Ajker Patrika

রান্নায় গরিবের ভরসা লাকড়ির চুলা

কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি
রান্নায় গরিবের ভরসা লাকড়ির চুলা

রাজধানীর কদমতলী থানার বাসিন্দারা গ্যাস-সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন। দিনের বেশির ভাগ সময় চুলায় গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্না নিয়ে চরম ভোগান্তিতে কয়েক লাখ মানুষ। এলাকাবাসী জানান, ভোরে গ্যাস চলে যায়, আসে রাত ১১টার দিকে। মাঝেমধ্যে দুপুরে এলেও চাপ থাকে একেবারেই কম, রান্না করা যায় না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের দনিয়া, সরাই, আনন্দবাজার, পাটেরবাগ, ডিপটির গলি, কুতুবখালীসহ আরও কিছু এলাকায় বাসাবাড়ির চুলায় দিনের বেশির ভাগ সময় গ্যাস সরবরাহ থাকে না। এসব এলাকায় বসবাস করা লাখো পরিবার কয়েক মাস ধরে তীব্র গ্যাস-সংকটে ভুগছে। সামর্থ্যবান পরিবারগুলো রান্নার কাজে ইলেকট্রিক চুলা, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করলেও বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের পরিবারের গৃহিণীরা। রান্নায় এখন তাঁদের ভরসা লাকড়ির চুলা। কিন্তু লাকড়ি কিনতেও তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ।  

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাসের পর মাস গ্যাসের চুলার বিল দিতে হচ্ছে। বিল বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নোটিশ দেওয়া হয়। অথচ লাইনে গ্যাসই থাকে না। অন্যদিকে সিলিন্ডার ব্যবহারে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে। অনেকে জানান, যথাসময়ে রান্না করতে না পারায় শিশুদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে ভোরে রান্নার কাজ সারেন। সারা দিন ঠান্ডা খাবারই খেতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার এলাকার গৃহিণী রেহানা বেগম বলেন, কয়েক মাস ধরে ভোরে গ্যাস চলে যায়, রাতে আসে। দনিয়ার গৃহিণী আসমা বেগম জানান, ভোরে গ্যাস থাকতে রান্না করেন। সেই খাবারই সারা দিন খেতে হয়। কিন্তু প্রতি মাসে গ্যাসের বিল ঠিকই দিতে হয়।

দনিয়ার আরেক প্রবীণ বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘দনিয়ার সব বাড়িতেই গ্যাসের সমস্যা। এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েছি। কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।’

ডিএসসিসির ৬১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জুম্মন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাড়িতেই গ্যাস থাকে না। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী আমাকে জানিয়েছেন। আমিও তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছি, কিন্তু এখনো কোনো কাজ হয়নি।’

এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের হাটখোলা জোনাল কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্যাস-সংকটের সমাধানে আমাদের অপারেশন ও প্ল্যানিং বিভাগ কাজ করছে। এ ছাড়া চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ থাকায় আবাসিকে গ্যাস-সংকট দেখা দিচ্ছে। আশা করি খুব শিগগির সমস্যার সমাধান হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত