Ajker Patrika

নিত্যপণ্যের কার্ড পাননি অনেকে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
নিত্যপণ্যের কার্ড পাননি অনেকে

ময়মনসিংহে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাবে ৩ লাখ ২ হাজার ৯৭১ জন। এর মধ্যে সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে ৭০ হাজার ৪০৯ জনকে পণ্য দেওয়া হবে। তবে কার্ড না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ। অভিযোগ উঠেছে, নেতাদের পছন্দের মানুষকে কার্ড দেওয়ারও।

গতকাল শনিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, আজ রোববার থেকে স্বল্পমূল্যে টিসিবির পণ্য দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকৃত কার্ডধারীরা যেন ভোগান্তি ছাড়াই পণ্য পেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে জোরদার করা হয়েছে তদারকি ব্যবস্থা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলায় ১৫৩ জন ডিলার রয়েছে। এর মধ্যে সিটিতে রয়েছে ৯৪ জন। ১৩টি উপজেলা ও পৌরসভার ৫৬৬টি স্থানে তাঁরা টিসিবির পণ্য বিক্রি করবেন। করোনা মহামারিকালে নিম্ন আয়ের যেসব মানুষ আড়াই হাজার টাকা পেয়েছিলেন, তাঁরাও উপকারভোগীর তালিকায় রয়েছে।

পণ্য বিতরণের আগে উপকারভোগী বাছাই, পরিবার কার্ড পূরণ, ডিলার নিয়োগ ও বরাদ্দসহ সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা অনুসারে সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনটি কমিটির সমন্বয়ে উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কমিটিগুলো হলো জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন কমিটি।

আরও জানানো হয়েছে, পণ্য সংরক্ষণ ও প্যাকেজিংয়ের জন্য জেলা খাদ্য গুদামাগার থেকে পাঁচটি গুদাম ব্যবহার করা হচ্ছে। টিসিবি থেকে প্রাপ্ত নমুনা অনুযায়ী প্যাকেট সংগ্রহ করা হয় এবং দুই কেজি করে পণ্য প্যাকেটজাত করা হয়। ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ প্যাকেজিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে পণ্য বুজিয়ে দেওয়া হবে ডিলারদের।

প্রথম পর্যায়ে দুই কেজি চিনি ও দুই কেজি ডাল ৬৫ টাকা কেজি ধরে এবং সয়াবিন তেল দুই কেজি ১১০ টাকা ধরে দেওয়া হবে। আজ প্রথম দিনে ৪১ হাজার ২৮২ জনকে পণ্য দেওয়া হবে। ২৭ তারিখের মধ্যে বাকিদের দেওয়া সম্পন্ন হবে। পণ্য বিক্রি করা হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাঁরা কার্ড নিয়ে না আসবে, তাঁদের পরিবর্তে অন্যদের পণ্য 
দেওয়া হবে।

গৌরীপুর পৌরসভার টিসিবির ডিলার আলী হায়দার রবিন বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি ১ হাজার ৬৫০ জনকে পণ্য দেব। তিনটি স্থানে ট্রাকে করে পণ্য দেওয়া হবে। আশা করি, কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হবে।’ 
টিসিবি ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী কার্যনির্বাহী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ভোগান্তি ছাড়া পণ্য দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। সঠিকভাবে মানুষ পণ্য পাচ্ছে কি না, সেটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা তদারকি করব। প্রথম দিন সিটি করপোরেশনের ১,২ এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পণ্য দেওয়া হবে। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্দিষ্ট ছায়াযুক্ত স্থানে পণ্য দেওয়া হবে।’

এদিকে ময়মনসিংহ নগরীর থানা রোড বস্তি এলাকার অনেক বাসিন্দা টিসিবির কার্ড পেলেও পণ্য কেনার টাকা সংগ্রহ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। আবার অনেকে কার্ড না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

হাজেরা আক্তার নামে একজন বলেন, তাঁর স্বামী প্যাকেট বানানোর কাজ করেন। কাউন্সিলর টিসিবির পণ্য কেনার জন্য একটি কার্ড দিলেও কেনার টাকা সংগ্রহ হয়নি। তিনি বলেন, ‘চেষ্টা করছি সংগ্রহ করার জন্য। পণ্যের দাম আরেকটু কম হলে ভালো হতো।’

পারভীন আক্তার নামে আরেকজন বলেন, ‘আমার আশপাশের অনেকে পণ্য কেনার কার্ড পেয়েছে। আমি বাসায় ছিলাম না বিধায় কার্ড পাইনি। পরে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে কার্ড শেষ হয়েছে বলে জানায়।’

সরকার পণ্য কেনার জন্য কার্ড দেবে, সেটি সঠিকভাবে জানানো হয়নি দাবি করে সজল মিয়া নামে একজন বলেন, ‘নেতারা তাদের পছন্দের লোকজনকে কার্ড দিয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০২ এসি ল্যান্ডকে প্রত্যাহার

গাজীপুরে একটি সংসদীয় আসন বাড়বে, কমবে বাগেরহাটে, ইসির খসড়া চূড়ান্ত

বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমছে, সবুজসংকেত যুক্তরাষ্ট্রের

গণপূর্তের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের ১ স্থপতি বরখাস্ত

স্বামীর মৃত্যুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েও যাবজ্জীবন এড়াতে পারলেন না রসায়নের অধ্যাপক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত