Ajker Patrika

বলেশ্বর নদে নির্বিচারে ইলিশের পোনা নিধন

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, ১১: ১৮
বলেশ্বর নদে নির্বিচারে ইলিশের পোনা নিধন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বলেশ্বর নদে নিষিদ্ধ জালে নির্বিচারে মারা পড়ছে ইলিশের পোনা। দৈনিক মণকে মণ পোনা নিধন হলেও প্রশাসন নির্বিকার। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার বড় মাছুয়া ইউনিয়নের কাটাখাল, পুরোনো খাল, লঞ্চঘাট, তুষখালীর তুলাতলা, হোতাখাল ও বেতমোরের সাংরাইল এলাকায় নিষিদ্ধ জালে যেভাবে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের পোনা নিধন চলছে, এতে অচিরেই মাছের ভান্ডার শূন্য হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় সাধারণ জেলে ও সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, নদীতে ছোট ফাঁস জালের অবাধ ব্যবহারে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন, বংশবিস্তার ও বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। মৎস্য আইনে মাছের পোনা সংরক্ষণে সোয়া চার ইঞ্চির কম ফাঁস জাল ব্যবহার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ ওই এলাকায় আধা ইঞ্চি থেকে পৌনে এক ইঞ্চি ফাঁস জাল ব্যবহার করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার তুষখালী থেকে বড় মাছুয়া হয়ে খেতাছিড়া পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার বিশাল এলাকাজুড়ে নিষিদ্ধ বাঁধা, গড়া ও বেহুন্দি জাল পাতা হচ্ছে। এসব জালের ফাঁস আধা ইঞ্চি থেকে পৌনে এক ইঞ্চি। ছোট ফাঁসের নিষিদ্ধ জালে অবাধে পোনা মাছ নিধন চলছে। সাধারণত জেলেরা ইলিশ, পোয়া, ট্যাংরা, চিংড়ি, তপসীসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরেন। জালে এসব মাছের পাশাপাশি অনেক মাছের পোনাও আটকা পড়ে। কিন্তু এসব পোনা কোনো কাজে না লাগায় তাঁরা নদীতে ফেলে দেন। এদিকে নদী থেকে ধরা মাছ ট্রলারে করে ঘাটে এনে প্রকাশ্যে খোলা ডাক দিয়ে বিক্রি করা হয়। সেখানে বিভিন্ন মাছের মধ্যে ইলিশের পোনা, ডিমওয়ালা গলদা চিংড়ি, পাঙাশের পোনাও প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।

বড় মাছুয়া ইউনিয়নে খেজুরবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বাবুল আকন অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলেদের নিষিদ্ধ বাঁধা জালে নদীতে প্রচুর পরিমাণে ইলিশের পোনা মারা পড়ছে। জেলেরা ইলিশের ছোট পোনাগুলো নদীতে ফেলে দিয়ে আসে। দেড়-দুই ইঞ্চি সাইজের পোনাগুলো ঘাটে এসে প্রকাশ্যে খোলা ডাকে বিক্রি হচ্ছে।’

মৎস্য ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘অসাধু জেলেদের মাছের পোনা নিধনের ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে বারবার জানানো হলেও কোনো অভিযান পরিলক্ষিত হয়নি। নির্মম এ নিধনযজ্ঞের কারণে প্রজননকালীন ইলিশ রক্ষায় সরকারের নেওয়া সব উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে।’

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অলিউর রহমান বলেন, ‘রমজানের কারণে আমাদের অভিযানে কিছুটা ভাটা পড়েছে। শুনেছি, মাছের পোনা নিধনের প্রকোপ বর্তমানে বেড়ে গেছে। শিগগিরই পোনা নিধনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত