মিজানুর রহমান, কাউনিয়া
একসময় ঘরসংসার সামাল দেওয়াই ছিল তাঁদের একমাত্র কাজ। উপার্জনের বিষয়টি দেখতেন বাড়ির পুরুষ কর্তা। এই একক আয়ে অভাব, অনাটন ছিল নিত্যসঙ্গী। এর সঙ্গে যুক্ত হয় তিস্তা নদীর ভাঙন। ফলে বাধ্য হয়ে ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে তাঁদের আসতে হয় ফসলের মাঠে। পরিচয় দাঁড়ায় নারী কৃষিশ্রমিক হিসেবে।
কাউনিয়া উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে এখন এক পরিচিত দৃশ্য নারীদের মাঠে কাজ করা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নারী শ্রমিকেরা অনেক পরিশ্রমী এবং কম মজুরিতে তাঁদের পাওয়া যায়। এ কারণে দিন দিন তাঁদের কদর বাড়ছে।
উপজেলার পল্লীমারী, চর নাজিরদহ, ধুমগড়া, প্রাণনাথ চর ও আরাজি তালুক সাহাবাজসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময় এ নারীদের বসতভিটা ও আবাদি জমি ছিল। এখন অনেকে তিস্তার ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে ভূমিহীন। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে স্বামীর সঙ্গে তাঁরাও কৃষিশ্রমিকের পেশা বেছে নিয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন শস্যের বীজ বপন ও ফসল সংগ্রহসহ সব ধরনের কৃষিকাজ করেন।
গতকাল শনিবার সকালে যাওয়া হয় তিস্তা নদীবেষ্টিত চর নাজিরদহ গ্রামে। সেখানে বসতবাড়ি আর গাছপালার ফাঁক দিয়ে তাকাতেই চোখে পড়ে দিগন্তজুড়ে কৃষি খেত। এসব খেতে কাজ করছিলেন নারীরা। পরিবারের অভাব কিছুটা দূর করতে তাঁরা দল বেঁধে প্রতিদিন এই কাজ করেন।
কয়েকজন নারীকে দিয়ে জমিতে রসুন বোনার কাজ করাচ্ছিলেন নাজিরদহের কৃষক আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, এসব নারী কৃষিশ্রমিক হিসেবে পরিচিত। রোজ সকালে তাঁরা রান্নাবান্না সেরে সন্তানদের খাইয়ে দলবেঁধে কাজে বেরিয়ে পড়েন। পাঁচ থেকে ১০ জনের প্রতিটি দলে নারী শ্রমিকদের সঙ্গে দুই থেকে তিনজন পুরুষ শ্রমিক থাকেন। সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলে তাঁদের শ্রম দেওয়া।
নাজিরদহের ছাহেরা বেগম (৫০) বলেন, ‘১০ বছর আগে স্বামী মারা যায়। এরপর সংসারে উপার্জন না থাকায় অভাব অনাটন নেমে আসে। তখন থেকে কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। মাঠে কাজ করে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পাই। সেই টাকায় সংসার চলে।’
হারাগাছ বানিয়াটারী গ্রামের মিনতী রানী (৩৮) জানান, আগে তাঁদের বসতভিটা ও আবাদি জমিসহ সবকিছু ছিল। তিস্তা তাঁদের সব কেড়ে নিয়েছে। আটজনের পরিবার তাঁর। স্বামীর একার উপার্জন দিয়ে সংসার চলে না। মিনতীকে তাই অভাবী সংসারে একটু সচ্ছলতা আনতে এই কৃষিশ্রমিকের পেশা বেছে নিতে হয়েছে।
মরিয়ম নামে আরেক নারী বলেন, ‘যত দিন মাঠে ফসল থাকে, আমাদের কাজ তত দিন থাকে। ধান কাটা ও মাড়াই, আলু, বাদাম, পেঁয়াজ ও রসুনের বীজ বপন, নিড়ানি দেওয়া সব ধরনের কৃষি কাজ করি। স্বামীর পাশাপাশি এই কাজ করে সংসার চালাচ্ছি, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছি, এনজিও থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করছি। কষ্ট হলেও পরিবারের জন্য কিছু করতে পারছি, এটাই আনন্দের।’
দারিদ্র্য আর ভাগ্য এই পেশায় নিয়ে এসেছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন জোনাকী বালা। এই শ্রমিক বলেন, ‘আমরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কৃষকের ফসলের কাজ করি। দলবেঁধে গল্পগুজব করে কাজ করি। রোজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রম দিয়ে আবার রাতে রান্না করে খেয়ে ঘুমাই।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, নারী কৃষিশ্রমিকেরা অনেক পরিশ্রমী। এ ছাড়া তাঁদের তুলনামূলক কম মজুরিতে পাওয়া যায়। এ কারণে কৃষকদের কাছে নারী শ্রমিকদের কদর বেশি।
একসময় ঘরসংসার সামাল দেওয়াই ছিল তাঁদের একমাত্র কাজ। উপার্জনের বিষয়টি দেখতেন বাড়ির পুরুষ কর্তা। এই একক আয়ে অভাব, অনাটন ছিল নিত্যসঙ্গী। এর সঙ্গে যুক্ত হয় তিস্তা নদীর ভাঙন। ফলে বাধ্য হয়ে ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে তাঁদের আসতে হয় ফসলের মাঠে। পরিচয় দাঁড়ায় নারী কৃষিশ্রমিক হিসেবে।
কাউনিয়া উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে এখন এক পরিচিত দৃশ্য নারীদের মাঠে কাজ করা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নারী শ্রমিকেরা অনেক পরিশ্রমী এবং কম মজুরিতে তাঁদের পাওয়া যায়। এ কারণে দিন দিন তাঁদের কদর বাড়ছে।
উপজেলার পল্লীমারী, চর নাজিরদহ, ধুমগড়া, প্রাণনাথ চর ও আরাজি তালুক সাহাবাজসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময় এ নারীদের বসতভিটা ও আবাদি জমি ছিল। এখন অনেকে তিস্তার ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে ভূমিহীন। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে স্বামীর সঙ্গে তাঁরাও কৃষিশ্রমিকের পেশা বেছে নিয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন শস্যের বীজ বপন ও ফসল সংগ্রহসহ সব ধরনের কৃষিকাজ করেন।
গতকাল শনিবার সকালে যাওয়া হয় তিস্তা নদীবেষ্টিত চর নাজিরদহ গ্রামে। সেখানে বসতবাড়ি আর গাছপালার ফাঁক দিয়ে তাকাতেই চোখে পড়ে দিগন্তজুড়ে কৃষি খেত। এসব খেতে কাজ করছিলেন নারীরা। পরিবারের অভাব কিছুটা দূর করতে তাঁরা দল বেঁধে প্রতিদিন এই কাজ করেন।
কয়েকজন নারীকে দিয়ে জমিতে রসুন বোনার কাজ করাচ্ছিলেন নাজিরদহের কৃষক আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, এসব নারী কৃষিশ্রমিক হিসেবে পরিচিত। রোজ সকালে তাঁরা রান্নাবান্না সেরে সন্তানদের খাইয়ে দলবেঁধে কাজে বেরিয়ে পড়েন। পাঁচ থেকে ১০ জনের প্রতিটি দলে নারী শ্রমিকদের সঙ্গে দুই থেকে তিনজন পুরুষ শ্রমিক থাকেন। সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলে তাঁদের শ্রম দেওয়া।
নাজিরদহের ছাহেরা বেগম (৫০) বলেন, ‘১০ বছর আগে স্বামী মারা যায়। এরপর সংসারে উপার্জন না থাকায় অভাব অনাটন নেমে আসে। তখন থেকে কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। মাঠে কাজ করে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পাই। সেই টাকায় সংসার চলে।’
হারাগাছ বানিয়াটারী গ্রামের মিনতী রানী (৩৮) জানান, আগে তাঁদের বসতভিটা ও আবাদি জমিসহ সবকিছু ছিল। তিস্তা তাঁদের সব কেড়ে নিয়েছে। আটজনের পরিবার তাঁর। স্বামীর একার উপার্জন দিয়ে সংসার চলে না। মিনতীকে তাই অভাবী সংসারে একটু সচ্ছলতা আনতে এই কৃষিশ্রমিকের পেশা বেছে নিতে হয়েছে।
মরিয়ম নামে আরেক নারী বলেন, ‘যত দিন মাঠে ফসল থাকে, আমাদের কাজ তত দিন থাকে। ধান কাটা ও মাড়াই, আলু, বাদাম, পেঁয়াজ ও রসুনের বীজ বপন, নিড়ানি দেওয়া সব ধরনের কৃষি কাজ করি। স্বামীর পাশাপাশি এই কাজ করে সংসার চালাচ্ছি, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছি, এনজিও থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করছি। কষ্ট হলেও পরিবারের জন্য কিছু করতে পারছি, এটাই আনন্দের।’
দারিদ্র্য আর ভাগ্য এই পেশায় নিয়ে এসেছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন জোনাকী বালা। এই শ্রমিক বলেন, ‘আমরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কৃষকের ফসলের কাজ করি। দলবেঁধে গল্পগুজব করে কাজ করি। রোজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রম দিয়ে আবার রাতে রান্না করে খেয়ে ঘুমাই।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, নারী কৃষিশ্রমিকেরা অনেক পরিশ্রমী। এ ছাড়া তাঁদের তুলনামূলক কম মজুরিতে পাওয়া যায়। এ কারণে কৃষকদের কাছে নারী শ্রমিকদের কদর বেশি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪