Ajker Patrika

বাড়তি টাকায়ও মিলছে না তেল

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ মে ২০২২, ১৫: ০৭
Thumbnail image

নীলফামারীর সৈয়দপুর বাজারে অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না সয়াবিন তেল। কিছু দোকানে থাকলেও তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কেনার শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন দোকানিরা। অন্যথায় তেল বিক্রি করছেন না তাঁরা। খুচরা বিক্রেতারা জানান, কিছুদিন ধরে বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহ না করায় সয়াবিন তেলের এ সংকট তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে কয়েকজন তেলের পাইকারি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০ লিটার খোলা সয়াবিন তেলের ব্যারেলের দাম এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৮ হাজার টাকা। এখন তা ৩৩ হাজার টাকা। এরপরও কোম্পানিকে অগ্রিম টাকা পাঠিয়েও তাঁরা চাহিদামতো তেল পাচ্ছেন না। খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের নীলফামারীর উপ-সহকারী পরিচালক শফিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। যারা সয়াবিন তেল গুদামজাত করে রেখে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানেই নেই সয়াবিন তেল। ক্রেতারা তেলের জন্য এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ঘুরছেন। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা গেট বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে এসেছেন আসলাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘আটটি দোকান ঘুরে একটিতে তেল পেয়েছি। কিন্তু দোকানদার সয়াবিন তেলের সঙ্গে বাড়তি পণ্য কিনতে বাধ্য করছেন। না হলে তেল বিক্রি করছেন না। আমরা সাধারণ ক্রেতারা বিপদে আছি।’

শহরের সাহেবপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রউফ স্ত্রীসহ বাজারের এসেছেন তেল কিনতে। তাঁরা বলেন, ‘কয়েকটি দোকান ঘুরে তেল না পেয়ে খালি হাতেই ঘরে ফিরছি।’ সরকারের মনিটরিং না থাকাকেই কৃত্রিম সংকটের জন্য দুষছেন তাঁরা।

শহরের ইসলামবাগ এলাকার খুচরা মুদিদোকানি মতিউর রহমান বলেন, তাঁর দোকানে মাত্র তিন বোতল সয়াবিন তেল আছে। তেলের চাহিদা জানিয়ে সরবরাহের জন্য ভোজ্যতেল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হয়েছে।

গোলাহাট এলাকার আশরাফুল হোসেন নামে এক দোকানি বলেন, ‘সয়াবিন তেল বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহ দোকানে তেল সরবরাহ করেনি। এ জন্য দোকানে তেল ফুরিয়ে গেছে। বিক্রয় প্রতিনিধিদের অনেক অনুরোধের পর আজ (রোববার) দুপুরে মাত্র পাঁচ কার্টন তেল দিয়ে গেছেন। তা-ও চুক্তি সাপেক্ষে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তিমতো একটি কোম্পানির তেলের সঙ্গে মরিচের গুঁড়ার প্যাকেট নিতে হয়েছে। আরেকটি কোম্পানির তেলের সঙ্গে বাধ্যতামূলক চা পাতার প্যাকেট নিতে হয়েছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ভোজ্যতেল কোম্পানির এক বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, তিনি একজন সাধারণ কর্মচারী। কেন তেল কম সরবরাহ করা হচ্ছে, তা ডিস্ট্রিবিউটর ও কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয় তিনি কিছুই বলতে পারবেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত