সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ফতুল্লা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এই স্কুলে পড়াশোনা করে। স্কুলটির ঠিক পাশেই রয়েছে সেহাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত বর্ষায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাঁটুপানি মাড়িয়ে স্কুলে প্রবেশ করতে হয়েছে। তবে শুষ্ক মৌসুমেও সেই সমস্যা থেকে পুরোপুরি রেহাই পায়নি শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি না থাকলেও সড়কে জমে আছে নালা ও ডাইংয়ের নোংরা পানি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাঁচ বছর আগেও এই সড়কে সারা বছর জলাবদ্ধতা থাকত না। তবে নিচু অঞ্চল হওয়ায় ভারী বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। কিন্তু অপরিকল্পিত নালা ব্যবস্থা এবং রেলওয়ের ডাবল লাইনের কাজ শুরু হওয়ায় সেই জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নেয়। বর্ষা থেকে শুষ্ক মৌসুমেই বছরজুড়ে কমবেশি পানি জমে থাকে এই স্কুলের চারপাশে।
স্কুলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের উত্তর পাশের রাস্তায় জমে আছে ময়লাযুক্ত পানি। ডাইংয়ের পানি মিশ্রিত হয়ে খয়েরি রং ধারণ করেছে। স্থানীয়রা বিভিন্ন ইট ও বস্তার ওপর দিয়ে চলাচল করছে। তবে সামান্য বৃষ্টি হলেই সেই ইট ও বস্তাও ডুবে যায়। তখন পানির মধ্যেই চলতে হয়।
তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অভিযোগ, স্কুলের পাশেই রেলওয়ের ডাবল লাইনের কাজ করছে। সেই কাজের জন্য পানি সরে যাওয়ার পথ অনেকটাই সরু হয়ে গেছে। সরেজমিনেও তার সেই কথার সত্যতা মিলেছে। পানিপ্রবাহের পথে বসানো হয়েছে লোহার পিলার। সেগুলো সরিয়ে না নেওয়ায় পানিপ্রবাহ হচ্ছে ধীরগতিতে। একইভাবে রেললাইনের পাশ দিয়ে চলমান রয়েছে মোটা ড্রেনের পাইপ বসানোর কাজ। এই কাজ সম্পন্ন হলে কমে আসবে জলাবদ্ধতা। তবে কবে নাগাদ কাজ সম্পন্ন হবে, তা জানেন না কেউই।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই বছর ধরে এই জলাবদ্ধতা প্রায় স্থায়ী রূপ ধারণ করেছে। কোনোভাবেই সরছে না পানি। গত বর্ষা মৌসুমে পুরো এলাকা পানিতে ডুবে ছিল। এবার বর্ষার আগেই পুরো এলাকার সব ড্রেন পরিষ্কার করে রাখা হয়েছে। তাতেও সুফল মিলবে না বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
ফতুল্লা পাইলট স্কুলের শিক্ষিকা চায়না রানী বলেন, ‘গত বর্ষায় আমাদের রিকশা দিয়ে স্কুলে প্রবেশ করতে হয়েছে। এবারও তেমনই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। বর্ষায় শিক্ষার্থীরা পানিতে ভিজে স্কুলে আসা-যাওয়া করেছে। তাদের অনেকে অসুস্থ হয়েছে। এবার শুনছি কাজ চলছে, কিন্তু আদৌ বর্ষায় প্রতিকার আসবে কি না বুঝতে পারছি না।’
একই অভিযোগ করে স্কুলের অফিস সহকারী শুক্কুর বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলের সামনে নর্দমা আর বৃষ্টির পানি জমে আছে। আমাদের চলাফেরায় অনেক সমস্যা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক ভোগান্তি হয়। নোংরা আর দুর্গন্ধযুক্ত পানির অবসান কবে হবে, তা-ও জানি না। এখন শুনছি স্টেশনের পাশে জোড়পুল এলাকায় বড় পাইপ বসানোর কাজ চলছে। সেটা ঠিক হলে নাকি পানি নেমে যাবে। আমরা চাই দ্রুত যেন এই সমস্যার সমাধান হয়।’
এ বিষয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আমাদের এই এলাকা বেশ নিচু। রাস্তাগুলো যখন তৈরি করা হয়, তখন ড্রেন গভীর রেখে সড়ক উঁচু করার প্রয়োজন ছিল। পাশাপাশি রেলওয়ে ডাবল লেনের কাজ করতে গিয়ে পানি চলাচলের পথ সরু করে ফেলেছে। তাদের যতই অনুরোধ করি, কোনো কথাই শুনতে চায় না। নতুন করে রেলওয়ের পাশে বড় ড্রেনের কাজ করছেন তাঁরা। আমি নিজে গিয়ে অনুরোধ করেছি, যাতে বর্ষার আগে কাজটা সম্পন্ন করে। না হলে এবারও আমার এলাকার মানুষ কষ্ট পাবে।’
নারায়ণগঞ্জের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ফতুল্লা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এই স্কুলে পড়াশোনা করে। স্কুলটির ঠিক পাশেই রয়েছে সেহাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত বর্ষায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাঁটুপানি মাড়িয়ে স্কুলে প্রবেশ করতে হয়েছে। তবে শুষ্ক মৌসুমেও সেই সমস্যা থেকে পুরোপুরি রেহাই পায়নি শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি না থাকলেও সড়কে জমে আছে নালা ও ডাইংয়ের নোংরা পানি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাঁচ বছর আগেও এই সড়কে সারা বছর জলাবদ্ধতা থাকত না। তবে নিচু অঞ্চল হওয়ায় ভারী বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। কিন্তু অপরিকল্পিত নালা ব্যবস্থা এবং রেলওয়ের ডাবল লাইনের কাজ শুরু হওয়ায় সেই জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নেয়। বর্ষা থেকে শুষ্ক মৌসুমেই বছরজুড়ে কমবেশি পানি জমে থাকে এই স্কুলের চারপাশে।
স্কুলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের উত্তর পাশের রাস্তায় জমে আছে ময়লাযুক্ত পানি। ডাইংয়ের পানি মিশ্রিত হয়ে খয়েরি রং ধারণ করেছে। স্থানীয়রা বিভিন্ন ইট ও বস্তার ওপর দিয়ে চলাচল করছে। তবে সামান্য বৃষ্টি হলেই সেই ইট ও বস্তাও ডুবে যায়। তখন পানির মধ্যেই চলতে হয়।
তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অভিযোগ, স্কুলের পাশেই রেলওয়ের ডাবল লাইনের কাজ করছে। সেই কাজের জন্য পানি সরে যাওয়ার পথ অনেকটাই সরু হয়ে গেছে। সরেজমিনেও তার সেই কথার সত্যতা মিলেছে। পানিপ্রবাহের পথে বসানো হয়েছে লোহার পিলার। সেগুলো সরিয়ে না নেওয়ায় পানিপ্রবাহ হচ্ছে ধীরগতিতে। একইভাবে রেললাইনের পাশ দিয়ে চলমান রয়েছে মোটা ড্রেনের পাইপ বসানোর কাজ। এই কাজ সম্পন্ন হলে কমে আসবে জলাবদ্ধতা। তবে কবে নাগাদ কাজ সম্পন্ন হবে, তা জানেন না কেউই।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই বছর ধরে এই জলাবদ্ধতা প্রায় স্থায়ী রূপ ধারণ করেছে। কোনোভাবেই সরছে না পানি। গত বর্ষা মৌসুমে পুরো এলাকা পানিতে ডুবে ছিল। এবার বর্ষার আগেই পুরো এলাকার সব ড্রেন পরিষ্কার করে রাখা হয়েছে। তাতেও সুফল মিলবে না বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
ফতুল্লা পাইলট স্কুলের শিক্ষিকা চায়না রানী বলেন, ‘গত বর্ষায় আমাদের রিকশা দিয়ে স্কুলে প্রবেশ করতে হয়েছে। এবারও তেমনই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। বর্ষায় শিক্ষার্থীরা পানিতে ভিজে স্কুলে আসা-যাওয়া করেছে। তাদের অনেকে অসুস্থ হয়েছে। এবার শুনছি কাজ চলছে, কিন্তু আদৌ বর্ষায় প্রতিকার আসবে কি না বুঝতে পারছি না।’
একই অভিযোগ করে স্কুলের অফিস সহকারী শুক্কুর বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলের সামনে নর্দমা আর বৃষ্টির পানি জমে আছে। আমাদের চলাফেরায় অনেক সমস্যা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক ভোগান্তি হয়। নোংরা আর দুর্গন্ধযুক্ত পানির অবসান কবে হবে, তা-ও জানি না। এখন শুনছি স্টেশনের পাশে জোড়পুল এলাকায় বড় পাইপ বসানোর কাজ চলছে। সেটা ঠিক হলে নাকি পানি নেমে যাবে। আমরা চাই দ্রুত যেন এই সমস্যার সমাধান হয়।’
এ বিষয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আমাদের এই এলাকা বেশ নিচু। রাস্তাগুলো যখন তৈরি করা হয়, তখন ড্রেন গভীর রেখে সড়ক উঁচু করার প্রয়োজন ছিল। পাশাপাশি রেলওয়ে ডাবল লেনের কাজ করতে গিয়ে পানি চলাচলের পথ সরু করে ফেলেছে। তাদের যতই অনুরোধ করি, কোনো কথাই শুনতে চায় না। নতুন করে রেলওয়ের পাশে বড় ড্রেনের কাজ করছেন তাঁরা। আমি নিজে গিয়ে অনুরোধ করেছি, যাতে বর্ষার আগে কাজটা সম্পন্ন করে। না হলে এবারও আমার এলাকার মানুষ কষ্ট পাবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪