পঞ্চগড় প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন গত ৫ আগস্ট ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানার প্রধান ফটকের সামনে নির্বিচার গুলিবর্ষণ, গুলিবিদ্ধ লাশের স্তূপে পুলিশের আগুনের খবর শুনে লাশ উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন শত শত মানুষ। সেই দলে ছিলেন সুমন ইসলামও (২১)। এরই মধ্যে পুলিশের করা গুলি এসে লাগে সুমনের মাথায়। এতে নিহত হন তিনি।
সেই দিন সুমনের সঙ্গে ছিলেন বন্ধু সোলেমান ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের দিকে বৃষ্টির মতো গুলি শুরু করে। আমি দৌড়ে পালাতে পারলেও সুমন পালাতে পারেনি। গুলি লেগে সে সেখানেই পড়ে যায়। পরে এসে আমি খোঁজ করলে তাকে পাইনি, মোবাইলে ভিডিও দেখে জানতে পারি, তাকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছে গুলি লাগার পর। তার লাশ ৭ আগস্ট ঢাকা মেডিকেলে পাওয়া যায়। লাশ পাওয়ার পর দেখা যায়, মাথায় গুলির এবং শরীরে রাবার বুলেটের অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন। ৮ আগস্ট গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয় সুমন ইসলামের লাশ।’
নিহত সুমন ইসলাম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের আমিন নগর এলাকার হামিদ আলীর ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুমন ইসলাম পঞ্চগড়ের সাকোয়া ফাজিল মাদ্রাসায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সুমনের বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হওয়ায় অভাবের সংসারে হাল ধরতে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরানোর জন্য ঢাকায় ইপিজেড ঢাকা রপ্তানি প্রতিষ্ঠানে কাজ নিয়েছিলেন তিন বছর আগে। সংসারের সব দায়িত্ব ছিল সুমনের। একমাত্র কর্মক্ষম সদস্যকে হারিয়ে নির্বাক পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল সোমবার বিকেলে সুমনদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে চোখ ফুলে গেছে বৃদ্ধ বাবা হামিদ আলী ও মা কাজলী বেগমের। নিজেদের ভিটেবাড়ির ৪ শতাংশ জমি ছাড়া আর কিছু না থাকায় সংসার চালানো নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ।
হামিদ আলী বলেন, ‘আমার ছেলে অভাবের সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় গেছে চাকরি করতে। আন্দোলনে গুলি লেগে আমার ছেলে মারা যায়। ওই দিন থেকে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার তো চলার মতো আর রাস্তা নাই। কীভাবে চলব এই বৃদ্ধ বয়সে। সংসার চালানোর আর কেউ রইল না।’
সুমনের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘মানুষ মানুষের সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। দেশ যেন শান্তিতে থাকে। আমার সন্তান হারাইছে, অন্য মায়ের আর কোনো সন্তান যেন না হারায়।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন গত ৫ আগস্ট ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানার প্রধান ফটকের সামনে নির্বিচার গুলিবর্ষণ, গুলিবিদ্ধ লাশের স্তূপে পুলিশের আগুনের খবর শুনে লাশ উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন শত শত মানুষ। সেই দলে ছিলেন সুমন ইসলামও (২১)। এরই মধ্যে পুলিশের করা গুলি এসে লাগে সুমনের মাথায়। এতে নিহত হন তিনি।
সেই দিন সুমনের সঙ্গে ছিলেন বন্ধু সোলেমান ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের দিকে বৃষ্টির মতো গুলি শুরু করে। আমি দৌড়ে পালাতে পারলেও সুমন পালাতে পারেনি। গুলি লেগে সে সেখানেই পড়ে যায়। পরে এসে আমি খোঁজ করলে তাকে পাইনি, মোবাইলে ভিডিও দেখে জানতে পারি, তাকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছে গুলি লাগার পর। তার লাশ ৭ আগস্ট ঢাকা মেডিকেলে পাওয়া যায়। লাশ পাওয়ার পর দেখা যায়, মাথায় গুলির এবং শরীরে রাবার বুলেটের অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন। ৮ আগস্ট গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয় সুমন ইসলামের লাশ।’
নিহত সুমন ইসলাম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের আমিন নগর এলাকার হামিদ আলীর ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুমন ইসলাম পঞ্চগড়ের সাকোয়া ফাজিল মাদ্রাসায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সুমনের বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হওয়ায় অভাবের সংসারে হাল ধরতে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরানোর জন্য ঢাকায় ইপিজেড ঢাকা রপ্তানি প্রতিষ্ঠানে কাজ নিয়েছিলেন তিন বছর আগে। সংসারের সব দায়িত্ব ছিল সুমনের। একমাত্র কর্মক্ষম সদস্যকে হারিয়ে নির্বাক পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল সোমবার বিকেলে সুমনদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে চোখ ফুলে গেছে বৃদ্ধ বাবা হামিদ আলী ও মা কাজলী বেগমের। নিজেদের ভিটেবাড়ির ৪ শতাংশ জমি ছাড়া আর কিছু না থাকায় সংসার চালানো নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ।
হামিদ আলী বলেন, ‘আমার ছেলে অভাবের সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় গেছে চাকরি করতে। আন্দোলনে গুলি লেগে আমার ছেলে মারা যায়। ওই দিন থেকে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার তো চলার মতো আর রাস্তা নাই। কীভাবে চলব এই বৃদ্ধ বয়সে। সংসার চালানোর আর কেউ রইল না।’
সুমনের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘মানুষ মানুষের সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। দেশ যেন শান্তিতে থাকে। আমার সন্তান হারাইছে, অন্য মায়ের আর কোনো সন্তান যেন না হারায়।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১৮ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪