Ajker Patrika

বালু তোলা নিয়ে ধাওয়া সংঘর্ষে আহত ৮

টাঙ্গাইল ও কালিহাতী প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৩৩
বালু তোলা নিয়ে ধাওয়া সংঘর্ষে আহত ৮

টাঙ্গাইলের কালিহাতী এলেঙ্গায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী ও জমির মালিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এলেঙ্গা পৌরসভার হাকিমপুর এলাকার এলেংজানী নদীপাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন ফরজ আলী, ইসমাইল হোসেন, শরিফুল ইসলাম, রুবেল, রুস্তম, জুয়েল, আজাহার ও ইসরাফিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলেংজানী নদীতে সরকারি খনন প্রকল্পের নিয়ম ভঙ্গ করে বালু তোলার ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় এ সংঘর্ষ বাধে। এ সময় নদী তীরবর্তী জমির মালিকদের ওপর হামলা করে বালু ব্যবসায়ী সাবেক কাউন্সিলর আবদুল আজিজ, তাঁর ছেলে জয়, জাহাঙ্গীর ও তাঁদের লোকজন। পরে এলাকাবাসী পুনরায় একত্রিত হয়ে বালু ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করে। পরে পারিবারিক কাজে এলেঙ্গা আসার পথে কলেজ মোড়ে জমির মালিক ফরজ আলীর ওপর বালু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর, মাসুদ ও ইসরাফিলের ভাই ও তাঁদের লোকজন অতর্কিত হামলা করে। এ ছাড়া খনন প্রকল্পের যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিটিএসএল নিয়ম ভঙ্গ করে কয়েক ধাপে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ দিন থেকে নদী খননের নামে বালু উত্তোলন করছে এবং জোর করে ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে তাঁরা গ্রামবাসীকে নানাভাবে হুমকি দেয়। কখনো কখনো মারধর করে।

সংঘর্ষে আহত ফরজ আলী বলেন, ‘ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় এ সংঘর্ষ বাধে। দুপুরে এলেঙ্গা গেলে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে তারা। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, এলেঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবদুল আজিজ মোবাইল ফোনে বিষয়টি অস্বীকার করেন। আর জয় বলেন, ‘আমরা নদী খননের কাজ পেয়েছি। সেই মোতাবেক নদী খননের জন্য ড্রেজার বসানো হলে কয়েকজন আমাদের ড্রেজার ভেঙে দেয় এবং আমাদের ওপর হামলা করে। তখন আমরা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

কালিহাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছে দেখি দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সময় সবাইকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।’

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, বিষয়টি জেনেছি। তবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ কেউ লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম বলেন, সন্ধ্যায় বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত