Ajker Patrika

২৬ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক, ব্যাহত পাঠদান

নিয়াজ মোরশেদ, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) 
২৬ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক, ব্যাহত পাঠদান

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় ২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। বর্তমানে সেসব বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। আবার এই বিদ্যালয়গুলোতে চাহিদার তুলনায় শিক্ষক কম। একজন শিক্ষক একাধিক ক্লাস নেওয়ায় বিদ্যালয়গুলোতে স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

শিক্ষকেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। আবার অনেক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম শিক্ষক রয়েছেন। এসব বিদ্যালয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমে দেখা দিচ্ছে বিশৃঙ্খলা।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬০৭ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ১৭৭, ছাত্রী ৫ হাজার ৪৩০ জন। ওই শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৩৫৬ জন। তাঁদের মধ্যে ২৬টি বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে নেই প্রধান শিক্ষক। সর্বশেষ ২০১৪ সাল থেকে এই উপজেলায় মামলাসহ বিভিন্ন জটিলতায় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে।

যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই সেগুলো হলো পূর্ব মাতাপুর, রাজকান্দা, আউয়ালগাড়ি, ভিকনী, লক্ষ্মীভাটা, গোপীনাথপুর, গণিপুর, শ্রীকৃষ্টপুর, মোহনপুর, বামনীগ্রাম, সুজালদিঘী, পুন্ডুরিয়া, মালিগ্রাম, বাগিরবাড়িয়া, শিয়ালা, চাঁপাগাছী হরিপুর, হাস্তাবসন্তপুর, পশ্চিম আউয়ালগাড়ি, কয়াশোবলা, মির্জাপুর, রায়নগর, পলাশবাড়ি, কেশবপুর, রুকিন্দীপুর ও চকরঘুনাথ বালুদিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে কোনো শিক্ষক নেই।

পূর্ব মাতাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রেজ্জাক বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষকের পদ চারজন। বর্তমানে রয়েছেন তিনজন। এক বছর আগে প্রধান শিক্ষকের অবসরের কারণে পদটি ফাঁকা রয়েছে। আমি সহকারী শিক্ষক হিসেবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি।’

মালিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেন বলে, ‘শিক্ষকসংকটের কারণে বিদ্যালয়ে আমাদের পাঠদানে অসুবিধা হচ্ছে।’
নয়ন হোসেন নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, শিক্ষকস্বল্পতার কারণে সময়মতো ক্লাস হচ্ছে না।  বিদ্যালয়টিতে শিক্ষাব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই উপজেলায় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হলে খুব দ্রুত বিদ্যালয়গুলোর শূন্য পদ পূরণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত