মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
মিঠাপুকুরে কৃষি সেচে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাতকুয়ার ব্যবহার। সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাতকুয়ায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে খেতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এই প্রকল্পে সরাসরি সুফল ভোগ করছেন উপজেলার ১৬০ জন সবজি চাষি। বিনা মূল্যে সেচ সুবিধা পাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে পাতকুয়ার চাহিদা।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় পাতকুয়ার পানি দিয়ে ২০০ থেকে ২৫০ একর জমিতে সবজি চাষ হচ্ছে। বর্তমানে উপজেলায় আটটি পাতকুয়া রয়েছে। নির্মাণাধীন রয়েছে আরও দুটি।
উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের মাদারপুর, লতিবপুর ইউনিয়নের জানকীনাথপুর, ভাংনী ইউনিয়নের চাঁদপুর, চেংমারী ইউনিয়নের আবিরেরপাড়া, রামেশ্বরপুর, গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর ও ময়েনপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের ১৬০ জন চাষি পাতকুয়ার পানি সেচ দিয়ে সবজি চাষ করছেন।
গত সোমবার লতিবপুর ইউনিয়নের জানকী নাথপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পাতকুয়ার পানি দিয়ে সবজি চাষ করছেন ৩০-৩৫ জন চাষি। তাঁদের একজন সাদেকুল ইসলাম। তাঁর জমিতে পাতকুয়াটি খনন করা হয়েছে। সাদেকুল জানান, ২৩ শতক জমিতে শিম ও ২০ শতক জমিতে রসুন চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে খেতে দুইবার সেচ দিয়েছেন। এতে কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি।
একই এলাকার শহিদুল ইসলাম ভুট্টা চাষ করেছেন। তিনিও পাতকুয়ার পানি দিয়ে খেতে সেচ দিচ্ছেন। এর আগে ফুলকপি, আলু, বেগুন, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের সবজি চাষেই ব্যবহার করা হয়েছে পাতকুয়ার পানি। বিনা মূল্যে পানি পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান চাষি সাদেকুল ইসলামসহ অন্যরা।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, সবজির উৎপাদন ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে সরকারি অর্থায়নে পাতকুয়া নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে আগ্রহী চাষিদের জমি দিতে হয়। পাতকুয়া নির্মাণ করতে এক শতকেরও কম জমি লাগে। সোলার বিদ্যুৎ সংযোগসহ এতে ব্যয় হয় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।
শরিফুল ইসলাম আরও জানান, ১২০ ফুট গভীর এ কুয়ায় বিশেষ কৌশলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হয়। কুয়ার পানি পাম্পের মাধ্যমে উঁচুতে বসানো একটি ট্যাংকে তোলা হয়। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে ট্যাংকের পানি দিয়ে সবজি খেতে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেচের জন্য চাষিদের কোনো টাকা দিতে হয় না।
রংপুর বিভাগের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক সময় পাতকুয়ার পানিই ছিল ভরসা। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে পাতকুয়া ছিল। পান করাসহ সব ধরনের কাজে ব্যবহার করা হতো পাতকুয়ার পানি। কারণ পাতকুয়ায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যায়। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে নতুন ধরনের পাতকুয়া উদ্ভাবন করেছেন। দিনদিন পাতকুয়ার চাহিদা বাড়ছে। চাষিরা পাতকুয়া খননের জন্য জমি দিতে আগ্রহী হয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পর্যায়ক্রমে পাতকুয়ার সংখ্যা বাড়ানো হবে।’
মিঠাপুকুরে কৃষি সেচে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাতকুয়ার ব্যবহার। সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাতকুয়ায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে খেতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এই প্রকল্পে সরাসরি সুফল ভোগ করছেন উপজেলার ১৬০ জন সবজি চাষি। বিনা মূল্যে সেচ সুবিধা পাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে পাতকুয়ার চাহিদা।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় পাতকুয়ার পানি দিয়ে ২০০ থেকে ২৫০ একর জমিতে সবজি চাষ হচ্ছে। বর্তমানে উপজেলায় আটটি পাতকুয়া রয়েছে। নির্মাণাধীন রয়েছে আরও দুটি।
উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের মাদারপুর, লতিবপুর ইউনিয়নের জানকীনাথপুর, ভাংনী ইউনিয়নের চাঁদপুর, চেংমারী ইউনিয়নের আবিরেরপাড়া, রামেশ্বরপুর, গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর ও ময়েনপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের ১৬০ জন চাষি পাতকুয়ার পানি সেচ দিয়ে সবজি চাষ করছেন।
গত সোমবার লতিবপুর ইউনিয়নের জানকী নাথপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পাতকুয়ার পানি দিয়ে সবজি চাষ করছেন ৩০-৩৫ জন চাষি। তাঁদের একজন সাদেকুল ইসলাম। তাঁর জমিতে পাতকুয়াটি খনন করা হয়েছে। সাদেকুল জানান, ২৩ শতক জমিতে শিম ও ২০ শতক জমিতে রসুন চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে খেতে দুইবার সেচ দিয়েছেন। এতে কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি।
একই এলাকার শহিদুল ইসলাম ভুট্টা চাষ করেছেন। তিনিও পাতকুয়ার পানি দিয়ে খেতে সেচ দিচ্ছেন। এর আগে ফুলকপি, আলু, বেগুন, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের সবজি চাষেই ব্যবহার করা হয়েছে পাতকুয়ার পানি। বিনা মূল্যে পানি পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান চাষি সাদেকুল ইসলামসহ অন্যরা।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, সবজির উৎপাদন ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে সরকারি অর্থায়নে পাতকুয়া নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে আগ্রহী চাষিদের জমি দিতে হয়। পাতকুয়া নির্মাণ করতে এক শতকেরও কম জমি লাগে। সোলার বিদ্যুৎ সংযোগসহ এতে ব্যয় হয় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।
শরিফুল ইসলাম আরও জানান, ১২০ ফুট গভীর এ কুয়ায় বিশেষ কৌশলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হয়। কুয়ার পানি পাম্পের মাধ্যমে উঁচুতে বসানো একটি ট্যাংকে তোলা হয়। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে ট্যাংকের পানি দিয়ে সবজি খেতে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেচের জন্য চাষিদের কোনো টাকা দিতে হয় না।
রংপুর বিভাগের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক সময় পাতকুয়ার পানিই ছিল ভরসা। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে পাতকুয়া ছিল। পান করাসহ সব ধরনের কাজে ব্যবহার করা হতো পাতকুয়ার পানি। কারণ পাতকুয়ায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যায়। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে নতুন ধরনের পাতকুয়া উদ্ভাবন করেছেন। দিনদিন পাতকুয়ার চাহিদা বাড়ছে। চাষিরা পাতকুয়া খননের জন্য জমি দিতে আগ্রহী হয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পর্যায়ক্রমে পাতকুয়ার সংখ্যা বাড়ানো হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪