হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
তিন বন্ধুসহ এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের প্রবেশমুখ থেকে সিআরবি এলাকায় যাচ্ছিলেন চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত। ফুটপাত ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় তিনি হঠাৎ নালায় পড়ে যান। ভেঙে যায় আরাফাতের বাম পায়ের হাড়।
৩০ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে। সে সময় আরাফাত জানিয়েছিলেন, হল-২৪-এর বিপরীতে ফুটপাতের ওপর একটি স্ল্যাব উন্মুক্ত ছিল। ৩০ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটপাত ধরে হাঁটার সময় অসাবধানতাবশত উন্মুক্ত স্ল্যাবে তিনি পড়ে যান। এরপর চার মাস ধরে ভাঙা পা নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন তিনি।
শুধু আরাফাত নন, গত এক বছরে উন্মুক্ত নালায় পড়ে এভাবে অনেকে হতাহত হয়েছেন। শুধু ২০২১ সালে চট্টগ্রাম নগরীতে উন্মুক্ত নালা-খালে পড়ে মারা গেছেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ এলাকায় নালায় পড়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া। এর আগে আগস্টে মুরাদপুর এলাকায় উন্মুক্ত খালে পড়ে মারা যান সালেহ আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁদের মধ্যে একজনের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি।
এসব ঘটনায় উন্মুক্ত খাল-নালায় স্ল্যাব বসানোর দাবি তোলেন চট্টগ্রামবাসী। সমালোচনার মুখে ডিসেম্বর মাসে উন্মুক্ত নালায় স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু করে সিটি করপোরেশন। এরপর ৭ মাস পার হয়েছে। তবে এখনো নগরীর উন্মুক্ত খাল-নালায় স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ করেনি তারা। আর তাতে উন্মুক্ত নালায় পড়ে হতাহতের ঘটনা বাড়ছে।
ফুটপাত ধরে হাঁটতে গিয়ে প্রায় সময় নালায় পড়ে আহত হচ্ছেন নগরবাসী। সর্বশেষ দুই দিনে নগরীতে এক শিশুসহ দুজন নালায় পড়ে যায়। তাদের মধ্যে ৫ বছর বয়সী এক শিশু গত শনিবার বিকেলে তার মায়ের সঙ্গে হেঁটে যাওয়ার সময় নগরীর পুরাতন চান্দগাঁও এলাকায় নালায় পড়ে যায়। কাজল নামের আরেক ব্যক্তি গতকাল রোববার দুপুরে একই এলাকার স্বাধীনতা কমপ্লেক্সের বিপরীতে উন্মুক্ত নালায় পড়ে আহত হন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করেন।
সিটি করপোরেশনের (চসিক) হিসাবে নগরীতে ১৬১ কিলোমিটার খাল এবং ৯৪৬ কিলোমিটার পাকা নালা আছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খালের ৯৫ দশমিক ২ কিলোমিটার খাল ও ৩০২ কিলোমিটার নালার সংস্কারকাজ করছে। বাকি ২১টি খাল ও ৬৪৪ কিলোমিটার নালা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীনে রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, এই ৬৪৪ কিলোমিটার নালার অধিকাংশ জায়গা উন্মুক্ত। নগরীর ওয়াসা, জিইসি, জাকির হোসেন রোডে ফুটপাত ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় দেখা যায়, কিছুদূর পরপরই মাঝখানে একটি স্ল্যাব নেই। আবার কোথাও নালার ওপর স্ল্যাব বসানো হলেও দেখা যায়, মাঝখানে একটি স্ল্যাব নেই। অথবা স্ল্যাব থাকলেও হয় ভাঙা, না হয় দুই স্ল্যাবের মাঝখানে অনেকটা ফাঁকা। আর তাতে ফুটপাত ধরে হাঁটতে গিয়ে ফাঁকা অংশ দিয়ে প্রায় অসাবধানতাবশত নালায় পড়ে যান নগরবাসী।
নগরবাসীর অভিযোগ, এসব ভাঙা ও উন্মুক্ত নালায় স্ল্যাব বসানোর জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের বারবার বলা হচ্ছে। তবে তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নেন না।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা। তাঁরা বলেছেন, কোথাও স্ল্যাব ভেঙে যাওয়ার খবর পেলেই তাঁরা সেখানে নতুন স্ল্যাব বসিয়ে দিচ্ছেন। গত ডিসেম্বর মাস থেকে এখন পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ২৫ হাজার স্কয়ার ফুট স্ল্যাব বসিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকৌশল বিভাগ থেকে নিয়মিত ভাঙা স্ল্যাবগুলো সরিয়ে সেখানে নতুন স্ল্যাব বসানো হয়। এক জায়গায় একটি স্ল্যাব ঠিক করা হলে অন্য জায়গায় আরেকটি স্ল্যাব ভেঙে যাচ্ছে। আমাদের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা নালা পরিষ্কার করার সময় স্ল্যাব তুলে পরে আবার বসানোর সময় ভেঙে যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে মানুষ স্ল্যাব তুলে নিয়ে যাচ্ছে। নানা কারণে স্ল্যাব ভেঙে যাচ্ছে। তাই নিয়মিত স্ল্যাব পরিবর্তন করার পরও ফুটপাতে ভাঙা স্ল্যাব থেকে যাচ্ছে। আর তাতে দুর্ঘটনা ঘটছে।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গত ছয় মাসে আমরা ২৫ হাজার স্কয়ার ফুট স্ল্যাব বসিয়েছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে নগরীর সব উন্মুক্ত নালায় স্ল্যাব বসানো হবে।’
তিন বন্ধুসহ এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের প্রবেশমুখ থেকে সিআরবি এলাকায় যাচ্ছিলেন চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত। ফুটপাত ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় তিনি হঠাৎ নালায় পড়ে যান। ভেঙে যায় আরাফাতের বাম পায়ের হাড়।
৩০ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে। সে সময় আরাফাত জানিয়েছিলেন, হল-২৪-এর বিপরীতে ফুটপাতের ওপর একটি স্ল্যাব উন্মুক্ত ছিল। ৩০ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটপাত ধরে হাঁটার সময় অসাবধানতাবশত উন্মুক্ত স্ল্যাবে তিনি পড়ে যান। এরপর চার মাস ধরে ভাঙা পা নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন তিনি।
শুধু আরাফাত নন, গত এক বছরে উন্মুক্ত নালায় পড়ে এভাবে অনেকে হতাহত হয়েছেন। শুধু ২০২১ সালে চট্টগ্রাম নগরীতে উন্মুক্ত নালা-খালে পড়ে মারা গেছেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ এলাকায় নালায় পড়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়া। এর আগে আগস্টে মুরাদপুর এলাকায় উন্মুক্ত খালে পড়ে মারা যান সালেহ আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁদের মধ্যে একজনের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি।
এসব ঘটনায় উন্মুক্ত খাল-নালায় স্ল্যাব বসানোর দাবি তোলেন চট্টগ্রামবাসী। সমালোচনার মুখে ডিসেম্বর মাসে উন্মুক্ত নালায় স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু করে সিটি করপোরেশন। এরপর ৭ মাস পার হয়েছে। তবে এখনো নগরীর উন্মুক্ত খাল-নালায় স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ করেনি তারা। আর তাতে উন্মুক্ত নালায় পড়ে হতাহতের ঘটনা বাড়ছে।
ফুটপাত ধরে হাঁটতে গিয়ে প্রায় সময় নালায় পড়ে আহত হচ্ছেন নগরবাসী। সর্বশেষ দুই দিনে নগরীতে এক শিশুসহ দুজন নালায় পড়ে যায়। তাদের মধ্যে ৫ বছর বয়সী এক শিশু গত শনিবার বিকেলে তার মায়ের সঙ্গে হেঁটে যাওয়ার সময় নগরীর পুরাতন চান্দগাঁও এলাকায় নালায় পড়ে যায়। কাজল নামের আরেক ব্যক্তি গতকাল রোববার দুপুরে একই এলাকার স্বাধীনতা কমপ্লেক্সের বিপরীতে উন্মুক্ত নালায় পড়ে আহত হন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করেন।
সিটি করপোরেশনের (চসিক) হিসাবে নগরীতে ১৬১ কিলোমিটার খাল এবং ৯৪৬ কিলোমিটার পাকা নালা আছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খালের ৯৫ দশমিক ২ কিলোমিটার খাল ও ৩০২ কিলোমিটার নালার সংস্কারকাজ করছে। বাকি ২১টি খাল ও ৬৪৪ কিলোমিটার নালা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীনে রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, এই ৬৪৪ কিলোমিটার নালার অধিকাংশ জায়গা উন্মুক্ত। নগরীর ওয়াসা, জিইসি, জাকির হোসেন রোডে ফুটপাত ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় দেখা যায়, কিছুদূর পরপরই মাঝখানে একটি স্ল্যাব নেই। আবার কোথাও নালার ওপর স্ল্যাব বসানো হলেও দেখা যায়, মাঝখানে একটি স্ল্যাব নেই। অথবা স্ল্যাব থাকলেও হয় ভাঙা, না হয় দুই স্ল্যাবের মাঝখানে অনেকটা ফাঁকা। আর তাতে ফুটপাত ধরে হাঁটতে গিয়ে ফাঁকা অংশ দিয়ে প্রায় অসাবধানতাবশত নালায় পড়ে যান নগরবাসী।
নগরবাসীর অভিযোগ, এসব ভাঙা ও উন্মুক্ত নালায় স্ল্যাব বসানোর জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের বারবার বলা হচ্ছে। তবে তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নেন না।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা। তাঁরা বলেছেন, কোথাও স্ল্যাব ভেঙে যাওয়ার খবর পেলেই তাঁরা সেখানে নতুন স্ল্যাব বসিয়ে দিচ্ছেন। গত ডিসেম্বর মাস থেকে এখন পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ২৫ হাজার স্কয়ার ফুট স্ল্যাব বসিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকৌশল বিভাগ থেকে নিয়মিত ভাঙা স্ল্যাবগুলো সরিয়ে সেখানে নতুন স্ল্যাব বসানো হয়। এক জায়গায় একটি স্ল্যাব ঠিক করা হলে অন্য জায়গায় আরেকটি স্ল্যাব ভেঙে যাচ্ছে। আমাদের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা নালা পরিষ্কার করার সময় স্ল্যাব তুলে পরে আবার বসানোর সময় ভেঙে যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে মানুষ স্ল্যাব তুলে নিয়ে যাচ্ছে। নানা কারণে স্ল্যাব ভেঙে যাচ্ছে। তাই নিয়মিত স্ল্যাব পরিবর্তন করার পরও ফুটপাতে ভাঙা স্ল্যাব থেকে যাচ্ছে। আর তাতে দুর্ঘটনা ঘটছে।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গত ছয় মাসে আমরা ২৫ হাজার স্কয়ার ফুট স্ল্যাব বসিয়েছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে নগরীর সব উন্মুক্ত নালায় স্ল্যাব বসানো হবে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫