রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (নারায়ণগঞ্জ)
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় ফুটপাত দখল করে প্রতিদিন বসে অস্থায়ী দোকান। ফুটপাত ছাড়িয়ে এসব দোকান এখন মূল সড়কেও বসছে। এ ছাড়া রয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড। হাঁটার জায়গা না থাকায় সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
মাওনা চৌরাস্তার ওপর দিয়ে গেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। এখানে সংযুক্ত হয়েছে মাওনা-কালিয়াকৈর সড়ক ও মাওনা-বরমী সড়ক। ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মাওনা চৌরাস্তায় প্রতিদিন লাখো মানুষের আনাগোনা থাকে। এ সুযোগে দীর্ঘদিন ধরেই ফুটপাতে ভাসমান ব্যবসায়ীদের অবৈধ দখলে চলে গেছে। আর এখন ফুটপাত ছাড়িয়ে দোকান বসছে মূল সড়কেও।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সড়ক ঘিরে গড়ে উঠেছে শত দোকানপাট। দিনের অধিকাংশ সময়ই মহাসড়কের লেন দখল করে বসছেন ভাসমান ব্যবসায়ীরা। ফলে অধিকাংশ সময় যানজট লেগে থাকে। মাওনা চৌরাস্তা থেকে কালিয়াকৈর সড়কের প্রায় ৫০০ গজ এলাকায় সড়কের দুই লেন সমানভাবে দখল হয়ে গেছে। শ্রীপুর ও ঢাকা সড়কেরও একই অবস্থা। এ ছাড়া সড়কের ওপরই গড়ে তোলা হয়েছে সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড।
অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন মার্কেট কর্তৃপক্ষ ফুটপাত ও সড়কে এসব অবৈধ দোকান বসতে সহায়তা করে থাকে। প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে তারা। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কয়েক নেতাসহ হাইওয়ে পুলিশের পকেটে এসব টাকার ভাগ যায়। এই যানজটের কবলে পড়ে শিল্পকারখানার পণ্যবাহী গাড়ি, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং হাসপাতালের অসুস্থ রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
মাওনা চৌরাস্তার ব্যবসায়ী ফিরুজ আহমদ বলেন, মাওনা চৌরাস্তায় হাজারো সমস্যা। এখন অন্যতম সমস্যা হচ্ছে যানজট। কষ্টের কথা হলো ফুটপাতের পরে এখন সড়কগুলোও দখল হয় যাচ্ছে। হাঁটতে গেলে নারী ও শিশুদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেখানে প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের শিকার হন অনেক নারী।
মাওনা সিটি হাসপাতালের মালিক আব্দুল মালেক বলেন, মাওনা চৌরাস্তা থেকে ফায়ার সার্ভিস অফিস পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রায় ১২টি হাসপাতাল রয়েছে, রয়েছে ফায়ার সার্ভিস। বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের খবরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোও যানজটে আটকে থাকে। হাসপাতালে আসা রোগীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অথচ সড়কগুলো যদি মুক্ত থাকত, তাহলে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারত।
স্থানীয় নারী কর্মী সাহিদা আক্তার স্বর্ণা বলেন, ‘মাওনা চৌরাস্তায় এখন চলাচল করাটা খুবই কষ্টকর। যে যেভাবে পারছেন, দখল করে ব্যবসা করছেন। ফুটপাত নেই, সড়কও দখল হয়ে যাচ্ছে। অথচ সবাই নীরব। আমাদের দাবি যেভাবেই হোক ফুটপাত ও রাস্তা অবৈধ দখলের কবল থেকে উদ্ধার করতে হবে।’
এ বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ কারও কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেয় না। তবে মাঝেমধ্যে উচ্ছেদ করলেও ফের তারা বসে। তাদের জন্যই মূলত যানজট দূর করা যাচ্ছে না।
শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। শিগগির উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় ফুটপাত দখল করে প্রতিদিন বসে অস্থায়ী দোকান। ফুটপাত ছাড়িয়ে এসব দোকান এখন মূল সড়কেও বসছে। এ ছাড়া রয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড। হাঁটার জায়গা না থাকায় সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
মাওনা চৌরাস্তার ওপর দিয়ে গেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। এখানে সংযুক্ত হয়েছে মাওনা-কালিয়াকৈর সড়ক ও মাওনা-বরমী সড়ক। ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মাওনা চৌরাস্তায় প্রতিদিন লাখো মানুষের আনাগোনা থাকে। এ সুযোগে দীর্ঘদিন ধরেই ফুটপাতে ভাসমান ব্যবসায়ীদের অবৈধ দখলে চলে গেছে। আর এখন ফুটপাত ছাড়িয়ে দোকান বসছে মূল সড়কেও।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সড়ক ঘিরে গড়ে উঠেছে শত দোকানপাট। দিনের অধিকাংশ সময়ই মহাসড়কের লেন দখল করে বসছেন ভাসমান ব্যবসায়ীরা। ফলে অধিকাংশ সময় যানজট লেগে থাকে। মাওনা চৌরাস্তা থেকে কালিয়াকৈর সড়কের প্রায় ৫০০ গজ এলাকায় সড়কের দুই লেন সমানভাবে দখল হয়ে গেছে। শ্রীপুর ও ঢাকা সড়কেরও একই অবস্থা। এ ছাড়া সড়কের ওপরই গড়ে তোলা হয়েছে সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড।
অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন মার্কেট কর্তৃপক্ষ ফুটপাত ও সড়কে এসব অবৈধ দোকান বসতে সহায়তা করে থাকে। প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে তারা। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কয়েক নেতাসহ হাইওয়ে পুলিশের পকেটে এসব টাকার ভাগ যায়। এই যানজটের কবলে পড়ে শিল্পকারখানার পণ্যবাহী গাড়ি, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং হাসপাতালের অসুস্থ রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
মাওনা চৌরাস্তার ব্যবসায়ী ফিরুজ আহমদ বলেন, মাওনা চৌরাস্তায় হাজারো সমস্যা। এখন অন্যতম সমস্যা হচ্ছে যানজট। কষ্টের কথা হলো ফুটপাতের পরে এখন সড়কগুলোও দখল হয় যাচ্ছে। হাঁটতে গেলে নারী ও শিশুদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেখানে প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের শিকার হন অনেক নারী।
মাওনা সিটি হাসপাতালের মালিক আব্দুল মালেক বলেন, মাওনা চৌরাস্তা থেকে ফায়ার সার্ভিস অফিস পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রায় ১২টি হাসপাতাল রয়েছে, রয়েছে ফায়ার সার্ভিস। বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের খবরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোও যানজটে আটকে থাকে। হাসপাতালে আসা রোগীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অথচ সড়কগুলো যদি মুক্ত থাকত, তাহলে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারত।
স্থানীয় নারী কর্মী সাহিদা আক্তার স্বর্ণা বলেন, ‘মাওনা চৌরাস্তায় এখন চলাচল করাটা খুবই কষ্টকর। যে যেভাবে পারছেন, দখল করে ব্যবসা করছেন। ফুটপাত নেই, সড়কও দখল হয়ে যাচ্ছে। অথচ সবাই নীরব। আমাদের দাবি যেভাবেই হোক ফুটপাত ও রাস্তা অবৈধ দখলের কবল থেকে উদ্ধার করতে হবে।’
এ বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ কারও কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেয় না। তবে মাঝেমধ্যে উচ্ছেদ করলেও ফের তারা বসে। তাদের জন্যই মূলত যানজট দূর করা যাচ্ছে না।
শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। শিগগির উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪