রাঙামাটি প্রতিনিধি
ভূমি বন্দোবস্ত বন্ধ থাকার কারণে ভূমিহীনের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে রাঙামাটি হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য চুক্তির আলোকে ভূমি সমস্যার সমাধান না হলে পাহাড়ে সমস্যা সৃষ্টি হবে। ভূমি বন্দোবস্ত বন্ধ থাকার কারণে ভূমিহীনের সংখ্যা বাড়ছে। চুক্তির পূর্ববর্তী ভূমিহীনের সংখ্যা ১ লাখ হলেও, বর্তমানে তা ৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করে বন্দোবস্ত চালুর দাবি করেন অংসুই প্রু চৌধুরী।
সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাংসদ দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘শত শত বছর ধরে পাহাড়ের ভূমি ব্যবস্থাপনাসহ সমাজের কল্যাণে হেডম্যান-কার্বারিরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে গেছেন। কিন্তু পাকিস্তান আমল ও পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের একাধিক সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলেও, কেউ হেডম্যানদের দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধির চেষ্টা করেনি। কোনো সরকার তাঁদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করেনি। তবে আওয়ামী লীগ সরকার হেডম্যানদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে।’
সাংসদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের হেডম্যান-কার্বারিদের প্রতিষ্ঠান একটি শক্তিশালী প্রথাগত প্রতিষ্ঠান। পাহাড়ে সম্পত্তির ওপর নারীদের অধিকার নেই। পাহাড়ের নারীদের সম্পত্তির অধিকার হেডম্যানদেরই নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীদের কারণে হেডম্যান-কার্বারিরা তাঁদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এতে প্রথাগত প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। প্রথাগত হেডম্যান-কার্বারিদের প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে হবে। তাঁদের সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়, এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন চাকমা রাজা (সার্কেল চিফ) ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। এতে অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে চিংকিউ রোয়াজা সভাপতি ও জ্যোতির্ময় চাকমা সাধারণ সম্পাদক পদে আবার নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্বজিৎ চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
রাঙামাটি হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের (পাচউবো) চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব শিল্পী রানী রায়, ইউএনডিপির প্রতিনিধি ঝুমা দেওয়ান।
সম্মেলনের উদ্বোধক দেবাশীষ রায় বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের কাছে এখনো একটি নির্ভরযোগ্য ভরসার প্রতিষ্ঠান হেডম্যান-কার্বারিদের প্রতিষ্ঠান। হেডম্যানরা শত শত বছর ধরে পাহাড়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা, বিচারিক কাজ, রাজস্ব আদায়, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রক্ষা, শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাঁদের আরও বেশি কাজে সম্পৃক্ত করা হলে দেশের মঙ্গল হবে।
সম্মেলনে নিখিল কুমার চাকমা বলেন, ‘১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তি মতে, পার্বত্য জেলা পরিষদের হাতে ভূমি বিভাগটি হস্তান্তর করার কথা বলা থাকলেও, এখনো তা করা হয়নি। ফলে ভূমি সমস্যা রয়ে গেছে পাহাড়ে।’ তিনি আরও বলেন, হেডম্যান-কার্বারিদের এখনো নিজস্ব কোনো কার্যালয় নেই। তাঁরা একপ্রকার ভাসমান অফিসে দপ্তরের কাজকর্ম করে যান।
রাঙামাটি হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা বলেন, হেডম্যানরা ভূমি মালিকদের কাছে খাজনা আদায় করেন। এ খাজনার পরিমাণ একেবারে নগণ্য। এ খাজনার টাকার পরিমাণ বাড়ানো যায় কি না, এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
ভূমি বন্দোবস্ত বন্ধ থাকার কারণে ভূমিহীনের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে রাঙামাটি হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য চুক্তির আলোকে ভূমি সমস্যার সমাধান না হলে পাহাড়ে সমস্যা সৃষ্টি হবে। ভূমি বন্দোবস্ত বন্ধ থাকার কারণে ভূমিহীনের সংখ্যা বাড়ছে। চুক্তির পূর্ববর্তী ভূমিহীনের সংখ্যা ১ লাখ হলেও, বর্তমানে তা ৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করে বন্দোবস্ত চালুর দাবি করেন অংসুই প্রু চৌধুরী।
সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাংসদ দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘শত শত বছর ধরে পাহাড়ের ভূমি ব্যবস্থাপনাসহ সমাজের কল্যাণে হেডম্যান-কার্বারিরা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে গেছেন। কিন্তু পাকিস্তান আমল ও পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের একাধিক সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলেও, কেউ হেডম্যানদের দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধির চেষ্টা করেনি। কোনো সরকার তাঁদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করেনি। তবে আওয়ামী লীগ সরকার হেডম্যানদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে।’
সাংসদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের হেডম্যান-কার্বারিদের প্রতিষ্ঠান একটি শক্তিশালী প্রথাগত প্রতিষ্ঠান। পাহাড়ে সম্পত্তির ওপর নারীদের অধিকার নেই। পাহাড়ের নারীদের সম্পত্তির অধিকার হেডম্যানদেরই নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীদের কারণে হেডম্যান-কার্বারিরা তাঁদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এতে প্রথাগত প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। প্রথাগত হেডম্যান-কার্বারিদের প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে হবে। তাঁদের সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়, এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন চাকমা রাজা (সার্কেল চিফ) ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। এতে অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে চিংকিউ রোয়াজা সভাপতি ও জ্যোতির্ময় চাকমা সাধারণ সম্পাদক পদে আবার নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্বজিৎ চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
রাঙামাটি হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের (পাচউবো) চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব শিল্পী রানী রায়, ইউএনডিপির প্রতিনিধি ঝুমা দেওয়ান।
সম্মেলনের উদ্বোধক দেবাশীষ রায় বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের কাছে এখনো একটি নির্ভরযোগ্য ভরসার প্রতিষ্ঠান হেডম্যান-কার্বারিদের প্রতিষ্ঠান। হেডম্যানরা শত শত বছর ধরে পাহাড়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা, বিচারিক কাজ, রাজস্ব আদায়, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রক্ষা, শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাঁদের আরও বেশি কাজে সম্পৃক্ত করা হলে দেশের মঙ্গল হবে।
সম্মেলনে নিখিল কুমার চাকমা বলেন, ‘১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তি মতে, পার্বত্য জেলা পরিষদের হাতে ভূমি বিভাগটি হস্তান্তর করার কথা বলা থাকলেও, এখনো তা করা হয়নি। ফলে ভূমি সমস্যা রয়ে গেছে পাহাড়ে।’ তিনি আরও বলেন, হেডম্যান-কার্বারিদের এখনো নিজস্ব কোনো কার্যালয় নেই। তাঁরা একপ্রকার ভাসমান অফিসে দপ্তরের কাজকর্ম করে যান।
রাঙামাটি হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা বলেন, হেডম্যানরা ভূমি মালিকদের কাছে খাজনা আদায় করেন। এ খাজনার পরিমাণ একেবারে নগণ্য। এ খাজনার টাকার পরিমাণ বাড়ানো যায় কি না, এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪