Ajker Patrika

প্রার্থীরা দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি ভোটার খুঁজছেন যোগ্যদের

শিপুল ইসলাম, রংপুর
প্রার্থীরা দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি ভোটার খুঁজছেন যোগ্যদের

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২৭ ডিসেম্বর। পেরিয়ে গেছে প্রচারণার পাঁচ দিন। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন।

দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তবে ভোটাররা সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে যে কাজ করবেন, তাঁকেই ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।

সব মিলিয়ে নগরীতে বইছে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ। বিশেষ করে বর্ধিত ১৮ ওয়ার্ডে প্রার্থী-কর্মী ও সমর্থকদের আনাগোনা বেড়েছে।

রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সদ্য সাবেক হওয়া মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙ্গল) এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা)।

রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেকুড়া এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের সঙ্গে ভোট নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘হামার ওয়ার্ডটা যে সিটি করপোরেশনের, দেখলে তা মনে হয় না। নালা নাই, আবর্জনা পরিষ্কার করে না। এবার যে পাকা রাস্তা, নালা বানাইবে, তাকে ভোট দিমো।’

বর্ধিত ওয়ার্ড নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার রংপুরকে বিভাগ করেছে, এখানে বিশ্ববিদ্যালয় করেছে। রংপুরের উন্নয়নের নৌকার মেয়র দরকার। যে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিল, তার কোনো মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তাই তিনি ১০ লাখ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ এগুলো বোঝে। যেখানেই যাচ্ছি, ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। নৌকার জয় হবে ইনশা আল্লাহ।’

জাপার প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘বর্ধিত ১৮টি ওয়ার্ডসহ ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে সিটি করপোরেশন গঠিত। আমি ৩৩টি ওয়ার্ডের ৭০ ভাগ কাজ শেষ করেছি।

বর্ধিত এলাকায় চলাচলের রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ছিল না। সেগুলো আমি করে দিয়েছি। গুরুত্বসহকারে সিটির উন্নয়নে কাজ করেছি। একেবারে তো সব কাজ করা সম্ভব নয়। এবার নির্বাচিত হলে বর্ধিত ১৮টি ওয়ার্ডকে মূল ১২টি ওয়ার্ডের সমপর্যায়ে নিয়ে আসব। গত পাঁচ বছরের কাজ আমাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত