জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
জামালপুরে সব ধরনের পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। ইতিমধ্যে ক্রয়ক্ষমতা মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। এক মাসের ব্যবধানে পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বাজারগুলোয় ক্রেতার সংখ্যা কম। তবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলেছে, কেউ সরকারনির্ধারিত মূল্যের বেশি দাম নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল শহরের বড় দুটি বাজার দৈনিক আনন্দগঞ্জ বাজার ও স্টেশন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণত ক্রেতারা সপ্তাহের বাজার করতে শুক্রবার সকাল থেকে বাজারে ভিড় করেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। শুক্রবার যেখানে ক্রেতার ভিড়ে বাজারগুলোয় স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা যেত না, সেখানে ক্রেতা নেই বললেই চলে।
দেখা গেছে, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, মরিচ, মাছ, মাংস, তেল থেকে শুরু করে সবজির দামও লাগামহীনভাবে বেড়েছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া তেল ৫ লিটারের বোতল ৭৬০ থেকে বেড়ে ৯৮৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৩৫ থেকে বেড়ে ১৮০ টাকা, ডিমের হালি ৩০ থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা, রসুন ৪০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। ৩০ টাকা কেজির আটা হয়েছে ৪৫ টাকা। বেড়েছে ময়দার দামও। ৫০ টাকা কেজির ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে শিশুখাদ্যের দাম। গুঁড়া দুধ ১০০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকা। বেড়েছে সরিষার তেলের দামও। ২০০ টাকার সরিষার তেল ২৪০ টাকা। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে আদার দাম। গত মাসে আদার কেজি ছিল ৭০ টাকা, এখন ১০০ টাকা। তবে রমজানে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন এখন বাজারে ৪০ টাকা কেজি। এ ছাড়া আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা। ১৬ টাকার আলু এখন কেজি ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। গত মাসে বিক্রি হয়েছিল ৬০ টাকা।
বাজারে আসা বাগেরহাট গ্রামের পেশায় রাজমিস্ত্রি মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসারে ৮ সদস্যের ভরণপোষণ করতে হয়। দিনে আয় হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এই টাকায় বাজারে কিছুই কেনা সম্ভব হয় না। পেটে কিছু না পড়লে বাঁচব কেমনে? তাই কিছু কিছু করে প্রতিদিনই নিতে হয়। আগে তো দুই-তিন দিনের বাজার করতে পারতাম।’
আমলাপাড়ার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ঘুরে ঘুরে বাজার করছেন। দাম শুনে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছেন। তবে সব দোকানে একই দাম। তিনি বলেন, ‘বাজারের জিনিসপত্রের দাম নিয়ে কী বলব। আগে যা কিনতাম, এখন অর্ধেক কিনছি। এই হলো আমাদের অবস্থা।’
শেখেরভিটার ওয়াহাব মিয়া অটোরিকশাচালক। সারা দিনে তাঁর আয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। আগে রাখতে হয় সমিতির ঋণের কিস্তির ১০০ টাকা। এরপর বাজারের চিন্তা। ওয়াহাব বলেন, ‘গরিবের মরণ। ২০০-৩০০ টাকায় এখন আর বাজার হয় না। আগে ১০০ টাকায় মাছ-তরিতরকারি কেনা যেত। এখন তো আধা কেজি তেলই কিনতে হয় ১০০ টাকায়। তেল ছাড়া খামু কেমনে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যারা নিম্ন আয়ের মানুষ, তারা চরম হতাশায় আছি।’
দৈনিক আনন্দগঞ্জ বাজারের রবিন স্টোরের মালিক আনিছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব ধরনের জিনিসের দাম গত এক মাসে বেড়েছে। ফলে আগের চেয়ে বেচাকেনা কমে গেছে। বাজারে ক্রেতা আসছে না। শুক্রবার ক্রেতার ভিড় সামলাতে ৩-৪ জন বাড়তি লোক রাখতে হতো। এখন বাজারে কাস্টমার নেই। সরকারি চাকরিজীবীরা তেমন একটা আসছেন না। তাঁরা সপ্তাহের বাজার শুক্রবারেই করে রাখতেন। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে।’ আনিছুর রহমানের মতো মুছা স্টোরের মালিক আবু মুছা, রবি স্টোরের মালিক রবিও একই কথা বললেন।
জামালপুর ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং করছে।
জামালপুরে সব ধরনের পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। ইতিমধ্যে ক্রয়ক্ষমতা মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। এক মাসের ব্যবধানে পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বাজারগুলোয় ক্রেতার সংখ্যা কম। তবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলেছে, কেউ সরকারনির্ধারিত মূল্যের বেশি দাম নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল শহরের বড় দুটি বাজার দৈনিক আনন্দগঞ্জ বাজার ও স্টেশন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণত ক্রেতারা সপ্তাহের বাজার করতে শুক্রবার সকাল থেকে বাজারে ভিড় করেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। শুক্রবার যেখানে ক্রেতার ভিড়ে বাজারগুলোয় স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা যেত না, সেখানে ক্রেতা নেই বললেই চলে।
দেখা গেছে, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, মরিচ, মাছ, মাংস, তেল থেকে শুরু করে সবজির দামও লাগামহীনভাবে বেড়েছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া তেল ৫ লিটারের বোতল ৭৬০ থেকে বেড়ে ৯৮৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৩৫ থেকে বেড়ে ১৮০ টাকা, ডিমের হালি ৩০ থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা, রসুন ৪০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। ৩০ টাকা কেজির আটা হয়েছে ৪৫ টাকা। বেড়েছে ময়দার দামও। ৫০ টাকা কেজির ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে শিশুখাদ্যের দাম। গুঁড়া দুধ ১০০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকা। বেড়েছে সরিষার তেলের দামও। ২০০ টাকার সরিষার তেল ২৪০ টাকা। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে আদার দাম। গত মাসে আদার কেজি ছিল ৭০ টাকা, এখন ১০০ টাকা। তবে রমজানে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন এখন বাজারে ৪০ টাকা কেজি। এ ছাড়া আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা। ১৬ টাকার আলু এখন কেজি ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। গত মাসে বিক্রি হয়েছিল ৬০ টাকা।
বাজারে আসা বাগেরহাট গ্রামের পেশায় রাজমিস্ত্রি মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসারে ৮ সদস্যের ভরণপোষণ করতে হয়। দিনে আয় হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এই টাকায় বাজারে কিছুই কেনা সম্ভব হয় না। পেটে কিছু না পড়লে বাঁচব কেমনে? তাই কিছু কিছু করে প্রতিদিনই নিতে হয়। আগে তো দুই-তিন দিনের বাজার করতে পারতাম।’
আমলাপাড়ার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ঘুরে ঘুরে বাজার করছেন। দাম শুনে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছেন। তবে সব দোকানে একই দাম। তিনি বলেন, ‘বাজারের জিনিসপত্রের দাম নিয়ে কী বলব। আগে যা কিনতাম, এখন অর্ধেক কিনছি। এই হলো আমাদের অবস্থা।’
শেখেরভিটার ওয়াহাব মিয়া অটোরিকশাচালক। সারা দিনে তাঁর আয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। আগে রাখতে হয় সমিতির ঋণের কিস্তির ১০০ টাকা। এরপর বাজারের চিন্তা। ওয়াহাব বলেন, ‘গরিবের মরণ। ২০০-৩০০ টাকায় এখন আর বাজার হয় না। আগে ১০০ টাকায় মাছ-তরিতরকারি কেনা যেত। এখন তো আধা কেজি তেলই কিনতে হয় ১০০ টাকায়। তেল ছাড়া খামু কেমনে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যারা নিম্ন আয়ের মানুষ, তারা চরম হতাশায় আছি।’
দৈনিক আনন্দগঞ্জ বাজারের রবিন স্টোরের মালিক আনিছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব ধরনের জিনিসের দাম গত এক মাসে বেড়েছে। ফলে আগের চেয়ে বেচাকেনা কমে গেছে। বাজারে ক্রেতা আসছে না। শুক্রবার ক্রেতার ভিড় সামলাতে ৩-৪ জন বাড়তি লোক রাখতে হতো। এখন বাজারে কাস্টমার নেই। সরকারি চাকরিজীবীরা তেমন একটা আসছেন না। তাঁরা সপ্তাহের বাজার শুক্রবারেই করে রাখতেন। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে।’ আনিছুর রহমানের মতো মুছা স্টোরের মালিক আবু মুছা, রবি স্টোরের মালিক রবিও একই কথা বললেন।
জামালপুর ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং করছে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫