Ajker Patrika

সৌহার্দ্য সম্প্রীতির সীমান্ত হাট

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ২৬
Thumbnail image

কমলগঞ্জে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে কুরমাঘাট-কমলপুর সীমান্ত হাটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার।

বর্ডার হাটের নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি ও ভারতের ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাংসদ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় ২০২৩ সালে নির্মাণকাজ শেষ করে হাট উদ্বোধনের কথা রয়েছে। দুই দেশের পণ্য রপ্তানি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে দুই দেশের পক্ষ থেকে এ হাট চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, উপজেলার ইসলামপুর কুরমা সীমান্তের ১৯০৩ / ৩৩ এস পিলারের কাছে এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলই জেলার কমলপুর এলাকার ২ দশমিক ৭২ একর জমিতে এ হাট নির্মাণ করা হবে। সীমান্ত হাটের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভারত সরকার এবং শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগ, ত্রিপুরা সরকার।

বাস্তবায়নকারী সংস্থা ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন লিমিটেড। বর্ডার হাট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

সপ্তাহে দুই দিন মঙ্গলবার ও শুক্রবার এই হাট বসবে। তবে স্থানীয়দের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় একাধিক দিনেও হাট বসার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। সীমান্ত হাটের আশপাশের পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসবাসরত জনগণ এই হাট থেকে পণ্যসামগ্রী কেনার সুযোগ পাবে।

সপ্তাহে একদিন প্রতি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ হাটে বেচা-কেনা করা যাবে। তৈরি পোশাক, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য, শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, মুরগি, শুঁটকি, সুপারি প্রভৃতি পণ্য বেচাকেনা চলবে বর্ডার হাটে।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা আসগর আলী বলেন, ‘আমরা অনেক খুশি হয়েছি এই হাট চালু হওয়ায়। কম টাকায় ভারতীয় পণ্য কিনতে পারব।’

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশর (বিজিবি) কমলগঞ্জ চাম্পাপারা সীমান্ত ফাঁড়ির নায়েবে সুবেদার আজাদ হোসেন বলেন, এই হাটের বাংলাদেশ অংশে দায়িত্ব পালন করব আমরা বিজিবি। এবং ভারত অংশে দায়িত্ব পালন করবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ভারতের ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ‘এই সীমান্ত হাটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু বাণিজ্যিক সম্পর্ক নয় পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও আত্মিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। পর্যায়ক্রমে এই ধরনের উদ্যোগ আরও নেওয়া হবে।’

বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেন, ‘এ হাটের মাধ্যমে দু দেশের প্রান্তিক মানুষ বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবে। দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বাড়বে। এমনকি সম্পর্ক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সীমান্তের ছোট-ছোট সমস্যার সমাধান হবে। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত