জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
বিদেশগমনে ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা আবশ্যক। এসব মুদ্রার পুরো কর্তৃত্ব নিয়েছিলেন নিলামকারীরা। তাঁরা স্বাধীনতার পরে সোনালী ব্যাংক থেকে নিলামে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে তা বিদেশগামীদের কাছে বিক্রি করতেন। গ্রাহকেরা ১৯৭২ সালে এক ডলার কিনতেন ৭ টাকা ৮৭ পয়সায়। তবে একটা পর্যায়ে নিলামকারীরা সিন্ডিকেট করে বাড়তি মুনাফার সুযোগ নেন।
এতে ভোগান্তিতে পড়েন বিদেশগামীরা। এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে ১৯৯৭ সালে ব্যবসাটা খোলাবাজার তথা মানি চেঞ্জার্সদের হাতে দেওয়া হয়। কিন্তু নানা কৌশলে অবৈধ ব্যবসায়ীরা ডলার ব্যবসা দখলে নেন। গত সেপ্টেম্বরে ১২০ টাকা পর্যন্ত রেকর্ড মূল্যে ডলার বিক্রি করেন অবৈধ কারবারিরা। আর বৈধদের খুচরা ডলারের রেকর্ড মূল্য ছিল ১১৩ টাকা।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত মঙ্গলবার বিভিন্ন মানি চেঞ্জিং প্রতিষ্ঠানে প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ২৫ পয়সা দরে ক্রয় ও ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সার বিক্রি হয়েছে। এখানে লেনদেনের পার্থক্য ১ টাকা ৫০ পয়সা। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, কোনো ডলার ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সার বেশির মুনাফা করতে পারবেন না। এর বাইরে দোকানের আড়ালে নানা কৌশলে প্রতি ডলার ১১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আর গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে ডলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড বিক্রয়মূল্য ছিল ১২০ টাকা পর্যন্ত। প্রায় ৫০৭টি সনদবিহীন মানি চেঞ্জার বাড়তি মূল্যে ডলার কেনাবেচায় জড়িত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অবৈধভাবে ডলার ব্যবসার অভিযোগে ৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর সনদ না থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৫টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করেছে।
এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব মো. হেলাল সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খোলাবাজারের ডলার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিদেশ যেতে তো ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা লাগে। এটা তো ব্যাংক দেয় না। এ জন্য আমাদের কাছে আসতে হবে। অবৈধদের কাছে বিক্রি করলে কাগজপত্র থাকে না। তবে অবৈধ ডলার ব্যবসা দখলে নিয়েছে। তাদের ব্যবসা বন্ধ হলে বিদেশগামীদের ভোগান্তি কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসা চাঙা হবে। এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর করছে।’
সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পরে ব্যাংকগুলোর নামকরণে পরিবর্তন আসে। তখন বিদেশগামীদের ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা জোগাড় করতে সমস্যাও দেখা দিয়েছিল। তা স্বল্প সময়ে দূর হয়ে যায়। সমস্যাটি উপলব্ধি করে সরকারের বিশেষ ঘোষণায় বিদেশগামীদের প্রয়োজনীয় মুদ্রার চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করত সোনালী ব্যাংক।
আর সোনালী ব্যাংক সবার কাছে ঢালাওভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি করত না। প্রতিষ্ঠানটি থেকে নিলামে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করা হতো। তবে একটি বিশেষ গোষ্ঠী কৌশলে নিলামে ডলার কিনত। তারা নিলামের ডলার বিদেশগামীদের কাছে বিক্রি করত। নিলামকারীরা তা বেশি দামে বিক্রি করত। এভাবে চলে ২৫ বছর। সমস্যা সমাধানে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ৭০০টি মানি চেঞ্জার্সকে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার অনুমোদন দেন। শর্ত ছিল যে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্য ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচা করতে পারবে না।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জামান মানি চেঞ্জিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে বৈদেশিক মুদ্রা সোনালী ব্যাংককেন্দ্রিক ছিল। নিলামকারীরা সোনালী ব্যাংক থেকে ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করত। পরে জনতা ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন শুরু হয়। তবে সেই নিলামকারীদের বিশেষ সিন্ডিকেটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন বিদেশগামীরা। এসব বিষয় আমলে নিয়ে ১৯৯৭ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা খোলাবাজারে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর লুৎফর রহমান ৬৯৬টি প্রতিষ্ঠানকে মানি এক্সচেঞ্জ করার অনুমতি দেয়। তবে নানা শর্তের কারণে অনেকে সনদ নেওয়ার পরেও ব্যবসা পরিচালনা করতে না পারায় বর্তমানে বৈধ মানি চেঞ্জিং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৫টি।’
বিদেশগমনে ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা আবশ্যক। এসব মুদ্রার পুরো কর্তৃত্ব নিয়েছিলেন নিলামকারীরা। তাঁরা স্বাধীনতার পরে সোনালী ব্যাংক থেকে নিলামে বৈদেশিক মুদ্রা কিনে তা বিদেশগামীদের কাছে বিক্রি করতেন। গ্রাহকেরা ১৯৭২ সালে এক ডলার কিনতেন ৭ টাকা ৮৭ পয়সায়। তবে একটা পর্যায়ে নিলামকারীরা সিন্ডিকেট করে বাড়তি মুনাফার সুযোগ নেন।
এতে ভোগান্তিতে পড়েন বিদেশগামীরা। এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে ১৯৯৭ সালে ব্যবসাটা খোলাবাজার তথা মানি চেঞ্জার্সদের হাতে দেওয়া হয়। কিন্তু নানা কৌশলে অবৈধ ব্যবসায়ীরা ডলার ব্যবসা দখলে নেন। গত সেপ্টেম্বরে ১২০ টাকা পর্যন্ত রেকর্ড মূল্যে ডলার বিক্রি করেন অবৈধ কারবারিরা। আর বৈধদের খুচরা ডলারের রেকর্ড মূল্য ছিল ১১৩ টাকা।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত মঙ্গলবার বিভিন্ন মানি চেঞ্জিং প্রতিষ্ঠানে প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ২৫ পয়সা দরে ক্রয় ও ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সার বিক্রি হয়েছে। এখানে লেনদেনের পার্থক্য ১ টাকা ৫০ পয়সা। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, কোনো ডলার ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সার বেশির মুনাফা করতে পারবেন না। এর বাইরে দোকানের আড়ালে নানা কৌশলে প্রতি ডলার ১১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আর গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে ডলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড বিক্রয়মূল্য ছিল ১২০ টাকা পর্যন্ত। প্রায় ৫০৭টি সনদবিহীন মানি চেঞ্জার বাড়তি মূল্যে ডলার কেনাবেচায় জড়িত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অবৈধভাবে ডলার ব্যবসার অভিযোগে ৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর সনদ না থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৫টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করেছে।
এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব মো. হেলাল সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খোলাবাজারের ডলার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিদেশ যেতে তো ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা লাগে। এটা তো ব্যাংক দেয় না। এ জন্য আমাদের কাছে আসতে হবে। অবৈধদের কাছে বিক্রি করলে কাগজপত্র থাকে না। তবে অবৈধ ডলার ব্যবসা দখলে নিয়েছে। তাদের ব্যবসা বন্ধ হলে বিদেশগামীদের ভোগান্তি কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসা চাঙা হবে। এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর করছে।’
সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পরে ব্যাংকগুলোর নামকরণে পরিবর্তন আসে। তখন বিদেশগামীদের ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা জোগাড় করতে সমস্যাও দেখা দিয়েছিল। তা স্বল্প সময়ে দূর হয়ে যায়। সমস্যাটি উপলব্ধি করে সরকারের বিশেষ ঘোষণায় বিদেশগামীদের প্রয়োজনীয় মুদ্রার চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করত সোনালী ব্যাংক।
আর সোনালী ব্যাংক সবার কাছে ঢালাওভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি করত না। প্রতিষ্ঠানটি থেকে নিলামে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করা হতো। তবে একটি বিশেষ গোষ্ঠী কৌশলে নিলামে ডলার কিনত। তারা নিলামের ডলার বিদেশগামীদের কাছে বিক্রি করত। নিলামকারীরা তা বেশি দামে বিক্রি করত। এভাবে চলে ২৫ বছর। সমস্যা সমাধানে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ৭০০টি মানি চেঞ্জার্সকে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার অনুমোদন দেন। শর্ত ছিল যে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্য ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচা করতে পারবে না।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জামান মানি চেঞ্জিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে বৈদেশিক মুদ্রা সোনালী ব্যাংককেন্দ্রিক ছিল। নিলামকারীরা সোনালী ব্যাংক থেকে ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করত। পরে জনতা ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন শুরু হয়। তবে সেই নিলামকারীদের বিশেষ সিন্ডিকেটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন বিদেশগামীরা। এসব বিষয় আমলে নিয়ে ১৯৯৭ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা খোলাবাজারে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর লুৎফর রহমান ৬৯৬টি প্রতিষ্ঠানকে মানি এক্সচেঞ্জ করার অনুমতি দেয়। তবে নানা শর্তের কারণে অনেকে সনদ নেওয়ার পরেও ব্যবসা পরিচালনা করতে না পারায় বর্তমানে বৈধ মানি চেঞ্জিং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৫টি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪