আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসাসেবার কার্যক্রম। উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের শেখরনগর গ্রামে তিন কক্ষবিশিষ্ট ভবনটি আধা পাকা। প্রতিটি কক্ষের দরজা-জানালা ভাঙা। দেয়ালের বিভিন্ন অংশে রয়েছে ফাটল। চালের টিনে মরিচায় ধরে ঝাঁজরা হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাওয়ায় কক্ষের কাঠের আসবাবও নষ্ট। ফলে দুর্ভোগ নিয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, এ চিকিৎসালয়ে প্রায় ২০ জন রোগী সেবা নিতে এসেছে। নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত, অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চলছে রোগীদের চিকিৎসাসেবা। টয়লেটও নোংরা। একজন মেডিকেল কর্মকর্তা, একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা ও একজন ফার্মাসিস্ট দিয়ে চিকিৎসালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। হাসপাতালটি নিজস্ব জমিতে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু কিছু জমি এখন আশপাশের লোকজন দখল করে নিয়েছে। তাই এ জমি উদ্ধার এবং নতুন ভবনের দাবি জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
জানা যায়, ১০৫ বছর আগে ৩৬ শতাংশ জমিতে টিনশেডে তিন কক্ষবিশিষ্ট পূর্ণ চন্দ্র দাতব্য চিকিৎসালয় নির্মিত হয়। ১৯১৫ সালে বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেল এর উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে আর সংস্কার করা হয়নি। এতে অযত্নে-অবহেলায় এটি ভাঙনের মুখে পড়ছে। রায়বাহাদুর শ্রীনাথ ছিলেন নামকরা জমিদার। নিজেদের জমিতে তিনি এটি নির্মাণ করেন। তাঁর বাবা পূর্ণ চন্দ্রের নামে এর নামকরণ করা হয়।
চিকিৎসা নিতে আসা রুপা আক্তার বলেন, ‘এই হাসপাতালের চিকিৎসার মান খুবই ভালো, কিন্তু পরিবেশ ভালো নয়। আমরা সব ধরনের চিকিৎসা নিতে পারি এ হাসপাতালে। নারীরা সব সময় গ্রাম থেকে বের হয়ে দূরে গিয়ে চিকিৎসা দিতে পারি না। তাই এখানে নতুন ভবন করে দিলে আমাদের অনেক উপকার হয়।’
আরেকজন গৃহিণী রিতা রানী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালের ঘরের অবস্থা ভালো নয়। একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা খুবই দরকার। এটা যদি ভেঙে পড়ে আর চিকিৎসকেরা যদি না আসেন, আমরা কীভাবে সেবা পাব। তাই সরকারের নতুন একটি ভবন দেওয়ার দাবি জানাই।’
শেখরনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালটির চিকিৎসার মান খুবই ভালো। তবে নতুন ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। কারণ, ঝুঁকির মধ্যেও রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইউপি পরিষদ থেকে কয়েকবার মেরামত করে দিয়েছি। এখন নতুন ভবন নির্মাণ করা দরকার। তাই নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা খন্দকার আলতাফ হোসাইন বলেন, এখানে প্রতিদিন গড়ে ১০০-১২০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু ভবন না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভাঙাচোরা ঘর, জানালা নেই, রোগীদের বসার কোনো জায়গা নেই, বিদ্যুৎ থাকলেও ফ্যান বসানোর ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার ভয়ে ওষুধসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একটি কক্ষে রাখা হয়। ফলে চিকিৎসা দিতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘হাসপাতালটির চিকিৎসার মান ভালো। আমরা নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি। অনুমোদন পেলে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসাসেবার কার্যক্রম। উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের শেখরনগর গ্রামে তিন কক্ষবিশিষ্ট ভবনটি আধা পাকা। প্রতিটি কক্ষের দরজা-জানালা ভাঙা। দেয়ালের বিভিন্ন অংশে রয়েছে ফাটল। চালের টিনে মরিচায় ধরে ঝাঁজরা হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাওয়ায় কক্ষের কাঠের আসবাবও নষ্ট। ফলে দুর্ভোগ নিয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, এ চিকিৎসালয়ে প্রায় ২০ জন রোগী সেবা নিতে এসেছে। নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত, অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চলছে রোগীদের চিকিৎসাসেবা। টয়লেটও নোংরা। একজন মেডিকেল কর্মকর্তা, একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা ও একজন ফার্মাসিস্ট দিয়ে চিকিৎসালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। হাসপাতালটি নিজস্ব জমিতে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু কিছু জমি এখন আশপাশের লোকজন দখল করে নিয়েছে। তাই এ জমি উদ্ধার এবং নতুন ভবনের দাবি জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
জানা যায়, ১০৫ বছর আগে ৩৬ শতাংশ জমিতে টিনশেডে তিন কক্ষবিশিষ্ট পূর্ণ চন্দ্র দাতব্য চিকিৎসালয় নির্মিত হয়। ১৯১৫ সালে বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেল এর উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে আর সংস্কার করা হয়নি। এতে অযত্নে-অবহেলায় এটি ভাঙনের মুখে পড়ছে। রায়বাহাদুর শ্রীনাথ ছিলেন নামকরা জমিদার। নিজেদের জমিতে তিনি এটি নির্মাণ করেন। তাঁর বাবা পূর্ণ চন্দ্রের নামে এর নামকরণ করা হয়।
চিকিৎসা নিতে আসা রুপা আক্তার বলেন, ‘এই হাসপাতালের চিকিৎসার মান খুবই ভালো, কিন্তু পরিবেশ ভালো নয়। আমরা সব ধরনের চিকিৎসা নিতে পারি এ হাসপাতালে। নারীরা সব সময় গ্রাম থেকে বের হয়ে দূরে গিয়ে চিকিৎসা দিতে পারি না। তাই এখানে নতুন ভবন করে দিলে আমাদের অনেক উপকার হয়।’
আরেকজন গৃহিণী রিতা রানী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালের ঘরের অবস্থা ভালো নয়। একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা খুবই দরকার। এটা যদি ভেঙে পড়ে আর চিকিৎসকেরা যদি না আসেন, আমরা কীভাবে সেবা পাব। তাই সরকারের নতুন একটি ভবন দেওয়ার দাবি জানাই।’
শেখরনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালটির চিকিৎসার মান খুবই ভালো। তবে নতুন ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। কারণ, ঝুঁকির মধ্যেও রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইউপি পরিষদ থেকে কয়েকবার মেরামত করে দিয়েছি। এখন নতুন ভবন নির্মাণ করা দরকার। তাই নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা খন্দকার আলতাফ হোসাইন বলেন, এখানে প্রতিদিন গড়ে ১০০-১২০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু ভবন না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভাঙাচোরা ঘর, জানালা নেই, রোগীদের বসার কোনো জায়গা নেই, বিদ্যুৎ থাকলেও ফ্যান বসানোর ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার ভয়ে ওষুধসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একটি কক্ষে রাখা হয়। ফলে চিকিৎসা দিতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘হাসপাতালটির চিকিৎসার মান ভালো। আমরা নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি। অনুমোদন পেলে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪