Ajker Patrika

শীতে কষ্টে নিম্ন আয়ের মানুষ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ০০
শীতে কষ্টে নিম্ন আয়ের মানুষ

কনকনে শীত আর মেঘলা আকাশে ঘেরা চায়ের রাজধানীখ্যাত শ্রীমঙ্গল। গতকাল বুধবার শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস—জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।

আনিসুর রহমান জানান, লঘু চাপের কারণে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। সকাল ও রাতে কুয়াশা বাড়বে। আগামী তিন-চার দিন এই অবস্থা বিরাজ করবে এবং শীত অনুভূত হবে।

দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও রাতে ও ভোরে কুয়াশা থাকবে। তাপমাত্রা নিচের দিকে না নামলেও শীতের তীব্রতা আগের মতোই আছে। তা ছাড়া আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ অঞ্চল দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও রাতে ঘন কুয়াশার কারণে বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা বাগানের চা-শ্রমিক পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাওরাঞ্চল খোলামেলা থাকায় হিমেল হাওয়ায় বেশি কষ্ট হচ্ছে হাওরপাড়ের মানুষের। পাশাপাশি শহর এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। শীত উপেক্ষা করে ভোরে কাজে বের হতে হয় তাঁদের। শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে ভোরে ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন গ্রামাঞ্চল ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

কাওয়াদিঘি হাওরপাড়ের কৃষক কানু দাস বলেন, ‘এখন বোরো ধান রোপণের মৌসুম। বেশি শীত পড়লে চাষাবাদ করতে কষ্ট হয়। এমনিতে হাওর এলাকায় বাতাস বেশি থাকে, এর মধ্যে রোদের দেখা না মিললে কাজ করা যায় না। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কারও কাছ থেকে শীতের কোনো সাহায্য পাইনি।’

ইটা চা বাগানের চা-শ্রমিক নীতি মালাকার বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ সাহায্য না পাইলে চলতে পারি না। অনেক শীত পড়েছে। বাচ্চাদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে। আমাদের সাহায্য দেওয়ার দাবি জানাই।’

চা-শ্রমিক সদস্য সজল কৈরী বলেন, চা-শ্রমিকেরা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করেন; যা মজুরি পান, তা দিয়ে মৌলিক চাহিদা পূরণ হয় না। তাঁদের অধিকাংশের শীতের পোশাক কেনার সাধ্য নেই। সহযোগিতা না পেলে তাঁদের চলা মুশকিল।

সজল কৈরী আরও বলেন, ‘সরকারি সহযোগিতার মধ্যে কম্বল দেওয়া হয়। কিন্তু তা পর্যাপ্ত না। কম্বলের পাশাপাশি বাইরে ব্যবহারের করা যায়—এমন শীতবস্ত্রও সরকারিভাবে দেওয়ার দাবি জানাই।’

জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার বলেন, সাধারণ মানুষ ও দরিদ্রদের জন্য সরকারিভাবে ৩৫ হাজার কম্বল ও নগদ ৩ লাখ টাকা এসেছে। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে কম্বল পাঠানো হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এই কম্বল বিতরণ করা হবে। ৩ লাখ টাকা জেলা প্রশাসক পর্যায়ক্রমে শীতবস্ত্র কিনে বিতরণ করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত