Ajker Patrika

গাছে গাছে মুকুলের ঘ্রাণ

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ০২
Thumbnail image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের আমগাছগুলোতে ফুটতে শুরু করেছে মুকুল। মুকুলের সমারোহে বাতাসে বইতে শুরু করেছে এর ঘ্রাণ। কৃষি বিভাগ ধারণা করছে, এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হবে। অন্যদিকে বাগানের মালিকেরা এ বছর আমের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে আমগাছ রয়েছে। এর মধ্যে ফজলি ৯৮৫ হেক্টর, আশ্বিনা ১ হাজার ২৩০, ল্যাংড়া ৩৯৫, ক্ষীরসাপাত ২৫৫, গোপাল ভোগ ২২০, আম্রপালি ২৯০, মল্লিকা ৫, লক্ষণ ভোগ ১৯৫, বোম্বাই ১৫, উন্নতজাত ৩৭৫ ও গুটি ২৭৫ হেক্টর জমিতে আমগাছ রয়েছে। এবার উপজেলায় ৪ হাজার ২২০ হেক্টর জমির বিপরীতে ৩৮ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

সরেজমিন গোমস্তাপুরের আমবাগানগুলোতে দেখা গেছে, বাগানের সারি সারি গাছের ডালে শোভা পাচ্ছে হলুদ আর সবুজের মহামিলন। গাছের প্রতিটি ডালপালায় মুকুল ছেয়ে যাচ্ছে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ, ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের ম-ম গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মন ও প্রাণকে বিমোহিতসহ মুকুলের আশপাশে মৌমাছির আনাগোনা। অনেকেই মুকুল রক্ষা করতে গাছে গাছে ওষুধ দিতে দেখা গেছে। তবে অনেক বাগানের মালিক মনে করছেন, এ বছর আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর।

আমবাগান মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায়, বাগানের গাছে গাছে মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। তাঁর বাগানে কয়েক সপ্তাহ থেকে বেশির ভাগ গাছে মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। পোকামাকড় ও অন্যান্য রোগবালাই থেকে মুকুল রক্ষা করতে প্রাথমিক পর্যায়ে পরিচর্যা শুরু করা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ না হলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি ধারণা করছেন।

বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বাগানের মালিক ও আম ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, আমবাগানে মুকুল আসার পর থেকেই তিনি গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুলে রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, এখন পর্যন্ত উপজেলার আমগাছগুলো মুকুল এসেছে শতকরা ১০ শতাংশ জমিতে। উপজেলা কৃষি বিভাগ ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের মোট তিনবার স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমে মুকুল আসার আগে ও পরে মুকুল মোটর দানা বাঁধার সময় একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে হপার পোকাসহ অন্যান্য রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না হয়। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে গোমস্তাপুর উপজেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন। তবে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত