মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা আন্দোলনে প্রথম শহীদ হন মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার পারিল গ্রামের রফিক উদ্দিন আহমদ। তাঁর নিজ গ্রামে একটি গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করেছে সরকার। এ ছাড়া শহীদ রফিকের পৈতৃক বাড়িতে সরকারিভাবে একটি শহীদ মিনার এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় পাঠাগার নির্মাণ করা হয়েছে। তবে জাদুঘরে শহীদ রফিকের কোনো স্মৃতিবিজড়িত বস্তু না থাকায় তা দর্শনার্থী টানতে পারছে না।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৫ মে ভাষাশহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণকাজ শেষে তা উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় রফিকুল ইসলামের দান করা জমিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ। উদ্বোধনের শুরুতে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জন পাঠক ও দর্শনার্থী এলেও এখন সেই সংখ্যা ঠেকেছে ১০-১৫ জনে।
ঢাকা থেকে আসা চাকরিজীবী কাজী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে এসে দেখি, সাজানো-গোছানো পাঠাগার থাকলেও নতুন কোনো বই নেই। এখানে নেই রফিকের স্মৃতিচিহ্ন। মহাসড়ক থেকে রফিক নগর পর্যন্ত আসা রাস্তাটিও খানাখন্দে ভরা। এ কারণে ঢাকা থেকে এসে অনেকটা হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।’
রফিক নগরের পাশের নওথা গ্রামের কলেজপড়ুয়া তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘আমি সময় পেলেই এখানে বই পড়তে আসি। কিন্তু এখানে যা আছে, তা পুরোনো বই। আর এটা নামেই জাদুঘর, ভাষাশহীদ রফিকের স্মৃতিচিহ্ন—কিছুই নেই এখানে। কিছু বই থাকলেই কি জাদুঘর বলা যায়?’
তাহমিনা জানান, তিনি শুনেছেন পরিবারের কাছে রফিকের ব্যবহার্য জিনিসপত্র আছে। এগুলো জাদুঘরে রাখার দাবি জানান তিনি।
ভাষাশহীদ রফিক জাদুঘর ও গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান ফরহাদ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উদ্বোধনের পর শুরুর দিকে প্রতিদিন দুই শ থেকে আড়াই শ দর্শনার্থী আসত জাদুঘরে। এখন গড়ে ১০ থেকে ১২ জন আসেন। পাঠাগারে ১০ হাজার বই রয়েছে বলে জানান তিনি।
ফরহাদ বলেন, এই গ্রন্থাগারে ভাষাশহীদ রফিকের ওপর রচিত বই মাত্র দুটি, বাকিগুলো গল্প-উপন্যাস। মুক্তিযুদ্ধের ওপর খুব বেশি বই নেই। পাঠক ও দর্শনার্থীরা নতুন নতুন বই পড়তে চান, কিন্তু তা পান না। এ কারণে পাঠক ও দর্শনার্থীরা আসেন না।
ভাষাশহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রফিকের স্মৃতিচিহ্ন বলতে যা বোঝায়, তা খুব একটা নেই। একটি পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, টেবিল, চেয়ার ও কাপড়ের ওপর রফিকের নিজ হাতে নকশা করা একটি টেবিল ক্লথ আছে। জাদুঘরে তা দেওয়া হয়নি। ভাষাশহীদ রফিক পরিবারের সদস্য হিসেবে তিনি যত ক্রেস্ট ও সম্মাননা পেয়েছেন, তা জাদুঘরে দেবেন, যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা আন্দোলনে প্রথম শহীদ হন মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার পারিল গ্রামের রফিক উদ্দিন আহমদ। তাঁর নিজ গ্রামে একটি গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করেছে সরকার। এ ছাড়া শহীদ রফিকের পৈতৃক বাড়িতে সরকারিভাবে একটি শহীদ মিনার এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় পাঠাগার নির্মাণ করা হয়েছে। তবে জাদুঘরে শহীদ রফিকের কোনো স্মৃতিবিজড়িত বস্তু না থাকায় তা দর্শনার্থী টানতে পারছে না।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৫ মে ভাষাশহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণকাজ শেষে তা উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় রফিকুল ইসলামের দান করা জমিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ। উদ্বোধনের শুরুতে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জন পাঠক ও দর্শনার্থী এলেও এখন সেই সংখ্যা ঠেকেছে ১০-১৫ জনে।
ঢাকা থেকে আসা চাকরিজীবী কাজী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে এসে দেখি, সাজানো-গোছানো পাঠাগার থাকলেও নতুন কোনো বই নেই। এখানে নেই রফিকের স্মৃতিচিহ্ন। মহাসড়ক থেকে রফিক নগর পর্যন্ত আসা রাস্তাটিও খানাখন্দে ভরা। এ কারণে ঢাকা থেকে এসে অনেকটা হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।’
রফিক নগরের পাশের নওথা গ্রামের কলেজপড়ুয়া তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘আমি সময় পেলেই এখানে বই পড়তে আসি। কিন্তু এখানে যা আছে, তা পুরোনো বই। আর এটা নামেই জাদুঘর, ভাষাশহীদ রফিকের স্মৃতিচিহ্ন—কিছুই নেই এখানে। কিছু বই থাকলেই কি জাদুঘর বলা যায়?’
তাহমিনা জানান, তিনি শুনেছেন পরিবারের কাছে রফিকের ব্যবহার্য জিনিসপত্র আছে। এগুলো জাদুঘরে রাখার দাবি জানান তিনি।
ভাষাশহীদ রফিক জাদুঘর ও গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান ফরহাদ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উদ্বোধনের পর শুরুর দিকে প্রতিদিন দুই শ থেকে আড়াই শ দর্শনার্থী আসত জাদুঘরে। এখন গড়ে ১০ থেকে ১২ জন আসেন। পাঠাগারে ১০ হাজার বই রয়েছে বলে জানান তিনি।
ফরহাদ বলেন, এই গ্রন্থাগারে ভাষাশহীদ রফিকের ওপর রচিত বই মাত্র দুটি, বাকিগুলো গল্প-উপন্যাস। মুক্তিযুদ্ধের ওপর খুব বেশি বই নেই। পাঠক ও দর্শনার্থীরা নতুন নতুন বই পড়তে চান, কিন্তু তা পান না। এ কারণে পাঠক ও দর্শনার্থীরা আসেন না।
ভাষাশহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রফিকের স্মৃতিচিহ্ন বলতে যা বোঝায়, তা খুব একটা নেই। একটি পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, টেবিল, চেয়ার ও কাপড়ের ওপর রফিকের নিজ হাতে নকশা করা একটি টেবিল ক্লথ আছে। জাদুঘরে তা দেওয়া হয়নি। ভাষাশহীদ রফিক পরিবারের সদস্য হিসেবে তিনি যত ক্রেস্ট ও সম্মাননা পেয়েছেন, তা জাদুঘরে দেবেন, যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪