Ajker Patrika

পচে যাচ্ছে ধানের চারা

পাইকগাছা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ১৩
Thumbnail image

পাইকগাছায় গত দুই দিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। এতে সদ্য লাগানো জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। ফলে কৃষকেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। পানি জমে থাকায় ধানের চারা পচে যাচ্ছে।

এ ছাড়া সরিষা ও আলুসহ বিভিন্ন রবি শস্যও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর ধানের বীজতলার ক্ষতি হয়নি।

পাইকগাছা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে বেশি ধান চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত কৃষকেরা জমি তৈরি ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের কৃষক ইউনুছ আলী জানান, বৃষ্টির পানিতে তার সাড়ে তিন বিঘা জমির ধান গাছ পানিতে তলিয়ে গেছে। ১ বিঘা বেশি নিচু থাকায় ধান গাছে পচন ধরেছে। পানি সরানোর চেষ্টা করছি। মাত্র দুই দিন আগে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করেছি। চারা ও শ্রমিক খরচসহ প্রতি বিঘা জমিতে সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু একদিনের বৃষ্টিতে সেই জমি হাঁটু পানিতে ডুবে গেছে।

উপজেলার তকিয়া গ্রামের আরেক কৃষক আনছার আলী বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে গত সপ্তাহে বোরো ধান লাগিয়েছি। কিন্তু মাঘের এ অতিবৃষ্টির ফলে পানিতে ডুবে ধানের চারা মরে যাচ্ছে। পানি কিছুটা কম হলেও ধানের চারা পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে পাতা পচে গেছে। আবার জমিতে চারা কিনে রোপণ করতে হবে। বিষয়টি কৃষি অফিসকে জানানো হয়েছে।

গদাইপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশি জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। কিন্তু গত দুই দিনের বৃষ্টির কারণে নিম্নাঞ্চলের কিছু ধান ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। আমি কৃষি কর্মকর্তাকে বলেছি। পাশাপাশি জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছি।

এ বিষয়ে পাইকগাছা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘মাঘের বৃষ্টিতে দুই হেক্টর সবজি, আড়াই হেক্টর আলু, এক হেক্টর পেঁয়াজ, এক হেক্টর মসুর, এক হেক্টর পেঁয়াজসহ কিছু নিম্নাঞ্চলের বোরোর ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জরিপ না করে এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘পানিতে ডুবলেও বোরো ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত