Ajker Patrika

‘বাংলাদেশ ও ত্রিপুরাকে আলাদা করা সম্ভব না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘বাংলাদেশ ও ত্রিপুরাকে আলাদা করা সম্ভব না’

‘বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক কারণে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে থাকলেও এই দুই অঞ্চলের জনগণের জীবনাচরণ, সংস্কৃতি, ভাষা, কৃষি, দুঃখ, বেদনার গল্প একই। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে এই দুই অঞ্চলের মানুষকে আলাদা করা সম্ভব না।’

রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বক্তারা। সভায় আগরতলা প্রেসক্লাবের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক হারুন হাবীব বলেন, ‘ত্রিপুরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তীর্থস্থান। এই রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অবদান রেখেছেন।’

সভায় আগরতলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত দে বলেন, ‘ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের আত্মার সম্পর্ক। আজ বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মানুষ রাজনৈতিক কারণে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন, বিদেশি বলে চিহ্নিত। কিন্তু নদীর জল মাঝখানে কাটলে যেমন আলাদা হয় না, তেমনি উভয় প্রান্তের মানুষকে কাঁটাতার দিয়ে আলাদা করা সম্ভব নয়।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ত্রিপুরার সর্বস্তরের মানুষ এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃজন যে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন, তার গভীরতা এখনো আমাদের জানা হয়ে ওঠেনি।’

আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘রামগড়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং গ্রহণের ব্যাপারে যাঁরা উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, তাঁদের অন্যতম ছিলেন হেমদা রঞ্জন ত্রিপুরা। অম্পিনগরে দুই মাস গেরিলা প্রশিক্ষণ শেষে তাঁকে ৪০ জনের একটি বাহিনীর অধিনায়ক করে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি অসংখ্য পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাঁটিতে গেরিলা আক্রমণ করেন।’

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে ত্রিপুরার সর্বস্তরের মানুষ পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে অবদান রেখেছিলেন বলে জানান জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত