সাবিত আল হাসান, বন্দর (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার তাঁর প্রচার কৌশলে তিনটি বিষয়কে সামনে আনছেন বারবার। সেগুলো হচ্ছে বাসিন্দাদের ওপর ধার্যকৃত কর, বিএনপির পার্টি অফিস ভাঙা এবং নগর ভবনকে গণমুখী করা। মনোনয়ন ফরম কেনা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সব বক্তব্যেই এই বিষয়গুলো টেনে আনছেন তিনি।
তৈমূর আলম খন্দকার এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনী স্লোগান তৈরি করেননি। কেবল মনোনয়নপত্র কেনার পর ‘নিজের খাইয়া তৈমূর’ মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তৈমূরপন্থীদের মুখে মুখে চলছে এই বুলি। তবে যেসব বিষয় সামনে এনে তৈমূর আলম কথা বলছেন, তা স্পষ্ট এবং ভোটারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। দীর্ঘদিন ধরে সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেও কিছু কিছু সংকট থেকে উত্তরণ করতে না পারায় প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা হায়াৎ আইভীর সেই দুর্বলতা ভালোভাবেই লুফে নিয়েছেন তৈমূর।
তৈমূর আলম খন্দকার ও বিএনপিপন্থী নেতারা বিভিন্ন সভা ও বক্তব্যে বলছেন, নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বেশি হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হয় বাসিন্দাদের। তার পরিমাণ হচ্ছে ২২ শতাংশ। অন্যদিকে ট্যাক্সের পরিমাণ থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চট্টগ্রামে ট্যাক্সের পরিমাণ ১৪ শতাংশ। ট্যাক্স আদায়ে জোর করা হয় না বললেও তা পরিশোধ কখনো না কখনো করতেই হয়। আর তাতে বাড়িভাড়ার ওপর যেসব বাসিন্দা নির্ভরশীল, তাঁদের কপালে সর্বদাই দুশ্চিন্তার ভাঁজ থাকে। এই ট্যাক্স কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তৈমূর। একই সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স, পানি সরবরাহের পাইপ স্থাপনের পূর্বেই বড় অঙ্কের টাকা নিয়েও রয়েছে আপত্তি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তৈমূর এলেও নারায়ণগঞ্জ বিএনপির পুরোটাই বর্তমানে তাঁর সঙ্গে আছেন। আওয়ামী লীগের আইভীর সঙ্গে বিএনপি কাজ করছে বা মৌন সমর্থন দিয়েছে, এমন কোনো নজির নেই। তাই বিএনপির দলীয় দাবিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তৈমূরের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়সহ ভবন ভেঙে দেন সিটি করপোরেশন। সেখানে নতুন মার্কেট নির্মাণ করার কথা বলে ভেঙে দেওয়া হয় পুরোনো ভবনটি। তবে নতুন ভবনে আর কার্যালয় স্থাপন করতে পারেনি বিএনপি। সেই বিষয়টিকেই তৈমূরপন্থীরা পুঁজি করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীদের একত্র করতে।
নির্বাচনে আইভীকে ঘায়েল করতে তৈমূর সবচেয়ে বড় ইস্যু করতে চাইছেন নগর ভবনের কার্যক্রম। সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে একই বিষয়ে আপত্তি ও অভিযোগ তুলে বক্তব্য রেখেছিলেন শামীম ওসমানপন্থী আওয়ামী নেতারা। সেই সুর ধরেই এবার গণমুখী নগর ভবন বা সিটি করপোরেশন রূপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তৈমূর। বিভিন্ন সময় তৈমূরপন্থী নেতারা দাবি করেছেন সিটি করপোরেশনে ঠিকাদারদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ চলছে। সিন্ডিকেটের কারণে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ব্যক্তিস্বার্থের উন্নয়নের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। একই প্রকল্পের সময় দীর্ঘায়িত করে বাড়ানো হচ্ছে বাজেট। এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন করে চাহিদা অনুযায়ী নগর ভবন চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন তৈমূর।
তবে তৈমূরপন্থীদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বিভিন্ন সময় বলেছেন, ‘তৈমূর আলম খন্দকার ট্যাক্স নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ট্যাক্সে মানুষের কষ্ট হলে এ নিয়ে অভিযোগ উঠত আগেই।’
এই বিষয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, ‘বাড়তি ট্যাক্স আমাদের এই শহরের মানুষের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি ট্যাক্স দিয়েও এই শহরে যানজট, জলাবদ্ধতা, বর্জ্য অব্যবস্থাপনার সমস্যা রয়েই গেছে। তাহলে মানুষের লাভটা কী হচ্ছে সিটি করপোরেশন থেকে?’
নির্বাচনী ইস্যুর বিষয়ে তৈমূর আলম খন্দকার গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই শহর তো মানুষের বসবাসের যোগ্যতা হারাচ্ছে দিন দিন। শহরে যে কোনো ব্যবস্থাপনা নেই, তা সবাই জানে। শহরটা ঠিকভাবে চলবে কী করে? আমরা এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ চাই। সেই কারণেই মানুষ আমার পাশে এসেছে।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার তাঁর প্রচার কৌশলে তিনটি বিষয়কে সামনে আনছেন বারবার। সেগুলো হচ্ছে বাসিন্দাদের ওপর ধার্যকৃত কর, বিএনপির পার্টি অফিস ভাঙা এবং নগর ভবনকে গণমুখী করা। মনোনয়ন ফরম কেনা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সব বক্তব্যেই এই বিষয়গুলো টেনে আনছেন তিনি।
তৈমূর আলম খন্দকার এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনী স্লোগান তৈরি করেননি। কেবল মনোনয়নপত্র কেনার পর ‘নিজের খাইয়া তৈমূর’ মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তৈমূরপন্থীদের মুখে মুখে চলছে এই বুলি। তবে যেসব বিষয় সামনে এনে তৈমূর আলম কথা বলছেন, তা স্পষ্ট এবং ভোটারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। দীর্ঘদিন ধরে সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেও কিছু কিছু সংকট থেকে উত্তরণ করতে না পারায় প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা হায়াৎ আইভীর সেই দুর্বলতা ভালোভাবেই লুফে নিয়েছেন তৈমূর।
তৈমূর আলম খন্দকার ও বিএনপিপন্থী নেতারা বিভিন্ন সভা ও বক্তব্যে বলছেন, নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বেশি হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হয় বাসিন্দাদের। তার পরিমাণ হচ্ছে ২২ শতাংশ। অন্যদিকে ট্যাক্সের পরিমাণ থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চট্টগ্রামে ট্যাক্সের পরিমাণ ১৪ শতাংশ। ট্যাক্স আদায়ে জোর করা হয় না বললেও তা পরিশোধ কখনো না কখনো করতেই হয়। আর তাতে বাড়িভাড়ার ওপর যেসব বাসিন্দা নির্ভরশীল, তাঁদের কপালে সর্বদাই দুশ্চিন্তার ভাঁজ থাকে। এই ট্যাক্স কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তৈমূর। একই সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স, পানি সরবরাহের পাইপ স্থাপনের পূর্বেই বড় অঙ্কের টাকা নিয়েও রয়েছে আপত্তি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তৈমূর এলেও নারায়ণগঞ্জ বিএনপির পুরোটাই বর্তমানে তাঁর সঙ্গে আছেন। আওয়ামী লীগের আইভীর সঙ্গে বিএনপি কাজ করছে বা মৌন সমর্থন দিয়েছে, এমন কোনো নজির নেই। তাই বিএনপির দলীয় দাবিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তৈমূরের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়সহ ভবন ভেঙে দেন সিটি করপোরেশন। সেখানে নতুন মার্কেট নির্মাণ করার কথা বলে ভেঙে দেওয়া হয় পুরোনো ভবনটি। তবে নতুন ভবনে আর কার্যালয় স্থাপন করতে পারেনি বিএনপি। সেই বিষয়টিকেই তৈমূরপন্থীরা পুঁজি করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীদের একত্র করতে।
নির্বাচনে আইভীকে ঘায়েল করতে তৈমূর সবচেয়ে বড় ইস্যু করতে চাইছেন নগর ভবনের কার্যক্রম। সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে একই বিষয়ে আপত্তি ও অভিযোগ তুলে বক্তব্য রেখেছিলেন শামীম ওসমানপন্থী আওয়ামী নেতারা। সেই সুর ধরেই এবার গণমুখী নগর ভবন বা সিটি করপোরেশন রূপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তৈমূর। বিভিন্ন সময় তৈমূরপন্থী নেতারা দাবি করেছেন সিটি করপোরেশনে ঠিকাদারদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ চলছে। সিন্ডিকেটের কারণে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ব্যক্তিস্বার্থের উন্নয়নের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। একই প্রকল্পের সময় দীর্ঘায়িত করে বাড়ানো হচ্ছে বাজেট। এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন করে চাহিদা অনুযায়ী নগর ভবন চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন তৈমূর।
তবে তৈমূরপন্থীদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বিভিন্ন সময় বলেছেন, ‘তৈমূর আলম খন্দকার ট্যাক্স নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ট্যাক্সে মানুষের কষ্ট হলে এ নিয়ে অভিযোগ উঠত আগেই।’
এই বিষয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, ‘বাড়তি ট্যাক্স আমাদের এই শহরের মানুষের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি ট্যাক্স দিয়েও এই শহরে যানজট, জলাবদ্ধতা, বর্জ্য অব্যবস্থাপনার সমস্যা রয়েই গেছে। তাহলে মানুষের লাভটা কী হচ্ছে সিটি করপোরেশন থেকে?’
নির্বাচনী ইস্যুর বিষয়ে তৈমূর আলম খন্দকার গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই শহর তো মানুষের বসবাসের যোগ্যতা হারাচ্ছে দিন দিন। শহরে যে কোনো ব্যবস্থাপনা নেই, তা সবাই জানে। শহরটা ঠিকভাবে চলবে কী করে? আমরা এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ চাই। সেই কারণেই মানুষ আমার পাশে এসেছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪