নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীতে এখনো শীত শুরু হয়নি। তবে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে বেশ ঠান্ডা পড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে নবজাতক ও শিশুদের ওপর। গত দুই মাসে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩২৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য দিয়েছে। আর ঠান্ডার সময় শিশুদের দিকে বাড়তি নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন শিশুবিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিয়ে গত অক্টোবর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় অর্ধলক্ষ শিশু সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে চলতি ডিসেম্বরের মাসের প্রথম চার দিনেই ভর্তি হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার শিশু রোগী। আর অক্টোবরে ১৩ হাজার ৩৪৫ জন এবং নভেম্বরে ১৭ হাজার ৫২ জন।
অঞ্চল হিসেবে সবচেয়ে বেশি সাড়ে ১০ হাজার রোগী চট্টগ্রাম বিভাগে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় সাড়ে ৫ হাজার রোগী সিলেট বিভাগে। সবচেয়ে কম খুলনা বিভাগে। এসব শিশুর মধ্যে মারা গেছে ৩২৮। এর মধ্যে অক্টোবরে ১৪৩ জন এবং নভেম্বরে ১৭৬ জন। আর গত রোববার পর্যন্ত এ মাসে মারা গেছে ৯ জন। সবচেয়ে বেশি ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালে গতকাল সোমবার সরেজমিনে জরুরি বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অধিকাংশই শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াজনিত। প্রতিদিন হাজারের বেশি রোগী আসছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে।
৮ মাসের রিয়াকে নিয়ে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে এসেছেন সাব্বির রহমান ও নুসরাত জাহান দম্পতি। আজকের পত্রিকাকে তাঁরা বলেন, হঠাৎ করেই গত শুক্রবার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে সিরাপ এনে খাওয়ানো হলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, গত মাসে শুধু নিউমোনিয়া নিয়ে ৩০৯ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। চলতি মাসে ভর্তি হয়েছে ৫১ জন। নভেম্বরে হাসপাতালটিতে ১৫৩ জন ভর্তি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চলতি ডিসেম্বরের প্রথম চার দিনেই এই সংখ্যা ২৬ জন। তবে এর মধ্যে কতজন নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার মতো রোগে মারা গেছে, সেই তথ্য নেই তাদের কাছে।
হাসপাতালটির রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে যেসব রোগী আসছে তাদের সিংহভাগই ঠান্ডাজনিত। শীতের প্রকোপ যত বাড়ছে, রোগীর আসার প্রবণতাও বেড়েছে।
ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে গত আট দিনে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন শিশু মারা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫ জন শিশুকে ভর্তি
করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে ৪৫০ জন রোগী ভর্তি ছিল।
৬০ শয্যার এই হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় ঠান্ডা নিয়েই অনেকে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে।
শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, অভিভাবকের কাছে পরামর্শ থাকবে যেহেতু শীত পড়েছে তাই বাচ্চাদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। শিশুদের হাতমোজা, পা-মোজা সারাক্ষণ পরিয়ে রাখতে হবে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডে গত পাঁচ দিনে ঠান্ডাজনিত রোগে ৪০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন। শনিবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী।
রাজধানীতে এখনো শীত শুরু হয়নি। তবে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে বেশ ঠান্ডা পড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে নবজাতক ও শিশুদের ওপর। গত দুই মাসে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩২৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য দিয়েছে। আর ঠান্ডার সময় শিশুদের দিকে বাড়তি নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন শিশুবিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিয়ে গত অক্টোবর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় অর্ধলক্ষ শিশু সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে চলতি ডিসেম্বরের মাসের প্রথম চার দিনেই ভর্তি হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার শিশু রোগী। আর অক্টোবরে ১৩ হাজার ৩৪৫ জন এবং নভেম্বরে ১৭ হাজার ৫২ জন।
অঞ্চল হিসেবে সবচেয়ে বেশি সাড়ে ১০ হাজার রোগী চট্টগ্রাম বিভাগে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় সাড়ে ৫ হাজার রোগী সিলেট বিভাগে। সবচেয়ে কম খুলনা বিভাগে। এসব শিশুর মধ্যে মারা গেছে ৩২৮। এর মধ্যে অক্টোবরে ১৪৩ জন এবং নভেম্বরে ১৭৬ জন। আর গত রোববার পর্যন্ত এ মাসে মারা গেছে ৯ জন। সবচেয়ে বেশি ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালে গতকাল সোমবার সরেজমিনে জরুরি বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অধিকাংশই শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াজনিত। প্রতিদিন হাজারের বেশি রোগী আসছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে।
৮ মাসের রিয়াকে নিয়ে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে এসেছেন সাব্বির রহমান ও নুসরাত জাহান দম্পতি। আজকের পত্রিকাকে তাঁরা বলেন, হঠাৎ করেই গত শুক্রবার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে সিরাপ এনে খাওয়ানো হলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, গত মাসে শুধু নিউমোনিয়া নিয়ে ৩০৯ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। চলতি মাসে ভর্তি হয়েছে ৫১ জন। নভেম্বরে হাসপাতালটিতে ১৫৩ জন ভর্তি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চলতি ডিসেম্বরের প্রথম চার দিনেই এই সংখ্যা ২৬ জন। তবে এর মধ্যে কতজন নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার মতো রোগে মারা গেছে, সেই তথ্য নেই তাদের কাছে।
হাসপাতালটির রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে যেসব রোগী আসছে তাদের সিংহভাগই ঠান্ডাজনিত। শীতের প্রকোপ যত বাড়ছে, রোগীর আসার প্রবণতাও বেড়েছে।
ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে গত আট দিনে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন শিশু মারা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫ জন শিশুকে ভর্তি
করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে ৪৫০ জন রোগী ভর্তি ছিল।
৬০ শয্যার এই হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় ঠান্ডা নিয়েই অনেকে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে।
শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, অভিভাবকের কাছে পরামর্শ থাকবে যেহেতু শীত পড়েছে তাই বাচ্চাদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। শিশুদের হাতমোজা, পা-মোজা সারাক্ষণ পরিয়ে রাখতে হবে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডে গত পাঁচ দিনে ঠান্ডাজনিত রোগে ৪০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন। শনিবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫