালালকে ১৫-২০ হাজার টাকা করে দিত তারা। অসামাজিক কাজের মাধ্যমে এই টাকা খুব সহজেই তুলে ফেলত তারা। ভুক্তভোগীদের কেউ কথামতো কাজ না করলে তাঁকে অন্য পতিতালয়ে বিক্রি করে দিতেন ফয়সাল, তারপর বাড়ানো হতো নির্যাতন। গত ১০ বছরে এ পর্যন্ত চার শতাধিক নারীকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পাচার করেছে চক্রটি।

র‍্যাব জানায়, নারীদের সংগ্রহ করতে চক্রের কয়েক সদস্য প্রথমে অসহায় ও দরিদ্র দেখে দেখে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। এরপর মনভোলানো গল্পে মন জয় করে নিতেন। তারপর চাকরির কথা সামনে নিয়ে আসত। রাজি হলে ওই নারীকে মোটরসাইকেল, নৌকা, বাসসহ নানা পথে সীমান্ত পার করাত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত