হাবিবুর রনি, বাকৃবি
রান্নার কথা উঠলেই আসে মসলার কথা। দেশে বিভিন্ন ধরনের মসলার ব্যবহার এবং চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে দেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। দেশে প্রায় ৫০ ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে দেশে চাষ হয় মাত্র সাত ধরনের মসলা। চাহিদার বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়।
বছরে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা মসলা আমদানিতে ব্যয় হয়। বিশ্ববাজারেও বিভিন্ন কারণে মসলার বাজার প্রায়ই অস্থির হয়ে ওঠে। যার কারণে বিপাকে পড়েন ভোক্তারা।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দেশেই উন্নত জাতের মসলার চাষ এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের ১১০টি উপজেলা এবং ২৫টি হর্টিকালচার সেন্টারে উন্নত জাতের মসলা চাষ ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ নামক প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ বছরে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের বাজেট ধরা হয়েছে ১১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে দেশে মসলার আবাদ ৫ শতাংশ বাড়বে। পরিমাণে যা প্রায় ২ লাখ ৩৬ হাজার টন।
গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয় এবং একনেকের সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গৃহীত প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৭ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। আধুনিক টেকসই প্রযুক্তি ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের মাধ্যমে মসলাজাতীয় ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণ, মসলা সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদনোত্তর অপচয় হ্রাস এবং শস্য নিবিড়তা ২ থেকে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।
মসলা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং প্রতিকূল পরিবেশে অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন জাত প্রচলন করা হবে।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ২৮ হাজার ৬৫২টি মসলা প্রদর্শনী এবং চারা-কলম উৎপাদন ও আমদানি, ৩০২টি বিভিন্ন ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা, ৪ হাজার ২০০ রানিং মিটার সীমানাপ্রাচীর ও ১৮৫টি পলি শেড-গার্ড, শেড-লেবার শেড ও নার্সারি শেড নির্মাণ করা।
এ ছাড়া ২ হাজার ৬৫০ ব্যাচ কৃষক প্রশিক্ষণ, ৪৫ ব্যাচ এসএএও-সমমানের কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, ২৯ ব্যাচ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ ও ২ ব্যাচ বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, ১৩৫ ব্যাচ কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ এবং ১ হাজার ৬৫০টি কৃষক মাঠ দিবস আয়োজন করা হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্র এ পর্যন্ত ২৩ ধরনের মসলাজাতীয় ফসলের ৪৮টি জাত উদ্ভাবন করেছে। এসব ফসল পোকামাকড় এবং বিভিন্ন বালাই থেকে সুরক্ষা ও সংরক্ষণে বিভিন্ন প্রযুক্তিও উদ্ভাবন হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও হর্টিকালচার বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এম আব্দুর রহিম বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বিদেশ থেকে মসলা আমদানি অনেকাংশেই কমে যাবে। তবে প্রকল্পের আওতাধীন এলাকাগুলোয় দেশের উদ্ভাবিত উন্নত জাতের মসলার জাত চাষ করতে হবে। কারণ, এগুলো দেশীয় আবহাওয়ায় সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে উদ্ভাবিত মসলার জাত এবং প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।’
রান্নার কথা উঠলেই আসে মসলার কথা। দেশে বিভিন্ন ধরনের মসলার ব্যবহার এবং চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে দেশে মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। দেশে প্রায় ৫০ ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে দেশে চাষ হয় মাত্র সাত ধরনের মসলা। চাহিদার বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়।
বছরে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা মসলা আমদানিতে ব্যয় হয়। বিশ্ববাজারেও বিভিন্ন কারণে মসলার বাজার প্রায়ই অস্থির হয়ে ওঠে। যার কারণে বিপাকে পড়েন ভোক্তারা।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দেশেই উন্নত জাতের মসলার চাষ এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের ১১০টি উপজেলা এবং ২৫টি হর্টিকালচার সেন্টারে উন্নত জাতের মসলা চাষ ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ নামক প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ বছরে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের বাজেট ধরা হয়েছে ১১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে দেশে মসলার আবাদ ৫ শতাংশ বাড়বে। পরিমাণে যা প্রায় ২ লাখ ৩৬ হাজার টন।
গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয় এবং একনেকের সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গৃহীত প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৭ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। আধুনিক টেকসই প্রযুক্তি ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের মাধ্যমে মসলাজাতীয় ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণ, মসলা সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদনোত্তর অপচয় হ্রাস এবং শস্য নিবিড়তা ২ থেকে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।
মসলা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং প্রতিকূল পরিবেশে অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন জাত প্রচলন করা হবে।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ২৮ হাজার ৬৫২টি মসলা প্রদর্শনী এবং চারা-কলম উৎপাদন ও আমদানি, ৩০২টি বিভিন্ন ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা, ৪ হাজার ২০০ রানিং মিটার সীমানাপ্রাচীর ও ১৮৫টি পলি শেড-গার্ড, শেড-লেবার শেড ও নার্সারি শেড নির্মাণ করা।
এ ছাড়া ২ হাজার ৬৫০ ব্যাচ কৃষক প্রশিক্ষণ, ৪৫ ব্যাচ এসএএও-সমমানের কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, ২৯ ব্যাচ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ ও ২ ব্যাচ বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, ১৩৫ ব্যাচ কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ এবং ১ হাজার ৬৫০টি কৃষক মাঠ দিবস আয়োজন করা হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্র এ পর্যন্ত ২৩ ধরনের মসলাজাতীয় ফসলের ৪৮টি জাত উদ্ভাবন করেছে। এসব ফসল পোকামাকড় এবং বিভিন্ন বালাই থেকে সুরক্ষা ও সংরক্ষণে বিভিন্ন প্রযুক্তিও উদ্ভাবন হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও হর্টিকালচার বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এম আব্দুর রহিম বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বিদেশ থেকে মসলা আমদানি অনেকাংশেই কমে যাবে। তবে প্রকল্পের আওতাধীন এলাকাগুলোয় দেশের উদ্ভাবিত উন্নত জাতের মসলার জাত চাষ করতে হবে। কারণ, এগুলো দেশীয় আবহাওয়ায় সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে উদ্ভাবিত মসলার জাত এবং প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪