Ajker Patrika

ফিলিপাইন থেকে এল নতুন জাতের আনারসের চারা

মধুপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮: ৫৬
ফিলিপাইন থেকে এল নতুন জাতের আনারসের চারা

ফিলিপাইন থেকে উন্নত জাতের এক লাখ আনারসের চারা আমদানি করা হয়েছে। আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষকের মধ্যে এমডি-২ জাতের ওই আনারসের চারা বিতরণ করা হবে। এই আনারস দ্রুত পচন ধরে না বলে কৃষকের মধ্যে এই নতুন জাত চাষে আগ্রহ সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদী প্রকল্প পরিচালক।

প্রকল্প পরিচালক মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘এমডি টু জাতের আনারস রপ্তানিযোগ্য। নতুন জাতের আনারসের সাইজও ভালো। দেশীয় আনারসের তুলনায় অনেক বেশি মিষ্টি। ভিটামিন সি’র পরিমাণ দেশি আনারসের চেয়ে তিন চারগুণ বেশি। এই আনারস দ্রুত পচে না। এ ছাড়া দেশীয় আনারসের চোখগুলো থাকে ভেতরের দিকে। নতুন এই জাতের আনারসের চোখগুলো থাকে বাইরের দিকে। ফলে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন অংশের অপচয় কম হয়। পোকার আক্রমণ কম হয়। এই আনারস দেশীয় আনারসের মতোই ১২ মাসে ফলন আসে। পরীক্ষামূলকভাবে এই আনারস মধুপুরে চাষ শুরু হচ্ছে।’

মধুপরের আনারস স্বাদে বেশ মিষ্টি হওয়া দেশ জুড়ে একটা কদর রয়েছে। এই এলাকার আনারসের চাহিদা থাকায় নতুন করে উন্নত জাতের চারা আমদানি করা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকে বিশেষ আগ্রহ থেকে বিএডিসির মাধ্যমে ফিলিপাইন থেকে এই এক লাখ এমডি টু আনারসের চারা আমদানি করা হয়েছে। বহুগুণের জায়ান্টকিউ আনারসের রাজত্বে নতুন এমডি টু (২) জাতের আনারসের চারা রাখা হয়েছে মধুপুরের মহিষমারা ইউনিয়নে শামছুল হকের কোম্পানিতে। আজ সোমবার ১৭ জন কৃষকের মধ্যে প্রত্যেককে সাড়ে ৫ হাজার চারা প্রদান করা হবে। চারা বিতরণের আগে কৃষক, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মাঠ পর্যায়ে হাতে কলমে রোপণ ও পরিচর্যার পদ্ধতি শেখানো হবে। তারপর বিতরণ হবে এমডি টু নামের নতুন জাতের আনারসের চারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ প্রকল্প পরিচালক মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমডি টু নামের উন্নত জাতের আনারস ফিলিপাইন থেকে আনার জন্য ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতায় এমডি টু জাতের আনারস আমদানি করা হয়েছে। আনারসের উৎপাদন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মধুপুরে পরীক্ষামূলকভাবে এক লাখ চারা আনা হয়েছে। কিছু নির্বাচিত কৃষকের মধ্যে ওই চারা বিতরণ করা হবে।’

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম জানান, উন্নতজাতের আমদানি করা আনারসের চারা নেওয়ার ব্যাপারে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কিন্তু বড় চাষিদের এমডি টু জাতের আনারসের চারা দেওয়া সবার জন্য মঙ্গল হবে। ফলন ভালো হলে এই জাতের সম্প্রসারণ করা যাবে। অন্য কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা যাবে। ক্ষতি হলে বড় চাষি বিষয়টি পুষিয়ে নিতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত