এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
২০০৯ সালের ১৩ আগস্ট। রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর শামীম হায়দারের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ময়মনসিংহের আকলিমা ফেরদৌস শেলী। বিয়ের মাত্র ১৫ দিন না যেতেই স্ত্রীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা যৌতুক দাবি করেন শামীম। টাকা না দেওয়ায় বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় আকলিমাকে তালাক দেন শামীম।
তিন বছর ধরে পোশাক কারখানায় চাকরি করে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন এই নারী। এদিকে ময়মনসিংহে নানাবাড়িতে বেড়ে উঠছে আকলিমার ১২ বছর বয়সী এক ছেলে। এই সন্তানকে শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন শামীম। একপর্যায়ে আদালতের নির্দেশে দুইবার ডিএনএ পরীক্ষা হয়। দুইবারই প্রমাণ মেলে এই সন্তান আকলিমা–শামীম দম্পতিরই। আদালত নির্দেশ দেন ভরণপোষণ দিতে। এরপরও কোনো রকম ভরণপোষণ দিচ্ছেন না শামীম।
অভাবের সংসারে নিজের এবং সন্তানের ভরণপোষণের আশায় এক যুগ ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন মা আকলিমা।
আকলিমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিউশনি করে মামলার খরচ জুগিয়েছি। বাবা সাত বছর অসুস্থ থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরে মারা যান। প্রথম সন্তান হওয়ায়
মা-বাবা আমার যেকোনো আবদার পূরণ করার চেষ্টা করতেন। আর বিয়ের পরই জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেল।’
আকলিমা জানান, বিয়ের সময় তাঁর বাবার বাড়ি থেকে দুই ভরি স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও ক্রোকারিজসামগ্রী দেওয়া হয়। আর শামীম দেনমোহরের ১ লাখ টাকার মধ্যে ৩০ হাজার টাকা উশুল হিসেবে পরিশোধ করেন।
এদিকে বিয়ের ১৫ দিন যেতে না যেতেই শামীম ব্যবসার জন্য আকলিমাকে ১ লাখ টাকা দিতে চাপ দেন। সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে আকলিমা ৫০ হাজার টাকাও দেন।
কিছুদিন পর একই অজুহাতে শামীম আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। তখন আকলিমা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরই মধ্যে আকলিমা গর্ভবতী হন। কিছুদিন পর তাঁকে তালাক দেন শামীম হায়দার। আকলিমা স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন পল্লবী থানায়। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর কোনো ভরণপোষণ দেননি স্বামী। এরপর দেনমোহর ও অনাগত সন্তানের ভরণপোষণ চেয়ে ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করা হয়। ২০১০ সালের ২৩ মে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন আকলিমা। তবে সন্তান জন্মের পর তাঁকে নিজের বলে অস্বীকার করেন শামীম হায়দার।
দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর রায় দেন আদালত। মামলা করার পর থেকে রায়ের দিন পর্যন্ত নাবালকের জন্য মাসিক ২ হাজার করে মোট ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, আকলিমার দেনমোহরের বকেয়া ৭০ হাজার এবং অতীত ভরণপোষণ হিসেবে মাসিক ৩ হাজার টাকা হিসাবে ২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দেন। সর্বমোট ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ৪৫ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেন আদালত।
এ ছাড়া ভবিষ্যতের ভরণপোষণ হিসেবে আকলিমার জন্য মাসিক ৪ হাজার এবং সন্তানের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মাসিক ৩ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়। আর উভয়ের ভরণপোষণ প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বাড়বে বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত। রায়ের পর ডিক্রিও জারি করা হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে শামীমের আপিল ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট খারিজ হয়। এরপর শামীম হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন আবেদন করেন। শুনানির সময় তাঁর আইনজীবী আদালতকে জানান, শামীম সব টাকা পরিশোধ করতে চান। এই জন্য দুই সপ্তাহ সময় দরকার। আদালত সময় মঞ্জুর করলেও আইনজীবী জানান, শামীম এখন আর আকলিমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। আদালত বলেন, এ ধরনের ব্যবহার অন্যায় এবং তা দীর্ঘসূত্রতার কৌশল। ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এ-সংক্রান্ত রুল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। যাতে বিচারিক আদালতের রায় বহাল থাকে। এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন শামীম হায়দার। যা এখন শুনানির অপেক্ষায়। এদিকে আকলিমা আপিল বিভাগের শুনানিতে অংশ নিতে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের দ্বারস্থ হন। লিগ্যাল এইড কমিটি তাঁর জন্য আইনজীবীও নিয়োগ দিয়েছে। আকলিমার আইনজীবী শিরিন আফরোজ বলেন, এটি অবকাশের পর শুনানি হবে।
এই বিষয়ে শামীমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে আইনজীবী জানান, শামীমের মোবাইল ফোন নম্বর নেই। শামীম হায়দারের পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে
এম শামসেদ। তিনি বলেন, শামীমের আপিল খারিজ হলে টাকা তো দিতেই হবে।
২০০৯ সালের ১৩ আগস্ট। রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর শামীম হায়দারের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ময়মনসিংহের আকলিমা ফেরদৌস শেলী। বিয়ের মাত্র ১৫ দিন না যেতেই স্ত্রীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা যৌতুক দাবি করেন শামীম। টাকা না দেওয়ায় বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় আকলিমাকে তালাক দেন শামীম।
তিন বছর ধরে পোশাক কারখানায় চাকরি করে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন এই নারী। এদিকে ময়মনসিংহে নানাবাড়িতে বেড়ে উঠছে আকলিমার ১২ বছর বয়সী এক ছেলে। এই সন্তানকে শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন শামীম। একপর্যায়ে আদালতের নির্দেশে দুইবার ডিএনএ পরীক্ষা হয়। দুইবারই প্রমাণ মেলে এই সন্তান আকলিমা–শামীম দম্পতিরই। আদালত নির্দেশ দেন ভরণপোষণ দিতে। এরপরও কোনো রকম ভরণপোষণ দিচ্ছেন না শামীম।
অভাবের সংসারে নিজের এবং সন্তানের ভরণপোষণের আশায় এক যুগ ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন মা আকলিমা।
আকলিমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিউশনি করে মামলার খরচ জুগিয়েছি। বাবা সাত বছর অসুস্থ থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরে মারা যান। প্রথম সন্তান হওয়ায়
মা-বাবা আমার যেকোনো আবদার পূরণ করার চেষ্টা করতেন। আর বিয়ের পরই জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেল।’
আকলিমা জানান, বিয়ের সময় তাঁর বাবার বাড়ি থেকে দুই ভরি স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও ক্রোকারিজসামগ্রী দেওয়া হয়। আর শামীম দেনমোহরের ১ লাখ টাকার মধ্যে ৩০ হাজার টাকা উশুল হিসেবে পরিশোধ করেন।
এদিকে বিয়ের ১৫ দিন যেতে না যেতেই শামীম ব্যবসার জন্য আকলিমাকে ১ লাখ টাকা দিতে চাপ দেন। সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে আকলিমা ৫০ হাজার টাকাও দেন।
কিছুদিন পর একই অজুহাতে শামীম আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। তখন আকলিমা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরই মধ্যে আকলিমা গর্ভবতী হন। কিছুদিন পর তাঁকে তালাক দেন শামীম হায়দার। আকলিমা স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন পল্লবী থানায়। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর কোনো ভরণপোষণ দেননি স্বামী। এরপর দেনমোহর ও অনাগত সন্তানের ভরণপোষণ চেয়ে ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করা হয়। ২০১০ সালের ২৩ মে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন আকলিমা। তবে সন্তান জন্মের পর তাঁকে নিজের বলে অস্বীকার করেন শামীম হায়দার।
দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর রায় দেন আদালত। মামলা করার পর থেকে রায়ের দিন পর্যন্ত নাবালকের জন্য মাসিক ২ হাজার করে মোট ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, আকলিমার দেনমোহরের বকেয়া ৭০ হাজার এবং অতীত ভরণপোষণ হিসেবে মাসিক ৩ হাজার টাকা হিসাবে ২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দেন। সর্বমোট ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ৪৫ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেন আদালত।
এ ছাড়া ভবিষ্যতের ভরণপোষণ হিসেবে আকলিমার জন্য মাসিক ৪ হাজার এবং সন্তানের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মাসিক ৩ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়। আর উভয়ের ভরণপোষণ প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বাড়বে বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত। রায়ের পর ডিক্রিও জারি করা হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে শামীমের আপিল ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট খারিজ হয়। এরপর শামীম হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন আবেদন করেন। শুনানির সময় তাঁর আইনজীবী আদালতকে জানান, শামীম সব টাকা পরিশোধ করতে চান। এই জন্য দুই সপ্তাহ সময় দরকার। আদালত সময় মঞ্জুর করলেও আইনজীবী জানান, শামীম এখন আর আকলিমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। আদালত বলেন, এ ধরনের ব্যবহার অন্যায় এবং তা দীর্ঘসূত্রতার কৌশল। ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এ-সংক্রান্ত রুল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। যাতে বিচারিক আদালতের রায় বহাল থাকে। এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন শামীম হায়দার। যা এখন শুনানির অপেক্ষায়। এদিকে আকলিমা আপিল বিভাগের শুনানিতে অংশ নিতে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের দ্বারস্থ হন। লিগ্যাল এইড কমিটি তাঁর জন্য আইনজীবীও নিয়োগ দিয়েছে। আকলিমার আইনজীবী শিরিন আফরোজ বলেন, এটি অবকাশের পর শুনানি হবে।
এই বিষয়ে শামীমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে আইনজীবী জানান, শামীমের মোবাইল ফোন নম্বর নেই। শামীম হায়দারের পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে
এম শামসেদ। তিনি বলেন, শামীমের আপিল খারিজ হলে টাকা তো দিতেই হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪