তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
নরসুন্দরের কাজ থেকে ঘরে ঘরে শৌচাগার পরিষ্কার। টিউশনি থেকে বর্গা জমিতে চাষ। ২৯ বছরের জীবনে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ও পড়ালেখা চালিয়ে নিতে অন্তত ২৬ ধরনের কাজ করেছেন শিপন রায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এই প্রাক্তন ছাত্রের সেই দুঃখের দিন অবশেষে ফুরাল। গত সোমবার রাজধানী ঢাকার কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দিয়েছেন শিপন।
এক বছর আগে বিশেষ নন ক্যাডার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন শিপন। কদিন আগে প্রকাশিত হয় এর প্রজ্ঞাপন। এরপর যোগ দেন শিক্ষকতায়। নিজের স্বপ্নে অনড় থাকলে কোনো প্রতিবন্ধকতাই যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না, তার প্রমাণ দিলেন শিপন।
জন্মের পরেই অভাবের সঙ্গে পরিচয় শিপনের। শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল পরিবারের। দরিদ্র সংসারে দুঃখ-কষ্ট তাই লেগে ছিল বারো মাস। সন্তানদের মুখে দু-বেলা খাবার তুলে দিতে শিপনের মা গীরু বালা রায়ের জীবন কেটেছে মানুষে বাড়ি বাড়ি কাজ করে। অভাবের কারণে ২০০৪ সালে শিপনের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিন বছর চুল কাটার কাজ করেন একটি সেলুনে। ২০০৬ সালে সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এলাকার দুই তরুণ মাঈন উদ্দিন ও আবদুল হাইয়ের সহায়তায় ফেরেন পড়ালেখায়।
সব সমস্যা ডিঙিয়ে যখন এগিয়ে যাচ্ছিলেন শিপন, তখন আবারও বাধা। ২০০৯ সালে তিনি যখন এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন মারা যান বাবা স্বপন রায়। এরপর পড়ালেখার পাশাপাশি পরিবারকে সহযোগিতা করতে যখন যে কাজ পেয়েছেন তাই করেছেন শিপন।
এসব দুঃখের কথা বলতে গিয়ে একটু হাসলেন শিপন। বললেন, ‘এখন আমার বয়স ২৯ চলছে। এর মধ্যেই ২৬ রকমের কাজ করে ফেলেছি। ১০ বছর মতো নরসুন্দরের কাজ করেছি। টাকার প্রয়োজনে মানুষের ঘরের টয়লেটও পরিষ্কার করেছি। জমিতে চাষ তো নিয়মিতই করা হয়।’ এত এত সংগ্রামের মধ্যেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে পেয়েছেন প্রথম শ্রেণি। এরপরই স্বপ্নের দুয়ার খুলে যায় শিপনের। উত্তীর্ণ হন নন ক্যাডারে।
অবশ্য এ জীবনের সংগ্রামী সফরে শিপন পাশে পেয়েছেন অনেককে। তাঁদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞ তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের শুরু থেকেই পেয়েছেন ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ‘পে ইট ফরওয়ার্ডের’ বৃত্তি। দুই বছর আগে করোনায় টিউশনি হারালে আবারও পাশে পান এই সংগঠনটিকে। এখান থেকে পাওয়া ১০ হাজার টাকায় নিজের গ্রামে ৭০ শতক জমি বর্গা নিয়ে আমন ধানের চাষ করেছেন।
মানুষে এমন ঋণ ভুলে যাননি শিপন। সুযোগ পেলেই অসহায়দের পাশে দাঁড়ান তিনি। করোনার সময়ে গ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মরদেহের সৎকার করেছেন। মানসিক প্রতিবন্ধীদের চুল-দাঁড়ি কেটে দিয়েছেন বহুবার। নিজের একটা স্থায়ী চাকরি হওয়ায় মানবিক কাজে আরও বেশি করে হাত লাগাতে পারবেন বলে দারুণ উচ্ছ্বসিত শিপন।
শিপন বলেন, ‘কোনো অসহায়-মেধাবী শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে সে জন্য তাঁদের পাশে দাঁড়াব। পাশে দাঁড়াতে চাই অসহায় মা-বাবাদেরও। আর আমার মা সারা জীবন কষ্ট করেছেন। তাঁর একটা বাড়ির খুব শখ। সেই শখ পূরণ করতে চাই।’
নরসুন্দরের কাজ থেকে ঘরে ঘরে শৌচাগার পরিষ্কার। টিউশনি থেকে বর্গা জমিতে চাষ। ২৯ বছরের জীবনে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ও পড়ালেখা চালিয়ে নিতে অন্তত ২৬ ধরনের কাজ করেছেন শিপন রায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এই প্রাক্তন ছাত্রের সেই দুঃখের দিন অবশেষে ফুরাল। গত সোমবার রাজধানী ঢাকার কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দিয়েছেন শিপন।
এক বছর আগে বিশেষ নন ক্যাডার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন শিপন। কদিন আগে প্রকাশিত হয় এর প্রজ্ঞাপন। এরপর যোগ দেন শিক্ষকতায়। নিজের স্বপ্নে অনড় থাকলে কোনো প্রতিবন্ধকতাই যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না, তার প্রমাণ দিলেন শিপন।
জন্মের পরেই অভাবের সঙ্গে পরিচয় শিপনের। শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল পরিবারের। দরিদ্র সংসারে দুঃখ-কষ্ট তাই লেগে ছিল বারো মাস। সন্তানদের মুখে দু-বেলা খাবার তুলে দিতে শিপনের মা গীরু বালা রায়ের জীবন কেটেছে মানুষে বাড়ি বাড়ি কাজ করে। অভাবের কারণে ২০০৪ সালে শিপনের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিন বছর চুল কাটার কাজ করেন একটি সেলুনে। ২০০৬ সালে সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এলাকার দুই তরুণ মাঈন উদ্দিন ও আবদুল হাইয়ের সহায়তায় ফেরেন পড়ালেখায়।
সব সমস্যা ডিঙিয়ে যখন এগিয়ে যাচ্ছিলেন শিপন, তখন আবারও বাধা। ২০০৯ সালে তিনি যখন এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন মারা যান বাবা স্বপন রায়। এরপর পড়ালেখার পাশাপাশি পরিবারকে সহযোগিতা করতে যখন যে কাজ পেয়েছেন তাই করেছেন শিপন।
এসব দুঃখের কথা বলতে গিয়ে একটু হাসলেন শিপন। বললেন, ‘এখন আমার বয়স ২৯ চলছে। এর মধ্যেই ২৬ রকমের কাজ করে ফেলেছি। ১০ বছর মতো নরসুন্দরের কাজ করেছি। টাকার প্রয়োজনে মানুষের ঘরের টয়লেটও পরিষ্কার করেছি। জমিতে চাষ তো নিয়মিতই করা হয়।’ এত এত সংগ্রামের মধ্যেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে পেয়েছেন প্রথম শ্রেণি। এরপরই স্বপ্নের দুয়ার খুলে যায় শিপনের। উত্তীর্ণ হন নন ক্যাডারে।
অবশ্য এ জীবনের সংগ্রামী সফরে শিপন পাশে পেয়েছেন অনেককে। তাঁদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞ তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের শুরু থেকেই পেয়েছেন ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ‘পে ইট ফরওয়ার্ডের’ বৃত্তি। দুই বছর আগে করোনায় টিউশনি হারালে আবারও পাশে পান এই সংগঠনটিকে। এখান থেকে পাওয়া ১০ হাজার টাকায় নিজের গ্রামে ৭০ শতক জমি বর্গা নিয়ে আমন ধানের চাষ করেছেন।
মানুষে এমন ঋণ ভুলে যাননি শিপন। সুযোগ পেলেই অসহায়দের পাশে দাঁড়ান তিনি। করোনার সময়ে গ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মরদেহের সৎকার করেছেন। মানসিক প্রতিবন্ধীদের চুল-দাঁড়ি কেটে দিয়েছেন বহুবার। নিজের একটা স্থায়ী চাকরি হওয়ায় মানবিক কাজে আরও বেশি করে হাত লাগাতে পারবেন বলে দারুণ উচ্ছ্বসিত শিপন।
শিপন বলেন, ‘কোনো অসহায়-মেধাবী শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে সে জন্য তাঁদের পাশে দাঁড়াব। পাশে দাঁড়াতে চাই অসহায় মা-বাবাদেরও। আর আমার মা সারা জীবন কষ্ট করেছেন। তাঁর একটা বাড়ির খুব শখ। সেই শখ পূরণ করতে চাই।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৮ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪