Ajker Patrika

সেতু আছে, সড়ক নেই

তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৪৪
সেতু আছে, সড়ক নেই

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ফুলেশ্বরী নদীতে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও সেতুটি দিয়ে চলাচলের জন্য সড়ক তৈরি করা হয়নি। এতে জনসাধারণের কোনো কাজে আসছে না সেতুটি।

জানা গেছে, উপজেলার ধলা ইউনিয়নের তেউড়িয়া গ্রামের শেষ সীমানায় ফুলেশ্বরী নদীর ওপর সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ৫ বছর আগে। প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুর এক পাশে মাটি ভরাট করা হয়েছে। তবে অন্য পাশে সেতুতে ওঠার জন্য দীর্ঘ সময়েও মাটি ফেলে সড়ক করা হয়নি। ফলে জনসাধারণের দুর্ভোগ রয়েই গেছে। শীতকালে পানি কমে গেলে সেতুর দুই পাশের লোকজন নিচ দিয়ে যাতায়াত করেন। তবে বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ফুলেশ্বরী নদী পার হতে হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর দক্ষিণ অংশ তাড়াইল উপজেলা এবং উত্তর অংশ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বানিয়াগাতিতে পড়েছে। তাড়াইল উপজেলার সীমানায় সেতুতে উঠতে অ্যাপ্রোচ সড়কে মাটি ভরাট করা হয়েছে। কিন্তু বানিয়াগাতি অংশে মাটি ফেলা হয়নি। ফলে আশপাশের প্রায় ২০ হাজার মানুষের কোনো কাজেই আসছে না সেতুটি।

বানিয়াগাতি গ্রামের রুবেলসহ কয়েকজন তরুণ জানান, এ বিষয়ে কয়েকবার আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি।

বানিয়াগাতি গ্রামের প্রবীণ লাল মিয়া, আশক আলী, আজিজুল ইসলাম, আমিনুল, আইনুলসহ অনেকেই দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেন। তাঁরা সেতুতে ওঠার সড়ক নির্মাণের জন্য বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ধলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মবিন জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় বিগত ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে সেতুটি তৈরি করা হয়। তখন চেয়ারম্যান হিসেবে সেতু তৈরিসহ মাটি কাটার কাজ করেন তিনি। এরপর বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেতুতে ওঠার জন্য অ্যাপ্রোচ সড়কে মাটি ফেলার কাজ করেননি।

মোজাফরপুর ইউপির সাবেক সদস্য (মেম্বার) সিরাজ মিয়া জানান, বানিয়াগাতি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ তাড়াইল উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন এ পথ দিয়ে। তা ছাড়া কেন্দুয়া উপজেলা সদর অনেক দূরে হওয়ায় শিক্ষা, চিকিৎসা ও যাবতীয় কাজকর্ম তাড়াইল উপজেলায় গিয়ে সম্পন্ন করতে হয়।

মোজাফরপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সদ্য চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী প্রার্থী মো.জাকির আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি যত দ্রুত সম্ভব জনস্বার্থে ফুলেশ্বরী নদীর ওপর সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কে মাটি ভরাটের কাজ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত