Ajker Patrika

নদী ভরাট করে সড়ক, ছয় মাসেই ধস

শেরপুর প্রতিনিধি
Thumbnail image

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দাঁড়িয়ারপার এলাকায় সংকুচিত হয়ে পড়া পাগলা নদীর ওপর সেতু বা কালভার্ট নির্মাণ না করে মাটি দিয়ে ভরাট করে বানানো হয় সড়ক। ফলে পাহাড়ি ঢলে সড়কের ওই অংশটুকু ধসে যায়। বর্তমানে সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে দুর্ভোগে পড়েছে আশপাশের অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরসহ জেলা সদরে যাতায়াত করে। কিন্তু দাঁড়িয়ারপার এলাকার এ স্থানে নদীর ওপর সেতু বা কালভার্ট নির্মাণ না করে মাটি দিয়ে নদী ভরাট করে সড়ক বানানো হয়। ফলে ভেঙে যায় সে সড়ক। বন্ধ হয়ে যায় দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াত। এখন অনেক রাস্তা ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের আহমদনগর প্রধান সড়ক থেকে ধানশাইল ইউনিয়নের মোহনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ হাতে নেয় এলজিইডি। বর্তমানে সড়কটির নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু গত বর্ষার আগে সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হলে দাঁড়িয়ারপার এলাকায় পাগলা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না করে ভরাট করা হয়। এতে সড়ক নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই মাস ছয়েক আগে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে নদীস্থলের অংশটুকু ভেঙে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা। চলাচলে দুর্ভোগ শুরু হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। ভাঙা জায়গার ওপর বর্তমানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ওই পথে কোনো রকমে চলাচল করতে হচ্ছে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষকে।

ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পাগলা নদীর ওই অংশে কোনো সেতু বা কালভার্ট নির্মাণ না করেই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল। ফলে নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই নদীর ওই স্থানে নির্মাণাধীন রাস্তাটি ভেঙে যায় এবং পুনরায় নদীর প্রবাহ সৃষ্টি হয়। এতে দুই পাশের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু এলজিইডি বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যোগাযোগব্যবস্থা চালুর বিষয়ে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বর্তমানে গ্রামবাসী নিজেরাই ওই নদীর ওপর একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে এ নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রণয়ন করে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত