Ajker Patrika

কালীগঞ্জে বেড়েছে ছিনতাই

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২২, ১৯: ০৬
Thumbnail image

মাহিরুন বেগম। ভারতীয় নাগরিক। বৈধ পথে স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলেন। ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইদহের মহেশপুর হয়ে কালীগঞ্জ আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ১৩ মার্চ বেলা ১১টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের পৌঁছালে বাসের মধ্যে তিন নারী তাঁর গলায় থাকা সোনার চেইন ছিঁড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে মেহেরুন বেগম দুজনকে ধরে ফেলেন। এরপর চেইনের সঙ্গে থাকা লকেট উদ্ধার করেন। তবে চেইনটি আর পাননি। পরে পুলিশের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়।

ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তোলেন ভারতীয় ওই নাগরিকেরা। তাঁদের দাবি, গভীর রাত পর্যন্ত তাঁদের নানা অজুহাতে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। একইভাবে গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে শাওন নামে এক শিক্ষার্থীর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। দুই মোটরসাইকেল আরোহী তার হাত থেকে ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। শাওন কালীগঞ্জ পৌরসভার কাশিপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। এ ঘটনার পর সে থানায় জিডি করেছে।

এভাবে প্রায়ই টাকা, সোনার চেইন ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও নিরুপায় পুলিশ। উল্টো থানায় গেলে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

এর কয়েক দিন আগে নুরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি কালীগঞ্জ শহরের ইসলামী ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় এক অপরিচিত নারী তাঁকে রাস্তা পার হতে সহযোগিতা চান। এ সময় আরও দুই নারী তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান। রাস্তা অতিক্রমের পর নুরুজ্জামান দেখতে পান পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা আর নেই। পরে তিনি কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না জানেন না বলেন নুরুজ্জামানের ছোট ভাই স্কুলশিক্ষক ইয়াছিনুজ্জামান। নুরুজ্জামানের বাড়ি যশোর চৌগাছায়।

ভারতীয় নাগরিক মাহিরুনের স্বামী আব্দুল খালিক বলেন, ‘আমরা ১৩ মার্চ মহেশপুর থেকে বাসযোগে কালীগঞ্জে পৌঁছাই। নামার আগেই কয়েকজন নারী আমার স্ত্রীর গলায় থাকা চেইন নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এদের মধ্যে দুজনকে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়। ওই দিন পুলিশ আমাদের গভীর রাত পর্যন্ত থানা চত্বরে বসিয়ে রাখে। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় সাংবাদিকেরা সংবাদ পেয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে থানায় আসেন। তাঁদের অনুরোধে আমাদের সোনার লকেট ফেরত দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ।’

মোবাইল ছিনতাইয়ের স্বীকার শাওনের বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘অনেক কষ্টে ছেলেকে একটি ফোন কিনে দিয়েছিলাম। সেটা ছিনতাই হয়ে গেল। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ফোন ফিরে পাব কি না জানি না।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতলেবুর রহমান বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। এ চক্রের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আটক করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত