Ajker Patrika

১৩ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১০
১৩ হাজার হেক্টর জমি  অনাবাদি

বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা না থাকায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দুটি পৌরসভা ও ১৮ ইউনিয়নের ১৩ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। এসব এলাকায় সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে অন্তত ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল বেশি উৎপাদন সম্ভব হতো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফটিকছড়িতে চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২৫ হাজার ৪২৫ হেক্টর। এর মধ্যে আমন চাষ হয় ২১ হাজার ৯২৫ হেক্টর। বাকি জমি অনাবাদি থাকে। চলতি মৌসুমে বোরো চাষাবাদের আওতায় আনা হয় ৮ হাজার ১৫০ হেক্টর জমি। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল। কিন্তু অন্তত ১৩ হাজার হেক্টর জমি থেকে যায় সেচ সুবিধার বাইরে।

জানা গেছে, উপজেলার আবদুল্লাহপুর, জাফতনগর, ধর্মপুর, বক্তপুর, নানুপুর, রোসাংগিরী, লেলাং, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি, ধুরুং, রাঙ্গামাটিয়া, ভূজপুর, সুন্দরপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা, হেঁয়াকো, বাগানবাজার ইউনিয়নে অন্তত ১৩ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধা না থাকায় বোরো মৌসুমে চাষাবাদের বাইরে থেকে যাচ্ছে। প্রতি বছরই এসব জমি অনাবাদি পড়ে থাকে।

রোসাংগিরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম শোয়েব আল ছালেহীন বলেন, তাঁর ইউনিয়নে বোরো মৌসুমে অন্তত ৭০০ একর জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। সেচের অভাবে এসব অঞ্চলে চাষাবাদ করা যায় না।

সুন্দরপুর গ্রামের কৃষক আবুল হাসেম বলেন, সেচ সুবিধা না থাকায় তাঁর তিন একর জমি পতিত পড়ে আছে।

একই এলাকার মো. আবুল কালাম বলেন, পানির অভাবে তাঁরও সাড়ে তিন একর জমি অনাবাদি পড়ে আছে।

লেলাং গ্রামের কৃষক মো. ওমর ফারুক বলেন, বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা নেই। তাই তাঁর দুই একর জমি অনাবাদি। সেচের কারণে কোনো ফসলই করা সম্ভব হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ফটিকছড়ি পৌরসভার কৃষকেরাও সেচ সুবিধা না থাকায় কেবল আমন ধান আবাদ করেন। সেচের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৮ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। যা আমনের এক-তৃতীয়াংশ।

কৃষি কর্মকর্তার আশা, যদি অনাবাদি জমিগুলো সেচের আওতায় এনে বোরো চাষাবাদ করা যায়, তাহলে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বেশি চাল উৎপাদন সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত