আসাদ সরকার
‘পিরিতি ভীষণ জ্বালা’ এখন আলোচিত গানগুলোর একটি। ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউবে এই গানটি প্রায় আড়াই কোটি মানুষ দেখেছে। গানটির গীতিকার মো. জাকির হোসেন মোল্লা। তাঁর গীতিকার হয়ে ওঠার গল্পটা ভিন্ন রকমই বলা চলে। সন্তানের কাছে দীক্ষা নিয়ে আজ তিনি আলোচিত একজন গীতিকার।
জাকির হোসেন মোল্লার বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীকুল গ্রামে। তিনি জাকির মাস্টার হিসেবেই স্থানীয়ভাবে বেশি পরিচিত। লক্ষ্মীকুল গ্রামের লক্ষ্মীকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তিনি। জাকির মাস্টারের কাছে তাঁর গীতিকার হওয়ার গল্প শুনে আমরা বিমোহিত হই। ৫০ বছর বয়সী জাকির অকপটেই বললেন, তাঁর গুরু তাঁরই ছেলে আকাশ মাহমুদ। জাকির জানালেন, কখনো গান লিখবেন বা লিখতে পারবেন—এমনটি কল্পনাও করেননি। অথচ তিনি এখন পুরোদস্তুর গীতিকার। শুধু পিরিতি ভীষণ জ্বালাই নয়, দেশের ৬৪ জেলা নিয়ে লেখা তাঁর একটি গানও বেশ সমাদৃত হয়েছে শ্রোতামহলে। গত কয়েক মাসে ইউটিউবে গানটি প্রায় ৫০ লাখ মানুষ দেখেছে।
জাকির মাস্টার জানালেন, ২০১২ সালে ছোট ছেলে আকাশ মাহমুদ আচমকাই তাঁর কাছে জেদ ধরে, ফরিদপুর জেলা নিয়ে একটা গান লিখে দিতে হবে। এই জেদের পেছনে কারণও ছিল। আকাশ তখন গান শিখছে। ফরিদপুর নিয়ে একটা গান গাওয়ার শখ হয়েছিল তার। এ জন্য সে ফরিদপুরের যত পরিচিত গীতিকার আছে, সবার কাছে ধরনা দিয়েছে। ফরিদপুরের বাইরেও পরিচিত গীতিকারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু কেউই এমন গান লিখে দেননি। তাঁরা হয়তো ভেবেছেন, ‘ ছোট একটা ছেলে, সদ্য গান শিখছে, কী এমন করবে এই গান দিয়ে।’ কিন্তু আকাশের জেদ, সে নিজের জেলা নিয়ে নতুন একটা গান গাইবেই। ছেলের চাপাচাপিতে জাকির মাস্টার বসে গেলেন কাগজকলম নিয়ে। লিখে ফেললেন ‘আমার বাড়ি ফরিদপুর, আমার গর্ব ফরিদপুর’ শিরোনামে একটা গান। কিন্তু বিপত্তি বাধল অন্য জায়গায়। গানের কথা ঠিক থাকলেও নিয়মগুলো ঠিক থাকল না। আকাশ তা ঠিক করল। এরপর নিজেই সুর করল। কেউ একজনের কাছ থেকে মোবাইলফোন ধার করে গানের দৃশ্যায়নও করল। সেই গান ফরিদপুরজুড়ে সাড়া ফেলে দিল।
শুরুর গল্পটা এমন হলেও পরের গল্পটা অন্য রকম। একটা গান লিখেই জাকির মাস্টারের মাথায় গান লেখার ভূত চাপল। এ নিয়ে নানাজনে নানা কথা বললেন। ‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে’—এমন কথাও শুনতে হলো। কিন্তু পাত্তা দিলেন না জাকির মাস্টার। তিনি লিখে চললেন। কখনো ছোট ছেলে আকাশ, কখনো বড় ছেলে আশিক গানের কথাগুলো ঠিকঠাক করে দিতে থাকল। ধীরে ধীরে গান লেখায় সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠলেন জাকির মাস্টার। প্রকাশিত গানের সংখ্যা এখন ৫০টির বেশি। প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক। শুরুতে শুধু সন্তানের জন্য লিখলেও এখন সবার জন্যই লেখেন। তাঁর সন্তান আকাশ মাহমুদও এখন বেশ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক। সম্প্রতি বাংলার গায়েন নামক একটা রিয়েলিটি শোয়ের থিম সং লিখে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন গীতিকার জাকির মাস্টার।
লেখক: নাট্যকার ও নির্মাতা
গান সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
‘পিরিতি ভীষণ জ্বালা’ এখন আলোচিত গানগুলোর একটি। ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউবে এই গানটি প্রায় আড়াই কোটি মানুষ দেখেছে। গানটির গীতিকার মো. জাকির হোসেন মোল্লা। তাঁর গীতিকার হয়ে ওঠার গল্পটা ভিন্ন রকমই বলা চলে। সন্তানের কাছে দীক্ষা নিয়ে আজ তিনি আলোচিত একজন গীতিকার।
জাকির হোসেন মোল্লার বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীকুল গ্রামে। তিনি জাকির মাস্টার হিসেবেই স্থানীয়ভাবে বেশি পরিচিত। লক্ষ্মীকুল গ্রামের লক্ষ্মীকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তিনি। জাকির মাস্টারের কাছে তাঁর গীতিকার হওয়ার গল্প শুনে আমরা বিমোহিত হই। ৫০ বছর বয়সী জাকির অকপটেই বললেন, তাঁর গুরু তাঁরই ছেলে আকাশ মাহমুদ। জাকির জানালেন, কখনো গান লিখবেন বা লিখতে পারবেন—এমনটি কল্পনাও করেননি। অথচ তিনি এখন পুরোদস্তুর গীতিকার। শুধু পিরিতি ভীষণ জ্বালাই নয়, দেশের ৬৪ জেলা নিয়ে লেখা তাঁর একটি গানও বেশ সমাদৃত হয়েছে শ্রোতামহলে। গত কয়েক মাসে ইউটিউবে গানটি প্রায় ৫০ লাখ মানুষ দেখেছে।
জাকির মাস্টার জানালেন, ২০১২ সালে ছোট ছেলে আকাশ মাহমুদ আচমকাই তাঁর কাছে জেদ ধরে, ফরিদপুর জেলা নিয়ে একটা গান লিখে দিতে হবে। এই জেদের পেছনে কারণও ছিল। আকাশ তখন গান শিখছে। ফরিদপুর নিয়ে একটা গান গাওয়ার শখ হয়েছিল তার। এ জন্য সে ফরিদপুরের যত পরিচিত গীতিকার আছে, সবার কাছে ধরনা দিয়েছে। ফরিদপুরের বাইরেও পরিচিত গীতিকারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু কেউই এমন গান লিখে দেননি। তাঁরা হয়তো ভেবেছেন, ‘ ছোট একটা ছেলে, সদ্য গান শিখছে, কী এমন করবে এই গান দিয়ে।’ কিন্তু আকাশের জেদ, সে নিজের জেলা নিয়ে নতুন একটা গান গাইবেই। ছেলের চাপাচাপিতে জাকির মাস্টার বসে গেলেন কাগজকলম নিয়ে। লিখে ফেললেন ‘আমার বাড়ি ফরিদপুর, আমার গর্ব ফরিদপুর’ শিরোনামে একটা গান। কিন্তু বিপত্তি বাধল অন্য জায়গায়। গানের কথা ঠিক থাকলেও নিয়মগুলো ঠিক থাকল না। আকাশ তা ঠিক করল। এরপর নিজেই সুর করল। কেউ একজনের কাছ থেকে মোবাইলফোন ধার করে গানের দৃশ্যায়নও করল। সেই গান ফরিদপুরজুড়ে সাড়া ফেলে দিল।
শুরুর গল্পটা এমন হলেও পরের গল্পটা অন্য রকম। একটা গান লিখেই জাকির মাস্টারের মাথায় গান লেখার ভূত চাপল। এ নিয়ে নানাজনে নানা কথা বললেন। ‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে’—এমন কথাও শুনতে হলো। কিন্তু পাত্তা দিলেন না জাকির মাস্টার। তিনি লিখে চললেন। কখনো ছোট ছেলে আকাশ, কখনো বড় ছেলে আশিক গানের কথাগুলো ঠিকঠাক করে দিতে থাকল। ধীরে ধীরে গান লেখায় সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠলেন জাকির মাস্টার। প্রকাশিত গানের সংখ্যা এখন ৫০টির বেশি। প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক। শুরুতে শুধু সন্তানের জন্য লিখলেও এখন সবার জন্যই লেখেন। তাঁর সন্তান আকাশ মাহমুদও এখন বেশ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক। সম্প্রতি বাংলার গায়েন নামক একটা রিয়েলিটি শোয়ের থিম সং লিখে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন গীতিকার জাকির মাস্টার।
লেখক: নাট্যকার ও নির্মাতা
গান সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪