খায়রুল বাসার নির্ঝর
আপনি ঢাকায় আসার পর এ দেশের ফুড ভ্লগারদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়ে গেছে। যেখানেই যাচ্ছেন, অসংখ্য মানুষ ঘিরে ধরছে। কেমন লাগছে সব মিলিয়ে?
মীর আফসার আলী: ঢাকা বিমানবন্দরে নামার পর থেকে এত মানুষের আবদার, এত ভালোবাসা, যেটা শুরু হয় শুধু একটা সেলফির অনুরোধ দিয়ে, দারুণ এনজয় করছি। প্রতিদিন হাজার হাজার সেলফি তুলতে হচ্ছে। থামতে চাইছে না মানুষ। জড়িয়ে ধরছে। হাতটা ধরে বলছে, ‘আমাদের অনেক ডিপ্রেশনের সময়, মন খারাপের সময় আপনি আমাদের পাশে থেকেছেন। আপনার পড়া গল্প না শুনলে আমাদের রাতে ঘুম আসে না।’ এটা নিশ্চয়ই বড় প্রাপ্তি। সফরসঙ্গী সুকান্তকে সেদিন বললাম, ২৭ বছর ধরে মেহনত করেছি শুধু এই ভালোবাসা পাওয়ার জন্য।
এই যে ঢাকার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খাবার পরখ করছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশছেন। কোনো অসুবিধায় পড়তে হয়েছে এ পর্যন্ত?
মীর: সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার অসাধারণ একটা সম্পর্ক। আমি নিজেকে সেলিব্রিটি মনে করি না। এটা একটুও বিনয় করে বলছি না। ঘটনাচক্রে আমাকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় বা রেডিওতে শোনা যায়। আদর, ভালোবাসা, খ্যাতি অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই পেয়েছি। তবে জনপ্রিয়তার সুবিধা আমি কখনোই নিই না। বিজনেস ক্লাসের টিকিটের জন্য চেঁচামেচি করি না, কোথাও কাজে গেলে ফাইভস্টার হোটেল ডিমান্ড করি না, এসব সেলিব্রিটিরা করেন। আমি খুবই সাধারণ একটা মানুষ। তাই সাধারণদের সঙ্গে মিশতে আমার কোনো অসুবিধা হয় না।
বাংলাদেশের অভিনেতা হিল্লোলও ফুড ভ্লগিং করেন। তাঁরই আমন্ত্রণে আপনি এবার ঢাকায় এলেন। হিল্লোলের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে?
মীর: এর আগে যতবার ঢাকায় এসেছি, মোরগ পোলাও খেয়েছি। কাচ্চি খেয়েছি। আদনান ফারুকের (হিল্লোল) সঙ্গে তখনো আমার পরিচয় হয়নি। প্রথম যখন আমি আদনান ফারুকের ফুড ভ্লগ দেখলাম, লোকটাকে আমার একদম ভালো লাগেনি। কেন ভালো লাগেনি? কারণ, তিনি আমার চেয়ে বেটার কাজ করছেন। আমি একদম সাধারণ মানুষের মতো ইমোশন নিয়ে জন্মেছি। যখন কেউ আমার থেকে বেটার করে, আমি তাকে হিংসে করি। আদনান ফারুকের কাজ দেখে ভীষণ ইন্সপায়ার্ড হই আমি। আমরা এখন একসঙ্গে কাজ করছি। এখন আমরা ভাই-ব্রাদার। কী সৌভাগ্য, বাংলাদেশে আমরা ‘ফুডকা’ নিয়ে এলাম, সেটাও আদনান ভাইয়ের আমন্ত্রণে। এটার থেকে বড় পাওনা কিছু হয় না।
ঢাকায় এত কিছু খেলেন এ কয়েক দিনে। এত খাবার নিয়ে ভিডিও বানালেন। সবচেয়ে কী ভালো লাগল?
মীর: আপনি ভাবছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে বোধ হয় বলব—বিরিয়ানি। কারণ, বিরিয়ানি আমার খুব ফেবারিট। তবে এখনো এবারের সফরের বেস্ট পার্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ফারুক ভাইয়ের দোকানের মরিচ-তেঁতুল চা, ওটা ভুলব না কোনো দিন। ইট ওয়াজ রকিং।
খাবার নিয়ে এত কাজ করছেন। আপনি নিজে কী কী রান্না করতে পারেন?
মীর: প্লিজ এই প্রশ্নটা আমাকে করবেন না। আমি ডিম সেদ্ধ ছাড়া আর কিছু করিনি। চা-কফিটা বানাতে পারি। ভবিষ্যতে যদি কিছু না চলে আমার, তাহলে চায়ের দোকান খুলব।
আপনি একই সঙ্গে উপস্থাপক, গায়ক, অভিনেতা। তার সঙ্গে নতুন করে যোগ হলো ‘ফুড ভ্লগার’। আর কী কী করার পরিকল্পনা আছে?
মীর: মানুষ মীর। এখনো মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। আমার চেয়ে অনেক বেশি অসাধারণ কাজ অনেকে করছেন, কিন্তু কোনো স্বীকৃতি পাচ্ছেন না। তাঁদের সামনে একটা মেডেল, একটা মেমেন্টো, একটা উত্তরীয়, একটা ফুলের তোড়া কোনো দিন কেউ তুলে ধরেননি। তাঁদের জন্য কাজ করতে চাই।
বাংলাদেশে অনেক ছেলেমেয়ে এখন পেশাগতভাবে ফুড ভ্লগিং করছেন। তাঁদের জন্য আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
মীর: ভ্লগারদের স্টোরিটেলার হতে হবে। খাবারের গল্প কত আকর্ষণীয়ভাবে লোকজনের সামনে তুলে ধরা যায়, সে বিষয়ে তাঁরা যতটা আগ্রহ দেখাবেন, তাঁদের সাবস্ক্রিপশনও সেই অনুপাতে বাড়বে। এই একটা দোকানে ঢুকলাম, খাবার নিলাম, খেলাম, শুধু ওটাতে থেমে থাকলে হবে না। আরও গভীর কিছু তুলে আনতে হবে।
আপনি ঢাকায় আসার পর এ দেশের ফুড ভ্লগারদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়ে গেছে। যেখানেই যাচ্ছেন, অসংখ্য মানুষ ঘিরে ধরছে। কেমন লাগছে সব মিলিয়ে?
মীর আফসার আলী: ঢাকা বিমানবন্দরে নামার পর থেকে এত মানুষের আবদার, এত ভালোবাসা, যেটা শুরু হয় শুধু একটা সেলফির অনুরোধ দিয়ে, দারুণ এনজয় করছি। প্রতিদিন হাজার হাজার সেলফি তুলতে হচ্ছে। থামতে চাইছে না মানুষ। জড়িয়ে ধরছে। হাতটা ধরে বলছে, ‘আমাদের অনেক ডিপ্রেশনের সময়, মন খারাপের সময় আপনি আমাদের পাশে থেকেছেন। আপনার পড়া গল্প না শুনলে আমাদের রাতে ঘুম আসে না।’ এটা নিশ্চয়ই বড় প্রাপ্তি। সফরসঙ্গী সুকান্তকে সেদিন বললাম, ২৭ বছর ধরে মেহনত করেছি শুধু এই ভালোবাসা পাওয়ার জন্য।
এই যে ঢাকার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খাবার পরখ করছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশছেন। কোনো অসুবিধায় পড়তে হয়েছে এ পর্যন্ত?
মীর: সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার অসাধারণ একটা সম্পর্ক। আমি নিজেকে সেলিব্রিটি মনে করি না। এটা একটুও বিনয় করে বলছি না। ঘটনাচক্রে আমাকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় বা রেডিওতে শোনা যায়। আদর, ভালোবাসা, খ্যাতি অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই পেয়েছি। তবে জনপ্রিয়তার সুবিধা আমি কখনোই নিই না। বিজনেস ক্লাসের টিকিটের জন্য চেঁচামেচি করি না, কোথাও কাজে গেলে ফাইভস্টার হোটেল ডিমান্ড করি না, এসব সেলিব্রিটিরা করেন। আমি খুবই সাধারণ একটা মানুষ। তাই সাধারণদের সঙ্গে মিশতে আমার কোনো অসুবিধা হয় না।
বাংলাদেশের অভিনেতা হিল্লোলও ফুড ভ্লগিং করেন। তাঁরই আমন্ত্রণে আপনি এবার ঢাকায় এলেন। হিল্লোলের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে?
মীর: এর আগে যতবার ঢাকায় এসেছি, মোরগ পোলাও খেয়েছি। কাচ্চি খেয়েছি। আদনান ফারুকের (হিল্লোল) সঙ্গে তখনো আমার পরিচয় হয়নি। প্রথম যখন আমি আদনান ফারুকের ফুড ভ্লগ দেখলাম, লোকটাকে আমার একদম ভালো লাগেনি। কেন ভালো লাগেনি? কারণ, তিনি আমার চেয়ে বেটার কাজ করছেন। আমি একদম সাধারণ মানুষের মতো ইমোশন নিয়ে জন্মেছি। যখন কেউ আমার থেকে বেটার করে, আমি তাকে হিংসে করি। আদনান ফারুকের কাজ দেখে ভীষণ ইন্সপায়ার্ড হই আমি। আমরা এখন একসঙ্গে কাজ করছি। এখন আমরা ভাই-ব্রাদার। কী সৌভাগ্য, বাংলাদেশে আমরা ‘ফুডকা’ নিয়ে এলাম, সেটাও আদনান ভাইয়ের আমন্ত্রণে। এটার থেকে বড় পাওনা কিছু হয় না।
ঢাকায় এত কিছু খেলেন এ কয়েক দিনে। এত খাবার নিয়ে ভিডিও বানালেন। সবচেয়ে কী ভালো লাগল?
মীর: আপনি ভাবছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে বোধ হয় বলব—বিরিয়ানি। কারণ, বিরিয়ানি আমার খুব ফেবারিট। তবে এখনো এবারের সফরের বেস্ট পার্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ফারুক ভাইয়ের দোকানের মরিচ-তেঁতুল চা, ওটা ভুলব না কোনো দিন। ইট ওয়াজ রকিং।
খাবার নিয়ে এত কাজ করছেন। আপনি নিজে কী কী রান্না করতে পারেন?
মীর: প্লিজ এই প্রশ্নটা আমাকে করবেন না। আমি ডিম সেদ্ধ ছাড়া আর কিছু করিনি। চা-কফিটা বানাতে পারি। ভবিষ্যতে যদি কিছু না চলে আমার, তাহলে চায়ের দোকান খুলব।
আপনি একই সঙ্গে উপস্থাপক, গায়ক, অভিনেতা। তার সঙ্গে নতুন করে যোগ হলো ‘ফুড ভ্লগার’। আর কী কী করার পরিকল্পনা আছে?
মীর: মানুষ মীর। এখনো মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। আমার চেয়ে অনেক বেশি অসাধারণ কাজ অনেকে করছেন, কিন্তু কোনো স্বীকৃতি পাচ্ছেন না। তাঁদের সামনে একটা মেডেল, একটা মেমেন্টো, একটা উত্তরীয়, একটা ফুলের তোড়া কোনো দিন কেউ তুলে ধরেননি। তাঁদের জন্য কাজ করতে চাই।
বাংলাদেশে অনেক ছেলেমেয়ে এখন পেশাগতভাবে ফুড ভ্লগিং করছেন। তাঁদের জন্য আপনার কী পরামর্শ থাকবে?
মীর: ভ্লগারদের স্টোরিটেলার হতে হবে। খাবারের গল্প কত আকর্ষণীয়ভাবে লোকজনের সামনে তুলে ধরা যায়, সে বিষয়ে তাঁরা যতটা আগ্রহ দেখাবেন, তাঁদের সাবস্ক্রিপশনও সেই অনুপাতে বাড়বে। এই একটা দোকানে ঢুকলাম, খাবার নিলাম, খেলাম, শুধু ওটাতে থেমে থাকলে হবে না। আরও গভীর কিছু তুলে আনতে হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪