আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে বৃষ্টিতে বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। খেত ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় ধান কেটে নিলেও বিড়ম্বনা পিছু ছাড়েনি। দিনে আকাশ মেঘলার কারণে শুকাতে না পারায় ঘরে তোলা ধানে অঙ্কুর গজাতে শুরু করেছে। স্তূপ করা খড়ে পচন ধরেছে। ধান আর খড় নিয়ে হাহাকার চলছে কৃষক পরিবারে।
উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের বর্গাচাষি নুর ইসলাম। ইউপির কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে শিংগিমারীতে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ধান কেটে বাড়িতে আনলেও শুকাতে পারেননি। জমিতে থাকা খড় পানির নিচে থাকায় পচন ধরেছে। স্ত্রী বছিরনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেই খড় পানি থেকে ডাঙায় তোলেন।
নুর ইসলামের স্ত্রী বছিরন বলেন, ‘বাবা, ধান কাটি ভাগ দিয়া যেখনা পাছি, তা-ও নষ্ট হবার ধরছে। বেশির ভাগত গাছ জালাইছে (অঙ্কুর গজিয়েছে)। পোয়াল (খড়) বেচেয়া যদিওবা কয়টা ট্যাকা পাইলং হয়, তা-ও পচি যাবার নাগচে। এবার কী খায়া থাকমো সেটায় চিন্তা নাগাচি। রোগা মানুষটা (নুর ইসলাম) কামও করবার পায় না।’
নুর ইসলাম বলেন, ‘কী করমো, কপাল খারাপ। জমিতে কিছু ধান নষ্ট হইছে। যেগুলা বাড়িত নিয়া গেছি, তারও গাছ বেড়াইছে।’
শুধু নুর ইসলাম-বছিরন দম্পতি নয়, জেলার বেশির ভাগ কৃষক পরিবারে চলছে এমন হাহাকার। কষ্ট করে ফলানো ফসল ঘরে তোলার আগ মুহূর্তে প্রকৃতির বিরূপ আচরণ তাঁদের দিশেহারা করে দিয়েছে। শুধু ভাত নয়, এই ধান বিক্রি করে সংসারের যাবতীয় চাহিদা মেটাতে হয় তাঁদের। সেখানে দ্রব্যমূল্যের চড়া বাজারে সামনের দিনগুলোতে তাঁরা পরিবার নিয়ে কীভাবে টিকে থাকবেন, সেই চিন্তা তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগী কৃষকদের।
জেলা সদরের ঘোগাদগ ইউনিয়নের স্কুলশিক্ষক মামুন জানান, তাঁর নিজের আবাদ করা ১৮ থেকে ২০ মণ ধানে অঙ্কুর বের হয়েছে। রোদের অভাবে শুকাতে পারছেন না। খড়ের আশা ছেড়েই দিয়েছেন তিনি। তাঁর এলাকার বেশির ভাগ কৃষকের একই অবস্থা।
মামুন বলেন, ‘যারা ব্রি-২৮ ধান কিংবা হাইব্রিড লাগিয়েছেন, তাঁরা কেটে নিতে পারলেও মাড়াই করে শুকাতে পারছেন না। ঘরে রাখা ধানে অঙ্কুর বেরোচ্ছে, ধানের রংও নষ্ট হয়ে গেছে। আর যাঁরা ব্রি-২৯ লাগিয়েছেন, তাঁদের ধান অপরিপক্ব থাকায় জমিতেই জলাবদ্ধতায় নষ্ট হওয়ার পথে। অনেকের নষ্টও হয়েছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় এবার ১ লাখ ১৬ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার বেশি। এর আগে আকস্মিক ঢলে জেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২৭৬ হেক্টর বোরো আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ১৭ হাজার ২৪০ মেট্রিক টন ধরা হলেও তা অর্জন হবে কী না, তাতে সংশয় দেখা দিয়েছে।
জেলাজুড়ে ধান নিয়ে কৃষকদের হাহাকার চললেও তাতে চালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) আব্দুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘কতটুকু আর ধান নষ্ট হয়েছে? বেশির ভাগ কাটা হয়ে গেছে।’ কেটে নেওয়া ধান মাড়াই করে কৃষকেরা শুকাতে পারছেন না, গোলায় তুলতে পারছেন না। অনেকের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এমন তথ্যে ডিডি আব্দুর রশীদ বলেন, ‘সেটা আমরা যখন চূড়ান্ত হিসাব করব, তখন বলা যাবে। এখন আর কথা বলতে পারব না।’
কুড়িগ্রামে বৃষ্টিতে বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। খেত ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় ধান কেটে নিলেও বিড়ম্বনা পিছু ছাড়েনি। দিনে আকাশ মেঘলার কারণে শুকাতে না পারায় ঘরে তোলা ধানে অঙ্কুর গজাতে শুরু করেছে। স্তূপ করা খড়ে পচন ধরেছে। ধান আর খড় নিয়ে হাহাকার চলছে কৃষক পরিবারে।
উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের বর্গাচাষি নুর ইসলাম। ইউপির কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে শিংগিমারীতে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ধান কেটে বাড়িতে আনলেও শুকাতে পারেননি। জমিতে থাকা খড় পানির নিচে থাকায় পচন ধরেছে। স্ত্রী বছিরনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেই খড় পানি থেকে ডাঙায় তোলেন।
নুর ইসলামের স্ত্রী বছিরন বলেন, ‘বাবা, ধান কাটি ভাগ দিয়া যেখনা পাছি, তা-ও নষ্ট হবার ধরছে। বেশির ভাগত গাছ জালাইছে (অঙ্কুর গজিয়েছে)। পোয়াল (খড়) বেচেয়া যদিওবা কয়টা ট্যাকা পাইলং হয়, তা-ও পচি যাবার নাগচে। এবার কী খায়া থাকমো সেটায় চিন্তা নাগাচি। রোগা মানুষটা (নুর ইসলাম) কামও করবার পায় না।’
নুর ইসলাম বলেন, ‘কী করমো, কপাল খারাপ। জমিতে কিছু ধান নষ্ট হইছে। যেগুলা বাড়িত নিয়া গেছি, তারও গাছ বেড়াইছে।’
শুধু নুর ইসলাম-বছিরন দম্পতি নয়, জেলার বেশির ভাগ কৃষক পরিবারে চলছে এমন হাহাকার। কষ্ট করে ফলানো ফসল ঘরে তোলার আগ মুহূর্তে প্রকৃতির বিরূপ আচরণ তাঁদের দিশেহারা করে দিয়েছে। শুধু ভাত নয়, এই ধান বিক্রি করে সংসারের যাবতীয় চাহিদা মেটাতে হয় তাঁদের। সেখানে দ্রব্যমূল্যের চড়া বাজারে সামনের দিনগুলোতে তাঁরা পরিবার নিয়ে কীভাবে টিকে থাকবেন, সেই চিন্তা তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগী কৃষকদের।
জেলা সদরের ঘোগাদগ ইউনিয়নের স্কুলশিক্ষক মামুন জানান, তাঁর নিজের আবাদ করা ১৮ থেকে ২০ মণ ধানে অঙ্কুর বের হয়েছে। রোদের অভাবে শুকাতে পারছেন না। খড়ের আশা ছেড়েই দিয়েছেন তিনি। তাঁর এলাকার বেশির ভাগ কৃষকের একই অবস্থা।
মামুন বলেন, ‘যারা ব্রি-২৮ ধান কিংবা হাইব্রিড লাগিয়েছেন, তাঁরা কেটে নিতে পারলেও মাড়াই করে শুকাতে পারছেন না। ঘরে রাখা ধানে অঙ্কুর বেরোচ্ছে, ধানের রংও নষ্ট হয়ে গেছে। আর যাঁরা ব্রি-২৯ লাগিয়েছেন, তাঁদের ধান অপরিপক্ব থাকায় জমিতেই জলাবদ্ধতায় নষ্ট হওয়ার পথে। অনেকের নষ্টও হয়েছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় এবার ১ লাখ ১৬ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার বেশি। এর আগে আকস্মিক ঢলে জেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২৭৬ হেক্টর বোরো আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ১৭ হাজার ২৪০ মেট্রিক টন ধরা হলেও তা অর্জন হবে কী না, তাতে সংশয় দেখা দিয়েছে।
জেলাজুড়ে ধান নিয়ে কৃষকদের হাহাকার চললেও তাতে চালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) আব্দুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘কতটুকু আর ধান নষ্ট হয়েছে? বেশির ভাগ কাটা হয়ে গেছে।’ কেটে নেওয়া ধান মাড়াই করে কৃষকেরা শুকাতে পারছেন না, গোলায় তুলতে পারছেন না। অনেকের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এমন তথ্যে ডিডি আব্দুর রশীদ বলেন, ‘সেটা আমরা যখন চূড়ান্ত হিসাব করব, তখন বলা যাবে। এখন আর কথা বলতে পারব না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪