Ajker Patrika

বাড়ছে পাতকুয়ার চাহিদা

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১১: ১৫
বাড়ছে পাতকুয়ার চাহিদা

মিঠাপুকুরে কৃষি সেচে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাতকুয়ার ব্যবহার। সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাতকুয়ায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে খেতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এই প্রকল্পে সরাসরি সুফল ভোগ করছেন উপজেলার ১৬০ জন সবজি চাষি। বিনা মূল্যে সেচ সুবিধা পাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে পাতকুয়ার চাহিদা।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় পাতকুয়ার পানি দিয়ে ২০০ থেকে ২৫০ একর জমিতে সবজি চাষ হচ্ছে। বর্তমানে উপজেলায় আটটি পাতকুয়া রয়েছে। নির্মাণাধীন রয়েছে আরও দুটি।

উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের মাদারপুর, লতিবপুর ইউনিয়নের জানকীনাথপুর, ভাংনী ইউনিয়নের চাঁদপুর, চেংমারী ইউনিয়নের আবিরেরপাড়া, রামেশ্বরপুর, গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর ও ময়েনপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের ১৬০ জন চাষি পাতকুয়ার পানি সেচ দিয়ে সবজি চাষ করছেন।

গত সোমবার লতিবপুর ইউনিয়নের জানকী নাথপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পাতকুয়ার পানি দিয়ে সবজি চাষ করছেন ৩০-৩৫ জন চাষি। তাঁদের একজন সাদেকুল ইসলাম। তাঁর জমিতে পাতকুয়াটি খনন করা হয়েছে। সাদেকুল জানান, ২৩ শতক জমিতে শিম ও ২০ শতক জমিতে রসুন চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে খেতে দুইবার সেচ দিয়েছেন। এতে কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি।

একই এলাকার শহিদুল ইসলাম ভুট্টা চাষ করেছেন। তিনিও পাতকুয়ার পানি দিয়ে খেতে সেচ দিচ্ছেন। এর আগে ফুলকপি, আলু, বেগুন, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের সবজি চাষেই ব্যবহার করা হয়েছে পাতকুয়ার পানি। বিনা মূল্যে পানি পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান চাষি সাদেকুল ইসলামসহ অন্যরা।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, সবজির উৎপাদন ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে সরকারি অর্থায়নে পাতকুয়া নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে আগ্রহী চাষিদের জমি দিতে হয়। পাতকুয়া নির্মাণ করতে এক শতকেরও কম জমি লাগে। সোলার বিদ্যুৎ সংযোগসহ এতে ব্যয় হয় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।

শরিফুল ইসলাম আরও জানান, ১২০ ফুট গভীর এ কুয়ায় বিশেষ কৌশলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হয়। কুয়ার পানি পাম্পের মাধ্যমে উঁচুতে বসানো একটি ট্যাংকে তোলা হয়। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে ট্যাংকের পানি দিয়ে সবজি খেতে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেচের জন্য চাষিদের কোনো টাকা দিতে হয় না।

রংপুর বিভাগের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক সময় পাতকুয়ার পানিই ছিল ভরসা। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে পাতকুয়া ছিল। পান করাসহ সব ধরনের কাজে ব্যবহার করা হতো পাতকুয়ার পানি। কারণ পাতকুয়ায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যায়। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে নতুন ধরনের পাতকুয়া উদ্ভাবন করেছেন। দিনদিন পাতকুয়ার চাহিদা বাড়ছে। চাষিরা পাতকুয়া খননের জন্য জমি দিতে আগ্রহী হয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পর্যায়ক্রমে পাতকুয়ার সংখ্যা বাড়ানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত