Ajker Patrika

পণ্যের দাম বৃদ্ধি, মান কমল খাবারের দোকানে

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২২, ১৬: ৩৩
পণ্যের দাম বৃদ্ধি, মান কমল খাবারের দোকানে

গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে নীলফামারীর হোটেল-রেস্তোরাঁসহ খাবারের দোকানে। দফায় দফায় খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বেকায়দায় এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক। এতে দাম ঠিক রেখে খাবারের মান কমানোর অভিযোগ ক্রেতাদের।

জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সামসুল আলম জানান, সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের এসব খাবারের দাম বাড়ানো যাবে না। এ জন্য আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। এ ছাড়া প্রতিটি হোটেল-রেস্তোরাঁয় মূল্যতালিকা থাকতে হবে। যদি কোনো খাবারের দাম বাড়ানো হয়, তা ওই তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া দৈনিক পণ্য ক্রয়ের পাকা রসিদ মালিকদের কাছে থাকতে হবে বলে।

জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় দেড় শতাধিক খাবার হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে সৈয়দপুর শহরে আছে ৫০টির বেশি খাবারের দোকান। এসব দোকানে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় থাকে।

সৈয়দপুরে পাঁচমাথা মোড়ের একটি হোটেলে নিয়মিত সকালের নাশতা করেন নির্মাণ শ্রমিক রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, কাজে যোগদানের আগে এই হোটেলে প্রতিদিন সকালের নাশতা খাই। আগে ১০ টাকা দামে দুটি পরোটা সকালের নাশতা হিসেবে যথেষ্ট ছিল, এখন একই দামের চারটা পরোটা খেয়ে পেট ভরছে না। কারণ হিসেবে তিনি জানান, পরোটাগুলো আকারে ছোট ও পাতলা। সঙ্গে ডাল বা সবজিতে আগের মতো স্বাদ নেই এবং পরিমাণে কম দেওয়া হয়।

শহরের বড় বাজারের হোটেলে সকালের নাশতা করতে আসা আফসানা মিমি নামে এক মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী জানায়, সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় এ হোটেলে নাশতা করি। আগে ২০ টাকায় ভালো নাশতা করতে পারতাম। এখন ৪০ টাকায়ও পরিতৃপ্তির নাশতা হচ্ছে না।

সৈয়দপুর শহরের হোটেল মালিক সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, বাজারে সবজি, মাছ-মাংস ও মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় দৈনিক ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। এটা পোষাতে তিনি ভোক্তাদের কাছে প্রতি প্লেটে ১০ টাকা বাড়িয়েছেন। এতে যৎসামান্য ক্ষতি পূরণ হচ্ছে

হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান জানান, খাবার তৈরির উপকরণ, শ্রমিকের পারিশ্রমিক, দোকানভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও গ্যাসের দাম বাড়তি। অথচ ভোক্তাদের কাছে বাড়তি দাম নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ ও আকৃতি কমাতে হচ্ছে। এরপরও এ ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে অনেককে।

নীলফামারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, ভোক্তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে এ বিষয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত