নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বইমেলাকে বাঙালির প্রাণের মেলা উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বইমেলা শুধু বই কেনাবেচার জায়গা নয়। এ মেলা বাঙালি জাতিসত্তা দাঁড় করাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। গতকাল রোববার বিকেলে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে শুরু হওয়া বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
চসিক মেয়র বলেন, গত দুবছর প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও করোনার বৈশ্বিক মহামারির কারণে বইমেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এ বছর সংক্রমণের হার কম থাকায় এবং প্রকাশক, সংস্কৃতিসেবী, ছাত্র-ছাত্রী, বইপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের অবরুদ্ধ দশার অবসান ঘটানো লক্ষ্যে এ বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
চসিকের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে ১৯ দিনের এ মেলা। এতে থাকছে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, পেশাজীবী সমাবেশ, ছড়া উৎসব, চাটগাঁ উৎসব, মরমি উৎসব, কবিতা উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, তারুণ্য উৎসব, নারী উৎসব, বিতর্ক প্রতিযোগিতা। এসব বর্ণিল আয়োজনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশের খ্যাতিমান শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেবেন।
গতকাল মেলায় আসা আনিকা তাবাচ্ছুম তান্নী বলেন, ‘করোনার কারণে প্রায় দুবছর কোনো বইমেলায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি। একপ্রকার ঘরেই বন্দী ছিলাম। কিন্তু এবার বইমেলায় অংশ নিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এ জন্য আয়োজকদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই। এ ধরনের বইমেলার আয়োজন যেন নিয়মিত হয়, সেই কামনা করি।’
মেলার উদ্বোধনীতে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বইয়ের বিকল্প বই। এটি এমন একটি মাধ্যম যা আমাদের মনকে বিকশিত করে, জ্ঞান সমৃদ্ধ আর হৃদয়কে করে পরিপূর্ণ।’ সভ্যতার ক্রমবিকাশে ও মানুষের চিন্তনের ক্ষেত্রে বই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চসিক মেয়র বলেন, আলোকিত মানুষ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ বই। একুশে বইমেলা ঘিরে বিভিন্নভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। তারা একাত্তরেও ছিল, এখনো আছে। এদের প্রেতাত্মারা এখনো মরে যায়নি।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘মেলায় ইসলামি বা ধর্মীয় বই রাখা যাবে না এটা কোথাও বলা হয়নি। অবশ্যই ইসলামি বই রাখা যাবে। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, কোনো মৌলবাদী বই রাখা যাবে না। অনেক ইসলামি প্রকাশনা এখানে রয়েছে।’ কোনো মিথ্যা প্রোপাগান্ডায় কান দেবেন না, গুজবে কান না দেওয়ার জন্য তিনি মেলায় আগত দর্শনার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মেয়র বলেন, ‘জঙ্গিবাদকে যারা উৎসাহিত করে, যে বই পড়ে আমাদের তরুণ প্রজন্ম জঙ্গিবাদে উৎসাহিত হবে—সে সব বই এ মেলায় রাখা যাবে না।’
রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করেছি। আমরাই একমাত্র জাতি নিজের মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রক্ত দিয়েছি। পৃথিবীর আর কোনো জাতি নিজের মায়ের ভাষার জন্য রক্ত দেয়নি।’
বই অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বই সত্যের পথে, ন্যায়ের পথে পরিচালিত করে মানুষকে বিশুদ্ধ করে তোলে। মানুষ জ্ঞানতৃষ্ণা নিবারণের জন্য বইমেলা ছুটে আসে। বই পড়ায় মানুষকে আগ্রহী করে তোলাকেই বইমেলার আসল উদ্দেশ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর ডা. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সমাজ কল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, দুর্বার বাংলার নির্বাহী সম্পাদক অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী।
এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন এবং ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন মেয়র।
বইমেলাকে বাঙালির প্রাণের মেলা উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বইমেলা শুধু বই কেনাবেচার জায়গা নয়। এ মেলা বাঙালি জাতিসত্তা দাঁড় করাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। গতকাল রোববার বিকেলে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে শুরু হওয়া বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
চসিক মেয়র বলেন, গত দুবছর প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও করোনার বৈশ্বিক মহামারির কারণে বইমেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এ বছর সংক্রমণের হার কম থাকায় এবং প্রকাশক, সংস্কৃতিসেবী, ছাত্র-ছাত্রী, বইপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের অবরুদ্ধ দশার অবসান ঘটানো লক্ষ্যে এ বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
চসিকের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে ১৯ দিনের এ মেলা। এতে থাকছে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, পেশাজীবী সমাবেশ, ছড়া উৎসব, চাটগাঁ উৎসব, মরমি উৎসব, কবিতা উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, তারুণ্য উৎসব, নারী উৎসব, বিতর্ক প্রতিযোগিতা। এসব বর্ণিল আয়োজনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশের খ্যাতিমান শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেবেন।
গতকাল মেলায় আসা আনিকা তাবাচ্ছুম তান্নী বলেন, ‘করোনার কারণে প্রায় দুবছর কোনো বইমেলায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি। একপ্রকার ঘরেই বন্দী ছিলাম। কিন্তু এবার বইমেলায় অংশ নিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এ জন্য আয়োজকদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই। এ ধরনের বইমেলার আয়োজন যেন নিয়মিত হয়, সেই কামনা করি।’
মেলার উদ্বোধনীতে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বইয়ের বিকল্প বই। এটি এমন একটি মাধ্যম যা আমাদের মনকে বিকশিত করে, জ্ঞান সমৃদ্ধ আর হৃদয়কে করে পরিপূর্ণ।’ সভ্যতার ক্রমবিকাশে ও মানুষের চিন্তনের ক্ষেত্রে বই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চসিক মেয়র বলেন, আলোকিত মানুষ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ বই। একুশে বইমেলা ঘিরে বিভিন্নভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। তারা একাত্তরেও ছিল, এখনো আছে। এদের প্রেতাত্মারা এখনো মরে যায়নি।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘মেলায় ইসলামি বা ধর্মীয় বই রাখা যাবে না এটা কোথাও বলা হয়নি। অবশ্যই ইসলামি বই রাখা যাবে। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, কোনো মৌলবাদী বই রাখা যাবে না। অনেক ইসলামি প্রকাশনা এখানে রয়েছে।’ কোনো মিথ্যা প্রোপাগান্ডায় কান দেবেন না, গুজবে কান না দেওয়ার জন্য তিনি মেলায় আগত দর্শনার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মেয়র বলেন, ‘জঙ্গিবাদকে যারা উৎসাহিত করে, যে বই পড়ে আমাদের তরুণ প্রজন্ম জঙ্গিবাদে উৎসাহিত হবে—সে সব বই এ মেলায় রাখা যাবে না।’
রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করেছি। আমরাই একমাত্র জাতি নিজের মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রক্ত দিয়েছি। পৃথিবীর আর কোনো জাতি নিজের মায়ের ভাষার জন্য রক্ত দেয়নি।’
বই অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বই সত্যের পথে, ন্যায়ের পথে পরিচালিত করে মানুষকে বিশুদ্ধ করে তোলে। মানুষ জ্ঞানতৃষ্ণা নিবারণের জন্য বইমেলা ছুটে আসে। বই পড়ায় মানুষকে আগ্রহী করে তোলাকেই বইমেলার আসল উদ্দেশ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর ডা. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সমাজ কল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, দুর্বার বাংলার নির্বাহী সম্পাদক অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী।
এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন এবং ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন মেয়র।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৫ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪