Ajker Patrika

বাইরে নেগেটিভ হলেও বিমানবন্দরে পজিটিভ!

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৫৮
বাইরে নেগেটিভ হলেও বিমানবন্দরে পজিটিভ!

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটক দিয়ে সোজা পাহাড়ের ওপরে উঠলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের আইসোলেশন সেন্টার। দ্বিতীয় তলায় চিকিৎসাধীন ১৭ জনের মধ্যে বিদেশযাত্রী রয়েছেন ৯ জন। এদের একজন মো. শাখাওয়াত হোসেন। জ্বর, সর্দি কিংবা কাশির লক্ষণই নেই তাঁর। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ফল পজিটিভ হওয়ায় দুবাই যেতে পারেননি তিনি। অথচ আগের দিন শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষায় তাঁর ফল নেগেটিভ এসেছিল।

শুধু শাখাওয়াত নন, অন্য ৮ জনের অবস্থাও একই। তাঁদের মধ্যে রোগের কোনো লক্ষণই নেই। আগের দিন করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর তাঁদের সকলেই বিমানবন্দরে নমুনা পরীক্ষা করেন। তাঁদের ফল পজিটিভ আসে।

আইসোলেশন সেন্টার সূত্র জানায়, ৩ জানুয়ারি বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হওয়ার প্রথম দিন বিদেশগামী এক যাত্রীর করোনা শনাক্ত হয়। তারপর ৬ জানুয়ারি ৪ জন ও ৭ জানুয়ারি ৪ জনের ফল পজিটিভ আসে।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বাসিন্দা শাখাওয়াত আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগ্রাবাদের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৫ জানুয়ারি সকালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ওই দিন সন্ধ্যায় রিপোর্ট হাতে পান। সেখানে তাঁর ফল নেগেটিভ আসে। পরের দিন ৬ জানুয়ারি তাঁর রাত সাড়ে ৮টায় দুবাইয়ে ফ্লাইট ছিল। এ জন্য সকাল সকাল তিনি চলে যান বিমানবন্দরে। সকাল সাড়ে ৯টায় আরটি-পিসিআর ল্যাবে নমুনা দেন। সন্ধ্যার দিকে রিপোর্ট হাতে পেলে দেখেন, করোনা পজিটিভ এসেছে।

একই ফ্লাইটে মো. রনিরও যাওয়ার কথা ছিল। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। আগের দিন চট্টগ্রাম ইম্পিরিয়াল হাসপাতাল থেকে করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে তাঁর নেগেটিভ আসে। পরের দিন বিমানবন্দরে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর ফলও পজিটিভ আসে।

৬ জানুয়ারি তাঁদের মতো আরও দুজনের ফলও পজিটিভ এসেছিল, যাঁদের আগের দিনের পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছিল। তাঁদের অভিযোগ,৮টার যে ফ্লাইটে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের ওই ফ্লাইটে সিট সংখ্যা ছিল ১৮০ টি। এতে ১৮০ জনই দুবাই গেছেন।

মো. রনি বলেন, ‘ওই ফ্লাইটে আমার এক বন্ধু দুবাই গেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সব সিট পূর্ণ ছিল। আমাদের করোনা পজিটিভ দিয়ে বাড়তি টাকা পেয়ে এজেন্সিগুলো বাইরে টিকিট বিক্রি করেছেন কি-না, সেটি তদন্তের দাবি জানাই।’ একই অভিযোগ মো. শাখাওয়াতেরও।

তবে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, করোনা নেগেটিভ সনদ পাওয়ার পরও যেকোনো সময় আবারও করোনা আক্রান্ত হতে পারে। তাঁদের ক্ষেত্রেও এই অবস্থা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত