Ajker Patrika

সবজি চাষে স্বাবলম্বী হামিদ

জামাল মিয়া, বিশ্বনাথ
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ১৭
সবজি চাষে স্বাবলম্বী হামিদ

বিশ্বনাথ পৌর এলাকার পুরানগাঁও কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ। আট সদস্যের পরিবার তাঁর। নিজের কোনো চাষের জমি ছিল না। তাই অভাব-অনটন লেগে থাকত। অন্যের জমিতে সবজি চাষ করে এখন তিনি স্বাবলম্বী। পরিবারেও এখন অভাব-অনটন নেই।

অন্যের জমিতে তিনি প্রতি বছরের মতো এবারও বিভিন্ন জাতের সবজি চাষাবাদ করেছেন। প্রতি শীতে সবজি চাষাবাদ করে লাখ টাকা উপার্জন করেন। আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের বীজ ব্যবহার করায় তাঁর সবজি উৎপাদন বেশ ভালো।

চাষি আব্দুল হামিদ জানান, অন্যের জমিতে অন্যান্য ফসলের মতো তিনি সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। প্রায় ২৫ শতক জমিতে ১২ হাজার টাকা ব্যয় করে এবার শসা চাষ করেন। দেড় মাস পর তিনি সাফল্যের মুখ দেখতে পান। শসার ভালো ফলন হয়। প্রতি কেজি শসা পাইকারি বিক্রি করেন ১৫ টাকা দামে।

চাষি আব্দুল হামিদ বলেন, প্রতিদিন গাছের পরিচর্যায় বেশ সময় দিই। বর্তমানে আমার জমিতে প্রচুর শসা রয়েছে। শীত ও বর্ষা মৌসুমে আমি মৌসুমি শাক-সবজি চাষ করি। এ মৌসুমে জমিতে লাল শাক, শিম, মুলা, লাউ, ফুলকপি, টমেটো চাষাবাদ করেছি। সবজি চাষাবাদ করা এখন তাঁর নেশায় পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে শীতকালীন শাক বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ২৫ হাজার টাকার শসা বিক্রি করেছেন। আরও প্রায় ৪০ হাজার টাকার শসাসহ অন্যান্য ফসল বিক্রি করতে পারবেন। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে ভবিষ্যতে ব্যাপকভাবে শাক-সবজি উৎপাদন করতে পারবেন। কৃষি অফিসের লোকজনকে তাঁর শসার বাগান দেখে যাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, ‘উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি চাষাবাদ হয়। ফলনও খুব ভালো হয়। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও বীজ সরবরাহ করা হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত