Ajker Patrika

আ.লীগের সম্মেলন কাল, কে হচ্ছেন সভাপতি-সম্পাদক?

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২২, ১৩: ২৬
Thumbnail image

দীর্ঘ সাত বছর পর চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন কাল বৃহস্পতিবার। সম্মেলন ঘিরে চলছে সাজসাজ রব। কে হবেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন। এরই মধ্যে সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

সম্মেলন ঘিরে উপজেলাজুড়ে শোভা পাচ্ছে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড। বর্ণিল সাজে সেজেছে চারমাথা মোড় ও চারঘাট পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠ। সড়কে তৈরি করা হয়েছে কয়েক শ তোরণ।

চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সর্বশেষ হয় ২০১৫ সালে। সে সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা ফকরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এবার কে হচ্ছেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাত বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলামের বিকল্প দেখছেন না অধিকাংশ নেতা-কর্মী। তবে সভাপতি পদ নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। বর্তমান সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন দীর্ঘ ৩০ বছর উপজেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বয়স এখন ৮০ ছুঁইছুঁই। এ অবস্থায় তিনি পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হলে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ প্রার্থী হতে মুখ খুলছেন না। তবে কেন্দ্রে অনেকে জোর তদবির করছেন।

নেতা-কর্মীরা জানান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ফকরুল ইসলামের হাত ধরে চারঘাট উপজেলায় দলটি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। দলের ভেতরেও নিজস্ব জনপ্রিয়তার কারণে তাঁর বিকল্প কোনো প্রার্থী এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে সভাপতি পদ নিয়ে দলের ভেতরে বেশ অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বয়োজ্যেষ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনকে সম্মানজনক পদে রেখে সভাপতি হিসেবে নতুন কাউকে সুযোগ দিতে বলছেন নেতা-কর্মীরা।

এদিকে আনোয়ার হোসেন ও ফকরুল ইসলামের বাইরে প্রকাশ্যে দলীয় পদ কামনা করছেন একমাত্র যুবলীগ নেতা কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কোন পদে প্রার্থী হব, সেটা এখনো প্রকাশ করছি না। তবে সম্মেলনের দিন যেকোনো একটি পদে আমি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমার মতো অনেকেই প্রার্থী হতে ইচ্ছুক, কিন্তু তাঁরা আপাতত নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না। এখন প্রার্থী কম মনেও হলেও সম্মেলনের দিন অনেকেই ইচ্ছে প্রকাশ করবেন।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘দলের জন্য ছাত্ররাজনীতি থেকে এ পর্যন্ত কতটুকু পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করেছি, সেটা আমার দলীয় নেতা-কর্মীরা জানেন। বিগত সাত বছরে পৌরসভাসহ প্রায় সব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি সম্পূর্ণ করেছে। এখন নেতা-কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন সফল করতে কাজ করছি। নৌকার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং মৃত্যু পর্যন্ত থাকব।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ ৩০ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। এবারও প্রার্থী হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে কারও বাধা নেই। দল যেটা ভালো মনে করবে, সেই সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব।’

সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, রাজশাহী জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ইতিমধ্যে ৮ উপজেলায় সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়েছে। চারঘাটেও সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি গঠনের চেষ্টা করা হবে, সেটা না হলে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে। এটা মনে রাখতে হবে, প্রতিটি নেতা-কর্মীর জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হলো আন্দোলন, সম্মেলন ও নির্বাচন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত