Ajker Patrika

খালিয়াজুরীতে আ. লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ, ১০ জন হাসপাতালে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ০৫
খালিয়াজুরীতে আ. লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ, ১০ জন হাসপাতালে

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

তাঁদের মধ্যে খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান সাদেক (৫২), মেন্দিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আল আমিন (৩৩), যুবলীগ কর্মী আওয়াল ও সাইফুল মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।

এ ছাড়া নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে দুইজন এবং মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজন চিকিৎসাধীন আছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে খালিয়াজুরী কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্মেলন হয়।

বিকেলে অ্যাডভোকেট অসিত সরকারকে সভাপতি ও সাদেকুর রহমান সাদেককে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। এতে সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের গ্রুপের লোকজন নতুন কমিটি প্রত্যাখ্যান করে মঞ্চ ভাঙচুর শুরু করেন। তখন নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের লোকজন বাধা দেন।

এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মঞ্চে থাকা কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্রুত সরিয়ে পাশের ডাকবাংলোয় নিয়ে যায় পুলিশ। থেমে থেমে রাতেও চলে সংঘর্ষ।

এই সময় নেতারা সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে পুলিশ পাহারায় খালিয়াজুরী ত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খালিয়াজুরীতে আওয়ামী লীগ মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত। স্থানীয় সংসদ সদস্য রেবেকা মমিনের অনুসারী একটি গ্রুপ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য শফি আহমেদের অনুসারী একটি গ্রুপ এবং অন্যটি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাজ্জাদুল হাসানের অনুসারী গ্রুপ। নতুন কমিটির নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই সাজ্জাদুল হাসান গ্রুপের হওয়ায় অন্য দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হন বলে জানা গেছে।

খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অকারণে আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। নতুন কমিটিতে যাঁদের সভাপতি-সম্পাদক করা হয়েছে তাঁদের এলাকার কেউ চেনেন না। স্থানীয় ত্যাগী নেতা-কর্মীরা এই কমিটিকে মেনে না নিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা হট্টগোল করেন। এখানে আমাদের কী করার থাকতে পারে? তবে আমাদের কোনো নেতা-কর্মী সেখানে সংঘর্ষে জড়াননি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত