Ajker Patrika

যমুনায় পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে ৪৭২ হেক্টর ফসল

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
যমুনায় পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে ৪৭২ হেক্টর ফসল

যমুনায় হঠাৎ পানি বাড়ায় জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৪৭২ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে উপজেলার ঝাউগড়া ও ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের রোপা আমন ও মরিচখেতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় আছেন উপজেলার কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে যমুনায় পানি বেড়েছে। এতে রোপা আমন ২১৫ হেক্টর, মরিচ ৯৫ হেক্টর, পেঁয়াজ ২০ হেক্টর, ভুট্টা ৬৫ হেক্টর, মাষকলাই ৩৫ হেক্টর, শাকসবজি ৪২ হেক্টরের ফসল ডুবে গেছে। উপজেলায় আমন চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল ১৬ হাজার ৬০ হেক্টর।

সরেজমিনে ঘোষেরপাড়া ও ঝাউগড়া ইউনিয়নের কান্দারপাড়া, ভাগবাড়ি, টোপকারচর, শেখসাদী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, আমন ধান ও মরিচের বিস্তীর্ণ খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকে আবার মরিচখেত বাঁচাতে খেতের চারপাশে মাটি দিয়ে উঁচু করে আইল তৈরি করছেন। খেত থেকে পানি সেচে ফেলছেন।

কান্দারপাড়া এলাকার কৃষক হারুন মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিনে ধরে হঠাৎ পানি বেড়ে ধানখেত তলিয়ে গেছে। প্রতিদিনই অল্প অল্প করে পানি বাড়ছে। এই এলাকার প্রায় সবাই ধান ও মরিচ লাগিয়েছে। আমার এক বিঘা আমন ধান ও মরিচখেত তলিয়ে গেছে।’

একই এলাকার আইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ধান ও মরিচ মিলে চার বিঘা জমি তলিয়ে গেছে। খেতে পানি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মরিচ নষ্ট হতে শুরু করেছে। চিন্তায় আছি কী করব।’

ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ভাগবাড়ী এলাকার কৃষক খোকন মিয়া বলেন, ‘তিন দিন আগেই আমনখেত পানিতে ডুবে গেছে। আর কিছুদিন পানি বাড়লে বাকি যে জমি আছে, সেগুলোও তলিয়ে যাবে।’

টোপকারচর এলাকার সেকান্দর আলী নামের এক কৃষক বলেন, ‘বিশেষ করে মরিচখেতে বন্যার পানি ঢুকলে তা আর থাকে না। খেতে পানি ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মরিচগাছ মরতে শুরু করে। আমি ২০ শতাংশ জমিতে হাইব্রিড মরিচের চারা লাগিয়েছিলাম। সম্পূর্ণ খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।’

ঘোষেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইদুল ইসলাম লিটু বলেন, নিচু জায়গা হওয়ায় এ ইউনিয়নের আমন ও মরিচখেত তলিয়ে গেছে। পানি বাড়লে ক্ষতি আরও বেশি হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, ক্ষতির পরিমাণ আরও দুই সপ্তাহ পরে জানা যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে যমুনায় পানি কমতে শুরু করেছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিঞা বলেন, হঠাৎ পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের কিছু ফসলি জমি তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত